ছবি: প্রতীকী।
শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই চার জেলা হল উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। রবিবারও এই চার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে হাওয়া দফতর জানিয়েছে। রবিবার রাত থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং বাংলার পশ্চিমাংশের তিন জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে ।
তবে আপাতত কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই। কলকাতার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার সারা দিনে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩২: পাখিদের আত্মহত্যার ঠিকানা জাতিঙ্গা
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— সুখদর্শন ও হুড়ো
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কালিম্পঙে রবিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৫: পতন আসন্ন হলেই সবার বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়
দশভুজা, পর্ব-৩৬: মৃণালিনী— রবি ঠাকুরের স্ত্রী-র লেখকসত্তা
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ বাংলাদেশে তৈরি নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার জেরে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়েছিল। যদিও গত বুধবার থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে তার পরও জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন
আবহাওয়া দফতর বজ্রপাতের সময়ে মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলেছে। বৃষ্টির জন্য যানজট এড়াতে হাতে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।