রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ঠান্ডা পানীয় কিন্তু শরীরের তাপ কমাতে পারে না। ছবি: সংগৃহীত।

প্রচণ্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ জুড়োতে অনেকেই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ মধ্যরাতে গলা-বুক জ্বালা করলে এক চুমুক ঠান্ডা নরম পানীয় খেয়ে নেন। এতে সাময়িক আরাম হলেও তা আমাদের দেহের উত্তাপ কমাতে পারে না। এমনকি, অনেকেই হয় তো জানেন না, অম্বল হলে গলা-বুকের জ্বালা ভাব প্রশমণেও এই ধরনের পানীয়ের বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই।
ঠান্ডা পানীয় নিয়ে পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, নরম ঠান্ডা পানীয় শরীরের জ্বালা ভাব কমানোর কাজ তো করেই না, উল্টে হজম প্রক্রিয়ার গতিও কম করে দেয়। এর কারণ,
নরম ঠান্ডা পানীয় আমদের দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না। এর জেরে শরীরের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে খাবার পরিপাক করা ছেড়ে দিয়ে অন্য দিকে মন দিতে হয়। ফলে আমাদের শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাই হজমের পুরো প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৩: টলস্টয় ও সোফিয়া—সে কি কেবলই যাতনাময়…/৩

মুভি রিভিউ: মির্জাপুর সিজন ৩: সেই চমকে আর ধার নেই

 

নরম ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে কী কী খেতে পারেন?

 

বিশুদ্ধ পানীয় জল

জলের বিকল্প নেই। তাই প্রয়োজন মতো জলপান করলে এই ধরনের কষ্ট অনেকটা কমবে। তবে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল নয়, ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা জল খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৫: সঙ্গীত অনুরাগিণী মা সারদা

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বন লেবু ও টাগরি বানি

 

ডাবের জল

ডাবের জল এই ধরনের সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। শরীরে জলের অভাব থেকে নানা ধরনের খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা, সবেতেই উল্লেখযোগ্য কাজ করে এই পানীয়।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বন লেবু ও টাগরি বানি

 

ছাঁচ বা ঘোল

শরীর ঠান্ডা রাখতে নরম ঠান্ডা পানীয়ের বদলে ছাঁচ বা ঘোল খাওয়া যেতে পারে। এই পানীয় হজমের সমস্যাতেও ভালো কাজ করে। তবে দোকান থেকে না কিনে বাড়িতে এই পানীয় তৈরি করে নিতে পারলে আরও ভালো হয়।


Skip to content