রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

যে কোনও বয়সেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। শুধু বেশি বয়সেই এ ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে, এর কোনও মানে নেই। তাই সতর্ক থাকা ছাড়া আর অন্য কোনও বিকল্প নেই। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে হাঁটুতে ব্যথা, গোড়ালিতে যন্ত্রণার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকেরা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে সাবধানে থাকতে বলেন। কারণ, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তার প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। তবে ইউরিক অ্যাসিড বশে রাখতে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি বদল আনতে হবে খাওয়াদাওয়াতে। মূলত সকালের জলখাবারে যদি কয়েকটি খাবার রাখা যায়, তা হলে সুস্থ থাকা অনেক সহজ হয়ে যায়।
 

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে খালি পেটে কী কী খাবেন?

 

মেথি

ওজন কমাতে এবং ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি ভেজানো জল বেশ উপকারী। মেথিতে রয়েছে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি ৬। আছে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জ়িঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ় ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানও। এমনকি মেথি ওজন কমাতে, শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে, গাঁটের ব্যথা কম করতে বা হজমক্ষমতা বাড়াতেও ভালো সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিন। রোজ সকালে সেই জল ছেঁকে পান করতে পারেন। উপকার মিলবে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩১: হেমন্তবালা দেবী— রবি ঠাকুরের পত্রমিতা

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭১: মহাভারতে বর্ণিত পোষ্যপ্রাণী ও পালকপিতার সম্পর্কের বাঁধন, আজও খুঁজে পাওয়া যায় কী?

 

আমলকি

আমলকি ভিটামিন সি- এ ভরপুর। আমলকি ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন।
 

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে ১ চা চামচ করে ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কারণ প্রত্যেক মানুষের বিএমআর আলাদা হওয়ায় ভিনিগার খাওয়ার মাত্রাও আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৪: লোকশিক্ষক মা সারদা

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৫৭: গাড়ি থেকে নেমেই ছবি বিশ্বাস বললেন, ‘তোদের ছবির নামই তো পথে হল দেরি’

 

ধনে

কেউ কেউ শরীর ঠান্ডা রাখতে কিংবা দেহকে ডিটক্স করতে ধনে বা জিরে ভেজানো জল খান। এ নিয়ে পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, এই পানীয় আমাদের ক্যালোরি পোড়াতে ভালো কাজ করে। তাই দেহে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। আবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নাকি বেশ উপকারী। সারা রাত
এক গ্লাস জলে এক থেকে দুই চামচ গোটা ধনে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে সেই জল পান করুন।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৬: স্রোতস্বিনী পদ্মায় লাফিয়ে কবির কটকি চটি-উদ্ধার

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বন লেবু ও টাগরি বানি

 

হলুদ

দেহের অস্থিসন্ধিগুলিতে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করে, তাই সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং কারকিউমিন রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।


Skip to content