শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী।

সরকারিভাবে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই। যদিও এরই মাঝে অবশেষে সুখবর শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের হলদিয়া পর্যন্ত বর্ষা ঢুকে পড়েছে। আবহাওয়াবিদদের অনুমান জুন মাসের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশেও বর্ষা ঢুকে পড়বে।
দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও পূর্ব দিকের জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে সপ্তাহের শেষে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা কমতে পারে। পাহাড়ের পাঁচটি জেলাতেই ভারী বৃষ্টি চলবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হবে। আজ শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ধীরে ধীরে বাড়বে। আকাশে মেঘ থাকেবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়বে। তবে যে সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না সে সব জায়গায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। শুধু জলীয় বাষ্প বেশি থাকার জন্য আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি তীব্র হবে। এই অস্বস্তি বেশি হবে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫২: দেশহিতৈষী মা সারদা

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বৃষ্টি চলবে। যদিও সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ো হওয়ার বইতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে, এর জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। আগামী শনিবার এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে আবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭১: সাইকেল ও জীবন

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৮: জ্ঞানদানন্দিনী দেবী—উনিশ শতকের বলিষ্ঠ লেখক এবং সমাজসংস্কারক

শুক্রবার মূলত আকাশ মেঘাচ্ছন্নই থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরে জানিয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী শনিবার এবং রবিবার বর্ষণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। কারণ হাওয়া-বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। তবে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিবোধ জারি থাকবে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ পারদ ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৫৪ থেকে ৮৭ শতাংশ ছিল বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৭: মূর্খকে উপদেশ দিলে সেটা তার রাগের কারণ হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৫: কী যে করি করি ভেবে মরি মরি

এদিকে, উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি এলাকার পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ভারী বর্ষণ হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে মালদা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুরেও। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিঞ মালদা ও দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমতে পারে। তবে আগামী শনিবার ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে দিনাজপুরে।

Skip to content