এখন প্রায় ঘরে ঘরেই সর্দি-কাশি লেগে আছে। কারও কারও আবার ঠান্ডায় অ্যালার্জি হয়ে যায়। সে কারণে হঠাৎ হঠাৎ হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়। এখন বাতাসে বায়ুদূষণ বেড়ে গিয়েছে, ফলে রাস্তায় বেরলে নাকে ধুলোও যায় বেশি। তাই এই সময়ে হাঁচি-কাশির ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা জরুরি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের এক বার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না। এমন সময়ে কী যে করতে হবে, তাঁরা ঠিক বুঝতেও পারেন না। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এই হাঁচিও থামাতে পারেন।
‘জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা’
● হাঁচি পাচ্ছে? এই বাক্যটা টানা বলে যান। হাঁচি থেমে যেতে পারে। শুধু এই বাক্যটা কেন, এই ধরনের বাক্য যেগুলি বলতে গেলে জিভ জড়িয়ে যায়, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘টাং টুইস্টার’— তেমন বাক্য টানা বলার চেষ্টা করলে হাঁচি থেমে যেতে পারে।
জিভের টোকা
● টানা হাঁচি হচ্ছে? টাকরায় জিভ দিয়ে টোকা দিন। হাঁচি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে অনেকেই নিজেদের হাঁচি অল্প সময়ে থামিয়ে ফেলতে পারেন।
মধু
● সর্দির হাঁচি তো বটেই অ্যালার্জির হাঁচিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আটকে দিতে পারে মধু। এক চামচ মধু গলায় গেলেই হাঁচির প্রবণতা কমে যায়।
ইউক্যালিপটাস তেল
এই তেলের গন্ধে হাঁচি থেমে যায়। রুমালে ২-৩ ফোঁটা ● ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে হাঁচির সময় ক্রমাগত শুঁকতে থাকুন। দ্রুত বন্ধ হয়ে যেতে পারে হাঁচি।
নাক সিটকানো
● হাঁচি পেলে নাক সিটকান। এমন ভাবে নাক সিটকান, যেন কোনও বাজে গন্ধ নাকে ঢুকেছে। এতেও হাঁচি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বাষ্প নেওয়া
● হাঁচির কারণ যদি সর্দি হয়, তা হলে বাষ্প সেই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। কোভিডের সমস্যা থেকে বাঁচতেও চিকিৎসকরা বাষ্প নেওয়ার পরামর্শ দেন। বড় পাত্রে ফুটন্ত জল নিয়ে তার উপরে তোয়ালে ঢাকা দিয়ে বাষ্প নেওয়ার পদ্ধতি খুবই কাজের। হালে বিদ্যুৎচালিত বাষ্প নেওয়ার যন্ত্রও পাওয়া যায়। সর্দির হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে এই পদ্ধতি অনেকেরই কাজে লাগে।