বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

সকালে কথা হল মেয়ের সঙ্গে, আর বিকেলে ভুলে গেলেন, আর মেয়ে তো রেগে আগুন, কিংবা কোন ব্যাঙ্কের চেকবইয়ে সই করে রাখতে হবে ভুলে মেরে দিয়েছেন। আবার হয়তো বস এবেলা বলল কিছু কাজ করে রাখতে, ওবেলা পড়তে না পড়তে আপনি তা বেমালুম ভুল গেলেন? দ্রুত গতির জীবনে অনেক সময়ে আমাদের মাথা ঠিক কাজ করে না, স্মৃতিরও অপভ্রংশ হয়। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের স্মার্টফোনের অ্যালার্ম, রিমাইন্ডারের মতো নানা ফিকির বেছে নিতে হয়, সব কিছু মনে রাখার জন্য। আবার অনেকে খাতায়-কলমে কী কী কাজ করতে হবে সারা দিনে, সেই তালিকাও তৈরি করে রাখেন। সেগুলি কোনওটাই কিন্তু একেবারেই দোষের নয়। কিন্তু পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর না হয়ে পড়ে বরং আমরা চাইলে একটু মস্তিষ্কের যত্ন নিতে পারি।
আবার অনেকে খাতায়-কলমে কী কী কাজ করতে হবে সারা দিনে, সেই তালিকাও তৈরি করে রাখেন। সেগুলি কোনওটাই কিন্তু একেবারেই দোষের নয়। কিন্তু পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর না হয়ে পড়ে বরং আমরা চাইলে একটু মস্তিষ্কের যত্ন নিতে পারি। আপনার ডায়েটে যদি এমন কিছু পুষ্টিগুণ রাখতে পারেন, যাতে মস্তিষ্ক থাকবে সচল, তা হলে কিছুটা হলেও আপনার স্মৃতিশক্তি ভালো হতে পারে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত করতে হলে নিয়মিত খেতে হবে এই পাঁচটি খাবার।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯১: এক আলমারি বই : রাণুর বিয়েতে কবির উপহার

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা

 

ডার্ক চকোলেট

মানসিক চাপ কমানো, অবসাদ দূর করা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট। নিয়মিত এক টুকরো করে খাঁটি ডার্ক চকোলেট যদি রাতে খেতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন। এই জাতীয় চকোলেট বার্ধক্য আটকাতেও কার্যকর।
 

কুমড়োর বীজ

কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন। চিন্তাভাবনা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই পুষ্টিগুণ অত্যন্ত জরুরি। খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলেও কুমড়োর বীজ নিয়মিত খেলে চাপমুক্ত হতে পারেন। স্যালাড, ওটস্‌ বা তরকারিতে যেমন দিতে পারেন, আবার শুকনো খোলায় ভেজে খানিক নুন মাখিয়ে এমনিও মুখ চালানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন এগুলি।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭০: পাভেল কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

 

আখরোট

বয়স বাড়ার সঙ্গে যে ধীরে ধীরে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, তা খানিকটা রুখতে পারে আখরোট। হেঁশেলে তাই এই ড্রাই ফ্রুট অবশ্যি রাখুন। এটি নিয়মিত খেলে মস্তিষ্ক সচল থাকবে বহু দিন।
 

ব্লুবেরি

রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির মতো আর ফল হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। খিদে পেলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার বদলে যদি কিছু স্বাস্থ্যকর বেছে নিতে চান, তা হলে অবশ্যই ব্লুবেরি রাখুন হাতের কাছে। এই ফল আমাদের মস্তিষ্ক যেমন সচল রাখখে এবং তেমনি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও পারে।
 

কফি

দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কফি দারুণ কাজে দেয়। যদিও ক্যাফেইনের প্রভাব শরীরে নানা ভাবে পড়তে পারে, তা হলেও কফির ভালো দিকও প্রচুর রয়েছে। নিয়মিত মেপে কফি খেলে আপনি নানা ভাবে উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে

 

ডিম

ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও অন্যান্য জরুরি পুষ্টির উপাদান। সুষম খাদ্য হিসাবেও নিয়মিত ডিম খেতে বলেন বহু পুষ্টিবিদই। বিশেষ করে ডিমে থাকে ‘কোলিন’ নামের একটি উপাদান। এই কোলিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অন্য দিকে, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে ও স্নায়ুকোষের আয়ু বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
 

টম্যাটো, রাঙা আলু, গাজর

টম্যাটো, রাঙা আলু, কিংবা গাজরের মতো সব্জিতে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে। এই উপাদান স্নায়ু ভাল রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যারোটিনয়েডের জুড়ি মেলা ভার। এই সব্জিগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। কোষের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করে এই সব্জিগুলি। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাকও খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
 

মাছ

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মাছ সত্যিই উপকারী। কারণ সামুদ্রিক মাছে ‘ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যসিড’ থাকে। তা ছাড়া, এই গোত্রের মাছে থাকে ‘ডিএইচএ’ ও ‘ইপিএ’ নামের দু’টি উপাদান, যা মস্তিষ্ক ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা মাছ খেতে চায় না। তবে সামুদ্রিক মাছ যদি অন্য রকম ভাবে রেঁধে দিতে পারেন, তা হলে সন্তানের বুদ্ধি হবে প্রখর।


Skip to content