মহারানি: সিজন ২।
মহারানি, সিজন-২
প্রযোজনা: নরেন কুমার, ডিম্পল খারবান্দা
সৃজন: সুভাষ কাপুর
কাহিনি: সুভাষ কাপুর
চিত্রনাট্য ও সংলাপ: সুভাস কাপুর নন্দন সিং উমাশঙ্কর সিং
পরিচালনা: রবীন্দ্র গৌতম
অভিনয়: হুমা কুরেশি, সোহম শাহ, অমিত শিয়াল, বিনীত কুমার, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, নেহা চৌহান, আনসা সৈয়দ, কনি কসরুতি, অনুজা শাঠে প্রমুখ।
ওটিটি রিলিজ: সোনি লিভ
পর্ব: ১০
রেটিং: ৮.৫/১০
রানি ভারতী ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। জীবনের ঠেকতে ঠেকতে ঠকতে ঠকতে শিখতে শিখতে মানুষ যেভাবে বদলে যায়। ঠিক সেভাবেই বদলে যাচ্ছে রানি। সুস্থ হওয়ার পরে ক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী রানির স্বামী ভীমা ভারতী। ভীমা নিজে বুঝতে পারছে, প্রাণঘাতী আক্রমণের পর ক্ষমতা আগলে রাখার জন্য ঘরগৃহস্থালি সামলানো যে সহধর্মিনীর হাতে তিনি রাজ্যপাট দিয়েছিলেন। আর যার কাছে এখন সে রাজ্যপাট ফেরত চাইছেন তারা দু’জনে এক মানুষ নন। পরিবেশ পরিস্থিতি ক্রমাগত বিদ্রুপ এবং ক্রুর হিংস্র রাজনীতিতে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকা রানি ভারতী নিজেকে একটু একটু করে বদলে ফেলছে।
রাজনীতিতে সততার সঙ্গে কাজ করতে গেলে যে বিরাট অংশের বিরাগভাজন হতে হয় তা এক স্বীকৃত সত্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন দু’ ধরনের প্রশাসক। যিনি অসম্ভব আত্মবিশ্বাসী এবং রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতে ভয় পান না। যিনি জানেন একটা বড় অংশের রাজনৈতিক নেতারা দুর্নীতিপরায়ণ। তাই তাঁকে অবশ্যম্ভাবীভাবে ভয়ংকর বিরোধিতার মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু তিনি এও জানেন ঠিকভাবে দুর্নীতি প্রমাণ হয়ে গেলে এই বিরোধিতা এই কুৎসা এই অপপ্রচারের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। যে জনতার পরিষেবা দিতে তিনি জনপ্রতিনিধি সেই জনতাই মিথ্যার ধোঁয়াশা কাটিয়ে কঠিন সত্যিটা উপলব্ধি করতে পারবেন। কিন্তু এই ধরনের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কঠিন ব্যক্তিত্বের প্রশাসক সচরাচর মেলে না।