জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পুরোনো কলকাতায় দোল শুধু ছাতুবাবু-লাটুবাবুদের আনন্দের মহোৎসব ছিল না, তা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। একসময় দুর্গাপুজোকে ঘিরে জাঁকজমক কম হত না। নীলমণি ঠাকুরের আমলে জোড়াসাঁকোয় দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছিল। দ্বারকানাথের কালে সাহেবসুবোদের আগমন, খানাপিনা, বলা যায় ছিল দেদার আয়োজন। ঠাকুরবাড়িতে জগদ্ধাত্রীপুজোও হত। গৃহকর্তার নির্দেশ মেনে কুমোর দ্বারকানাথ-পত্নী দিগম্বরীর মুখের আদলে বানাত জগদ্ধাত্রীর মুখাবয়ব। ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করার পরও কিছুদিন এই পারিবারিক পুজো অব্যাহত ছিল। পরে ব্রাহ্মধর্মের প্রথা মেনে দুর্গাপুজো- জগদ্ধাত্রীপুজো বন্ধ হয়। আমোদপ্রমোদের সেই মহোৎসবও গল্পকথা হয়ে যায়।
শুধু দুর্গা বা জগদ্ধাত্রী নয়, ঠাকুরবাড়িতে সরস্বতীপুজোকে কেন্দ্র করে জাঁকজমক- অর্থব্যয় কম হয়নি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে একবার সরস্বতী পুজো করেছিলেন। পুজোর দিন কলকাতায় গাঁদাফুল আর সন্দেশ দুর্লভ হয়ে পড়েছিল। ময়রার সব সন্দেশ, ফুল-ব্যাপারীর সব ফুল ঠাকুরবাড়ি থেকে কিনে নেওয়া হয়েছিল। এই তথ্যটুকু থেকেই আয়োজনের ব্যাপকতা সম্পর্কে অনুমান করা যেতে পারে। ব্রাহ্মধর্মের প্রথা মেনে পুজো বন্ধ হলেও বসন্তোৎসবকে ঘিরে ঠাকুরবাড়িতে আনন্দ- জোয়ারে ভাঁটা পড়েনি। বসন্তোৎসবকে ঘিরে যে আনন্দময় আয়োজন হত, তার আনন্দময় হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা আছে বিভিন্ন জনের স্মৃতিচর্চায়।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮২: রবীন্দ্রনাথ সাহেব-শিক্ষকদের কাছেও পড়েছেন
এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৪: উদয়পুর অভিযানে মগ সৈন্যরা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের চূড়া ভেঙে দিয়েছিল
দোলের দিন জোড়াসাঁকো-বাড়ির দেউড়ি ‘গমগম’ করত, সে বর্ণনা আছে অবনীন্দ্রনাথের লেখায়। মনোহর সিং ছিল বাড়ির পুরোনো দারোয়ান, দারুণ হাসিখুশি, প্রাণখোলা মানুষ। লম্বা-চওড়া চেহারা। একমুখ সাদা দাড়ি। খালি গায়ে লুঙ্গি পরে বসে মনোহর সিং দাড়িতে দই ঘষতো। হোক না সাদা, সেই সাদা দাড়িতে ঔজ্জ্বল্য আনার জন্যই বোধহয় দই মাখানোর প্রয়াস।
দোলের দিন মনোহরের সাদা দাড়ি রং বদলে যেত। একেবারে টকটকে লাল। আবির মাখাতে গিয়ে ছোটোরা দাড়িতে হাত দেওয়ার এক দুর্লভ সুযোগ পেত। ওই এক দিনই এই সুযোগ। অন্যদিন হলে মনোহর তেড়ে আসত। ওই দেউড়ির আরেক দিকে প্রকাণ্ড এক পাত্রে দারোয়ানেরা সিদ্ধি ঘুঁটত। ঢোল বাজত। কণ্ঠে কণ্ঠে শোনা যেত আনন্দ-উচ্ছ্বাস, ‘হোরি হ্যায়, হোরি হ্যায়।’
দোলের দিন মনোহরের সাদা দাড়ি রং বদলে যেত। একেবারে টকটকে লাল। আবির মাখাতে গিয়ে ছোটোরা দাড়িতে হাত দেওয়ার এক দুর্লভ সুযোগ পেত। ওই এক দিনই এই সুযোগ। অন্যদিন হলে মনোহর তেড়ে আসত। ওই দেউড়ির আরেক দিকে প্রকাণ্ড এক পাত্রে দারোয়ানেরা সিদ্ধি ঘুঁটত। ঢোল বাজত। কণ্ঠে কণ্ঠে শোনা যেত আনন্দ-উচ্ছ্বাস, ‘হোরি হ্যায়, হোরি হ্যায়।’
গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এই গান-বাজনার প্রস্তুতি ক-দিন আগে থেকেই নেওয়া হত। অবনীন্দ্রনাথের লেখায় আছে, ‘দেয়ালে ঝুলোনো থাকত ঢোল, হোরির দু-চার দিন আগে তা নামানো হত। বাবামশায়েরও ছিল একটি, সবুজ মখমল দিয়ে মোড়া লাল সুতোয় বাঁধা — আগে থেকেই ঢোলে কী সব মাখিয়ে ঢোল তৈরি করে বাবামশায়ের ঢোল যেত বৈঠকখানায়, দারোয়ানদের ঢোল থাকত দেউড়িতেই। হোলির দিন ভোরবেলা থেকে সেই ঢোল গুরুগম্ভীর সুরে বেজে উঠত; গানও কী সব গাইত, কিন্তু থেকে থেকে ওই ‘হোরি হ্যায়, হোরি হ্যায়’ শব্দ উঠত।’
রকমারি শব্দ। শব্দের তালে তালে নাচ। সেই নাচ শ্লীলতার সীমা লঙ্ঘন করেনি কখনও। দারোয়ানরা কোথা থেকে একবার রাজপুতানি নিয়ে এলো। রাজপুতানিদের নাচ, বেহারাদের নাচ, কর্মসূত্রে জোড়াসাঁকোয় থাকা উৎকলবাসীদের নাচ। দোলের দিনে কত রকমের কত ধরনের নাচ, পুরুষরা নাচত মেয়ে সেজে। সিদ্ধি খেয়ে বেসামাল হয়েও দৃষ্টিকটু কেউ কিছু করত না।
রকমারি শব্দ। শব্দের তালে তালে নাচ। সেই নাচ শ্লীলতার সীমা লঙ্ঘন করেনি কখনও। দারোয়ানরা কোথা থেকে একবার রাজপুতানি নিয়ে এলো। রাজপুতানিদের নাচ, বেহারাদের নাচ, কর্মসূত্রে জোড়াসাঁকোয় থাকা উৎকলবাসীদের নাচ। দোলের দিনে কত রকমের কত ধরনের নাচ, পুরুষরা নাচত মেয়ে সেজে। সিদ্ধি খেয়ে বেসামাল হয়েও দৃষ্টিকটু কেউ কিছু করত না।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪১: সুন্দরবনে বাঘে-মানুষে সংঘাত
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৫০: অর্ধশতাব্দী ছুঁলো ‘অমানুষ’
বাড়ির দোতলায় অবনীন্দ্রনাথের পিতৃদেব গুণেন্দ্রনাথ নিজের মতো করে দোলোৎসব উদযাপন করতেন। সেখানে যাওয়ার হুকুম ছিল না ছোটোদের। নিষিদ্ধ ছিল বলেই কৌতূহল জাগ্রত হত, তীব্র হত। অবনীন্দ্রনাথ অকপটে স্বীকার করেছেন, হ্যাঁ, উঁকিঝুঁকি মারতেন। উঁকিঝুঁকি মেরে যা দেখেছেন, তা ঠাকুরবাড়ির বিলাসিজীবনের এক খণ্ডচিত্র।
এই আনন্দযজ্ঞে ‘নাচিয়ে’ও আনা হত। বন্ধুবান্ধবদের জুটিয়ে দোলের দিনে আনন্দে মাতোয়ারা হতেন গুণেন্দ্রনাথ। ফরাস তৈরি হত আবির দিয়ে। সেই আবির-ফরাসের উপর থাকত কাপড় বিছানো। কাপড়ে আবিরের লাল আভা স্পষ্ট হয়ে উঠত। গুণেন্দ্রনাথের সামনে থাকত গোলাপজলের পিচকারি, কাচের গড়গড়ার জলে থাকত গোলাপের পাপড়ি মেশানো। নলে টান পড়লেই পাপড়িগুলো ওঠা-নামা করত।
এই আনন্দযজ্ঞে ‘নাচিয়ে’ও আনা হত। বন্ধুবান্ধবদের জুটিয়ে দোলের দিনে আনন্দে মাতোয়ারা হতেন গুণেন্দ্রনাথ। ফরাস তৈরি হত আবির দিয়ে। সেই আবির-ফরাসের উপর থাকত কাপড় বিছানো। কাপড়ে আবিরের লাল আভা স্পষ্ট হয়ে উঠত। গুণেন্দ্রনাথের সামনে থাকত গোলাপজলের পিচকারি, কাচের গড়গড়ার জলে থাকত গোলাপের পাপড়ি মেশানো। নলে টান পড়লেই পাপড়িগুলো ওঠা-নামা করত।
স্বর্ণকুমারী দেবী।
দোলের দিনে ঠাকুরবাড়িতে এমন টুকরো টুকরো কত দৃশ্য! সব দৃশ্যই ছিল চোখ জুড়োনো। ওই আবির-ফরাসের ওপর নাচতে নাচতে পায়ের আঙুল দিয়ে ‘নাচিয়ে’ আবির সরাত। সরাতে সরাতে যেন আলপনা আঁকা হয়ে যেত। এসবের মাঝেই অক্ষয়বাবু মগ্ন হয়ে বাজাতেন তানপুরা।
অবনীন্দ্রনাথের ভালো লাগত দারোয়ানদের দোল। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘বৈঠকখানায় শখের দল, শৌখিনতার চূড়ান্ত— সেখানে লটকানে- ছোপানো গোলাপি চাদর, আতর, গোলাপ, নাচ, গান, আলো, ফুলের ছড়াছড়ি। কিন্তু সত্যি দোল-উৎসব করত দারোয়ানরাই —উদ্দণ্ড উৎসব, সব লাল, চেনাবার জো নেই। সিদ্ধি খেয়ে চোখ দুটো পর্যন্ত সবার লাল। দেখলেই মনে হত হোলিখেলা এদেরই।’
ঠাকুরবাড়ির ছোটোদের এই দোলোৎসব, এই ব্যাপক আয়োজন শুধু দেখে কাটাতো, তা নয়। তারা সক্রিয়ভাবে অংশও নিত। তাদের জন্য আসত টিনের পিচকিরি। বালতিতে গোলা হত লাল রং। সেই রং পিচকিরিতে ভরে হাতের কাছে যাকে পেত, তাকেই দিত। ছোটোরা সমবয়েসিদের সঙ্গে রং খেলত। বড়োদের পায়ে দিত আবির। অবনীন্দ্রনাথের লেখায় আছে, ‘বড়োদের রং মাখাবার হুকুম ছিল না, তাঁদের ওই পা পর্যন্ত পৌঁছত আমাদের হাত।’
অবনীন্দ্রনাথের ভালো লাগত দারোয়ানদের দোল। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ‘বৈঠকখানায় শখের দল, শৌখিনতার চূড়ান্ত— সেখানে লটকানে- ছোপানো গোলাপি চাদর, আতর, গোলাপ, নাচ, গান, আলো, ফুলের ছড়াছড়ি। কিন্তু সত্যি দোল-উৎসব করত দারোয়ানরাই —উদ্দণ্ড উৎসব, সব লাল, চেনাবার জো নেই। সিদ্ধি খেয়ে চোখ দুটো পর্যন্ত সবার লাল। দেখলেই মনে হত হোলিখেলা এদেরই।’
ঠাকুরবাড়ির ছোটোদের এই দোলোৎসব, এই ব্যাপক আয়োজন শুধু দেখে কাটাতো, তা নয়। তারা সক্রিয়ভাবে অংশও নিত। তাদের জন্য আসত টিনের পিচকিরি। বালতিতে গোলা হত লাল রং। সেই রং পিচকিরিতে ভরে হাতের কাছে যাকে পেত, তাকেই দিত। ছোটোরা সমবয়েসিদের সঙ্গে রং খেলত। বড়োদের পায়ে দিত আবির। অবনীন্দ্রনাথের লেখায় আছে, ‘বড়োদের রং মাখাবার হুকুম ছিল না, তাঁদের ওই পা পর্যন্ত পৌঁছত আমাদের হাত।’
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৮: অভিভাবিকা মা সারদা
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩৫: ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা
দোলোৎসবকে ঘিরে ঠাকুরবাড়িতে, বিশেষত মেয়েমহলে হত বাড়তি সাজগোজ। রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, ‘স্মৃতিচিত্র’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সে বইতে আছে ‘দোলপূর্ণিমার বিশেষ সাজ’ নিয়ে দু-চার কথা। ‘হালকা মসলিন শাড়ি’ কেন পরতেন, প্রতিমা দেবী সে রহস্য খোলসা করে জানিয়েছেন, ‘দোলের দিন সাদা মুসলিন পরার উদ্দেশ্য ছিল যে আবিরের লাল রং সাদা ফুরফুরে শাড়িতে রঙিন বুটি ছড়িয়ে দেবে।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ঠাকুরবাড়ির সকলে সক্রিয়ভাবে রং খেলায় অংশ নিতেন, তা নয়। আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটত নানা কর্মকাণ্ডে। খুশির রং লাগত তাঁদের মনে। হত নৃত্যগীতির আয়োজন, হত নাট্যাভিনয়। রবীন্দ্রনাথের ন’ দিদি ‘বসন্ত উৎসব’ নামে একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। এই নাটকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী দেবী দু-জনেই অভিনয় করেছিলেন। স্বর্ণকুমারীর এই নাটকটি জোড়াসাঁকোয় আবারও অভিনীত হয়েছে। সেবার রবীন্দ্রনাথও অভিনয় করেছিলেন। শুধু অভিনয় নয়, তিনি নিজেও ‘বসন্ত’ নামে একটি গীতিনাট্য লিখেছিলেন। নজরুল তখন কারাগারে। বইটি তাঁকে উৎসর্গ করেছিলেন কবি। কারাগারে তখন প্রতিবাদে মুখরিত নজরুল অনশনরত। রবীন্দ্রনাথ কারাগারেই উৎসর্গ করা নাটকটি তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, অন্য লড়াই: এই স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়াই করিনি
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৫০: কুষ্টি বিচার, না কি রক্ত বিচার! জরুরি কোনটা?
জ্যোতিরিন্দ্রনাথও ‘বসন্তলীলা’ নামে একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ মুখে মুখে নিজের জীবনকথা শুনিয়েছিলেন বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়কে। বসন্তকুমার অনুলিখিত জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’তে আছে প্রাত্যহিক আড্ডায় গুণেন্দ্রনাথকে তিনি বলেছিলেন, ‘এসো না, আমরাও একদিন সেকেলে ধরনের বসন্ত উৎসব করি।’ তাঁর এই প্রস্তাব গুণেন্দ্রনাথের মনে ধরেছিল। মহাসমারোহে বসন্ত উৎসব উদযাপনের ব্যবস্থা হয়েছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’তে রয়েছে সে বর্ণনা, ‘একদিন এক বসন্ত-সন্ধ্যায় সমস্ত উদ্যান বিবিধ রঙিন আলোকে আলোকিত হইয়া নন্দনকাননে পরিণত হইয়া উঠিল। পিচকারি আবির কুঙ্কুম প্রভৃতি প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম উপস্থিত হইয়া গেল। শুধু আবিরখেলা হইতে লাগিল। তারপর গান-বাজনা আমোদপ্রমোদও কিছুমাত্র বাদ গেল না।’
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ঠাকুরবাড়িতে কোনও উৎসবেরই ধর্মীয় দিক নিয়ে তেমনভাবে ভাবা হয়নি, সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে কীভাবে আনন্দ এ-মনে সে-মনে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়েই ছিল যত ভাবনা-চিন্তা। সেই চিন্তা, সেই ভাবনা সব সময়ই ফলপ্রসূ হয়েছে। নতুন, নতুনতর ব্যাপ্তি পেয়েছে। প্রতিবারই নব আনন্দে জেগে উঠেছে।
ছবি সৌজন্যে: লেখক
ছবি সৌজন্যে: লেখক
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।