মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪


শিকারের অপেক্ষায়। ছবি: সংগৃহীত।

সুন্দরবনের বাঘ যে অন্য সব বাঘের থেকে স্বভাবে অনন্য তা অনেকেই জানি। কিন্তু কোন কোন ব্যাপারে তারা অন্যদের থেকে আলাদা? আর কেনই বা আলাদা? আসলে সুন্দরবনের বাঘ হল পৃথিবীতে একমাত্র বাঘ যারা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের স্থায়ী বাসিন্দা। পৃথিবীর আর কোনও ম্যানগ্রোভ অরণ্যে বাঘ নেই।

বাঘের ‘মাসি’ বিড়াল যে গাছে চড়তে ওস্তাদ তা সবাই জানি। চিতাবাঘেরাও গাছে চড়তে পারে। কিন্তু বিশাল বপুর বাঘেরা গাছে চড়তে পারে না। খাড়া গাছে তো নয়ই। কিন্তু কথায় বলে ঠেলার নাম বাবাজি। সুন্দরবনের বাঘ বিপদে পড়লে গাছের উপর আশ্রয় নেয়। এমনকি খাড়া গাছেও উঠে যেতে পারে। যেহেতু সুন্দরবন অত্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ, সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাস প্রায়শই হয় তাই আত্মরক্ষার জন্য সুন্দরবনের বাঘকে গাছের উপর উঠে যেতে হয়।
সুন্দরবন অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় দু’বার জোয়ার আর দু’বার ভাঁটা হয়।

তাই সুন্দরবনের বাঘ তার শিকার ধরার জন্য যথেষ্ট সময় পায় না। দিনরাত মিলিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় পায় খাবার সংগ্রহের জন্য। এর মধ্যে খাবার পেলে ভালো, নয়তো শুকিয়ে থাকতে হয়। তাই অনেক সময় দেখা যায় অনেক বাঘ ঝুঁকি নিয়ে নদীর তীরে শিকারের সন্ধানে ব্যস্ত। বিশেষ করে যেসব বাঘিনীর সন্তান রয়েছে তারা একটু বেশি ঝুঁকি নেয়। বাঘেরা ভাটার সময়ই নদীর তীরে শিকারের সন্ধানে বেরোয়।
সুন্দরবনে জোয়ারের বেগ ভাটার তুলনায় অনেক বেশি। তাই বিপদটা জোয়ারের সময় হয় বেশি। জোয়ারের জল যখন খুব দ্রুত বাড়তে থাকে নদীর তীরে থাকা বাঘকে খুব দ্রুত উঁচু জায়গায় চলে যেতে হয়। সমস্যা বেশি হয় যদি সাথে বাচ্চারা থাকে। দেখা গিয়েছে অনেক সময় বাঘের বাচ্চা স্রোতে ভেসে চলে গিয়েছে। আবার অনেক সময় কোনও বাঘ যদি জোয়ারের ধাক্কা সামলে নিরাপদ জায়গায় যেতে না পারে তখন কোনও গাছের ডাল আঁকড়ে নিজেকে বাঁচায়।

সুন্দরবনের বাঘ অন্যান্য বাঘের মত মূলত নিশাচর প্রাণী। তাই তারা শিকারের সন্ধানে বের হয়ে রাতে। কিন্তু সুন্দরবনের বাঘ দিনের বেলাতেও শিকারের সন্ধানে বেরোয়। আসলে বেরোতে বাধ্য হয়, কারণ এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সব সময় রাতে শিকার ধরা সম্ভব হয় না। তাই পর্যটকরা মাঝে মাঝে দিনের বেলায় নদীর কূলে বাঘকে দেখতে পান। আবার বাউলে ও মৌলেরা দিনের বেলাতেই মাঝে মাঝে বাঘের শিকারে পরিণত হয়।

সুন্দরবনের খাঁড়িতে মৎস্যজীবীরা নৌকোয়। ছবি: সংগৃহীত।

সুন্দরবনের বাঘের এলাকা চিহ্নিতকরণের বৈশিষ্ট্য অন্যান্য জায়গার বাঘের তুলনায় অনন্য। প্রজননের সময়টুকু বাদ দিলে বাঘ বা বাঘিনী একা থাকতেই পছন্দ করে এবং তাদের নিজস্ব এলাকা তারা চিহ্নিত করে রাখে যাতে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী তার এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে। এ জন্য সুন্দরবনের বাঘ বা বাঘিনীরা একপ্রকার রাসায়নিক তরলের সাহায্য নেয়। উদ্বায়ী এই রাসায়নিককে বলা হয় ফেরোমন। বাঘ বা বাঘিনী লেজ তুলে তার পায়ুর কাছে অবস্থিত গ্রন্থি থেকে ফেরোমন নিঃসরণ করে। পিচকারির মতো এই রাসায়নিক সে ছিটিয়ে দেয় তার এলাকার সীমানার নানা গাছের বাকলে। যখন এরা ফেরোমন ছেটায় তখন তা দুটি ধারায় নির্গত হয়। একটি ধারা গাছের ওপরের দিকে ও অপর ধারা নিচের দিকে বাকলের উপর পড়ে।

এই ফেরোমন উদ্বায়ী হওয়ায় গন্ধবাহী অণুগুলি দ্রুত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর সেই গন্ধবাহী অণু ম্যানগ্রোভের পাতায় থাকা মোমে আটকে যায়। ফলে জোয়ারের জলে গাছের গুঁড়িতে লেগে থাকা ফেরোমন ধুয়ে গেলেও এর গন্ধবাহী অণুগুলি গাছের পাতায় আটকে থাকে। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের পাতা, বিশেষ করে সুন্দরী গাছের পাতায় মোম এর পরিমাণ খুব বেশি থাকে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩৯: সুন্দরবনের ব্যাঘ্র-ইতিহাস

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২: রাজমালা অনুসারে রত্ন মাণিক্যের পিতা হলেন ডাঙ্গর ফা, তিনিই ধর্ম মাণিক্য

এই কারণে সুন্দরী গাছের পাতায় রোদ পড়লে ঝিকমিক ঝিকিমিক করে। যেহেতু এই পাতায় মোম এর পরিমাণ বেশি তাই বাঘের ফেরোমনের উদ্বায়ী অণুগুলি পাতার মোমে বেশি পরিমাণে আটকে থাকে। প্রতিদ্বন্দ্বী বাঘ বা বাঘিনী এই গন্ধ পেলে তার এলাকায় প্রবেশ করে না। বস্তুত কোনও বাঘ বা বাঘিনী তার নিজস্ব এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় যায় না কারণ তাতে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে। বাঘের ফেরোমনের গন্ধ এতটাই তীব্র যে অভিজ্ঞ মৌলে বা বাউলেরা এই গন্ধ অনুভব করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেরোমন ছিটানোর দশ দিন পরেও ম্যানগ্রোভের পাতায় তার গন্ধ অনুভব করা গিয়েছে। বাঘের বয়স বাড়লে ফেরোমনের গন্ধের তীব্রতা কমে যায়। তখন বাঘকে আরও কম সময়ের ব্যবধানে বারে বারে ফেরোমন ছেটাতে হয়। বাঘের প্রজনন মরশুম এলে বাঘ বা বাঘিনী তার সঙ্গী বা সঙ্গিনী খুঁজতে ফেরোমনের আশ্রয় নেয়।

সুন্দরবনের বা। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে সমস্ত বাঘ বা বাঘিনীর ফেরোমন এক, নাকি আলাদা? ফেরোমনের প্রকৃতি এক রকম হলেও এতে যে সমস্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে তার সংখ্যায় সামান্য হলেও তারতম্য থাকে। আর এটাই একটা বাঘ বা বাঘিনী শনাক্ত করতে পারে যে সেই ফেরোমন অন্য কোনও বাঘ নাকি বাঘিনীর। একটি বাঘ বা বাঘিনীর নিজস্বতা পুরোপুরি ফেরোমনের প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।

এখন আর একটা প্রশ্ন পাঠকের মনে জাগতে পারে তা হল সুন্দরবনের বাঘের শিকার প্রাণীরা যেমন হরিণ, শূকর ইত্যাদি কি বাঘের ফেরোমনের উপস্থিতি টের পায় না? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পায় কিন্তু তাদেরকে তো ওই জঙ্গলের মধ্যেই ঘুরে বেড়াতে হয়। ফলে বাঘের এলাকার মধ্যে দিয়েই তারা বিচরণ করতে বাধ্য হয়। তাই ফেরোমনের গন্ধ ওদের কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং ওরা বোঝার চেষ্টা করে বাঘের গায়ের গন্ধ। যদি হরিণ কাছাকাছি বাঘের গায়ের গন্ধ পায় তবে ওরা দৌড় লাগায়।
আরও পড়ুন:

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৫০: অর্ধশতাব্দী ছুঁলো ‘অমানুষ’

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫১: সেই ‘পৃথিবী আমারে চায়’

সীমানা চিহ্নিত করার জন্য সুন্দরবনের বাঘেরা তাদের নখেরও আশ্রয় নেয়। তারা নরম বাকলযুক্ত গাছের গায়ে আঁচড় কাটে। পুরুষ বাঘেরা প্রধানত ধুধুল গাছে এবং স্ত্রী বাঘেরা প্রধানত কেওড়া ও বাইন গাছের বাকলে বেশি আঁচড় কাটে। আঁচড় কাটার সময় আঙ্গুলের মাঝে থাকা বিশেষ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস গাছের বাকলে লেগে যায়। ফলে এটিও সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজে লাগে। সুন্দরবনে জঙ্গলের মধ্যে তাই মাঝে মাঝেই গাছের গায়ে আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। অবশ্য এই আঁচড় কাটার অন্য একটা উদ্দেশ্যও আছে। আমরা যেমন ছুরি কাঁচি বটি ইত্যাদি ধারালো করার জন্য শান দিই ঠিক তেমনই বাঘও আঁচড় কেটে তার নখকে শান দেয়। এর ফলে ওদের নখের তীক্ষ্ণতা বজায় থাকে।

ভাটার সময় খাঁড়ি পেরোচ্ছে এক বাঘ। ছবি: সংগৃহীত।

সুন্দরবনে মিষ্টি জলের খুবই অভাব। নদী, নালা, খাঁড়ি সর্বত্রই নোনা জল। জঙ্গলের গভীরে যদি কোথাও প্রাকৃতিকভাবে কোনও নিচু জায়গা থাকে তবে সেখানে বর্ষাকালে বৃষ্টির জল সঞ্চিত হতে পারে। সুতরাং মিষ্টি জলের উৎস বলতে সেটুকুই। মিষ্টি জলের এই অনিশ্চিত ও অপ্রতুল উৎস সুন্দরবনের বাঘকে বাধ্য করেছে নোনা জল পান করার অভ্যাস অর্জন করতে। এতে আপাতভাবে ওদের প্রাণ বাঁচে ঠিকই তবে দীর্ঘদিন নোনা জল পান করলে বাঘের যকৃৎ ও বৃক্কের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের বাঘের যকৃত ও বৃক্কের সমস্যা অন্যান্য জায়গার বাঘের তুলনায় বেশি। অনেকের মতে, এই নোনা জল পান করার কারণেই সুন্দরবনের বাঘের হিংস্রতা বেশি। তবে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে। ভারতীয় অংশের সুন্দরবনে জলের লবনাক্ততা গত কয়েক দশকে বেড়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে এই নোনা জলের প্রভাবে সুন্দরবনের বাঘের লোমের ঔজ্জ্বল্য আগের থেকে কমেছে। কমেছে লোম এর মসৃণতাও।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৫: রবি ঠাকুরের বড় মেয়ে— যিনি লেখক হতে চেয়েছিলেন!

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৪: রাজনীতিতে, যুগান্তরেও স্বার্থচিন্তার আবহমান প্রভাব

শুধু পানীয় জলের ক্ষেত্রে নয়, খাবারের ক্ষেত্রেও স্বভাবে পরিবর্তন এসেছে সুন্দরবনের বাঘের। এদের স্বাভাবিক খাদ্য হল চিতল হরিণ ও বুনো শূকর। কিন্তু এই স্বাভাবিক খাদ্যের অভাব তাদের বাধ্য করেছে ভিন্ন প্রকার খাদ্যের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে। মৃত বাঘের খাদ্যনালী এবং বাঘের মল পরীক্ষা করে দেখা গেছে মাছ, কাঁকড়া, কচ্ছপ, গোসাপ এমনকি ইঁদুর, ব্যাঙ, গুগলি, শামুক, পোকামাকড়ও খেতে বাধ্য হচ্ছে।

যেহেতু সুন্দরবনের জঙ্গল অসংখ্য নদী, খাঁড়ি, নালা, খাল ইত্যাদির জাল দিয়ে বিভক্ত তাই সুন্দরবনের বাঘকে একদিক থেকে আর একদিকে যেতে এসব পেরোতেই হয়। এই কারণে সুন্দরবনের বাঘ সাঁতারে পটু। সুন্দরবনের নদী, নালা, খাঁড়িতে সবসময় হয় জোয়ার নয়তো ভাঁটা থাকে। তাই স্রোতযুক্ত নদী, নালা, খাঁড়িতে সাঁতার দেওয়ার অনন্য বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে সুন্দরবনের বাঘ। যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এরা সাঁতার দিতে পারে। দেখা গেছে এদের সাঁতারের গতিবেগ গড়ে ১৩.২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।

নোনা জল পানরত সুন্দরবনের বাঘ। ছবি: সংগৃহীত।

তবে সুন্দরবনের বাঘের সবচেয়ে বড় বদনাম হল সে নাকি মানুষখেকো। সত্যিই কি তাই? বিশেষজ্ঞদের হিসেব, সুন্দরবনের বাঘের বড়জোর চার শতাংশ হয় মানুষখেকো। ১৯৭১ সালে জার্মান জীববিজ্ঞানী হুবার্ট হেনড্রিকস বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে প্রায় তিন মাস ধরে এক সমীক্ষা চালান। তিনি দেখেন যেসব অঞ্চলের জলে লবনাক্ততা বেশি সেখানেই বেশি মানুষ বাঘের শিকার হয়েছে।। তবে বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধের কারণে তিনি তার সমীক্ষা সম্পূর্ণ না করে দেশে ফেরত যান। তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা সমীচীন হবে না।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৭: শ্যামাসুন্দরী দেবীর লোকান্তর গমন

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৭: কবিকন্যার সঙ্গে নগেন্দ্রনাথের সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও কবির সঙ্গে ঘটেনি

এখন প্রশ্ন হল, সুন্দরবনের বাঘ কী করে মানুষ খেতে শিখল? মানুষ তো তার স্বাভাবিক খাদ্য নয়। অনেকের মতে, যখন বহুকাল আগে গঙ্গা নদীর সমস্ত প্রবাহ সুন্দরবনের নদী নালার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতো তখন অনেক মৃতদেহ কিংবা শ্মশান থেকে আধপোড়া দেহ সেই স্রোতে ভেসে সুন্দরবনের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছত। হয়তো তখনই সুন্দরবনের বাঘ সেইসব মৃতদেহ ভক্ষণ করে মানুষের মাংসের প্রতি আকৃষ্ট হয়। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউ-এর প্রাক্তন সম্পাদক এস ডিলন রিপ্লের মতে সুন্দরবনের বাঘেরা জেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে তাদের মাছ ধরার জাল থেকে। সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা নদী-নালা খালের মধ্যে তাদের জাল আটকে দিয়ে দূরে অপেক্ষা করে। যখন জোয়ারের জল নামতে শুরু করে জালে মাছ আটকায় আর তখন তারা সেই মাছ জাল থেকে তুলতে আসে। বাঘেরা দূর থেকে মাছের গন্ধ পায়। আর মাছের গন্ধের সাথে মানুষের উপস্থিতির সম্পর্ক তারা উপলব্ধি করতে শিখেছে। ফলে মৎস্যজীবীরাই বেশি পরিমাণে বাঘের শিকার হচ্ছে।

সাঁতরে নদী পার। ছবি: সংগৃহীত।

এই সব তথ্য কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে সুন্দরবনের বাঘের স্বাভাবিক খাদ্যের অভাব, তাদের বাসস্থানে মানুষের অনধিকার প্রবেশ ও তাদের খাদ্যে ভাগ বসানো এবং বাসস্থান ধ্বংস যে মানুষকে তাদের শত্রু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে একথা নিশ্চিত করে বলা যায়।—চলবে।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।

Skip to content