শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এখন ছোটদের পড়াশোনার খুব চাপ। শুধু পড়াশুনাই তো নয়, পাশাপাশি বাচ্চারা আরও অনেক কিছু করতে হয়, যেমন: নাচ, গান, আঁকা, বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা ইত্যাদি। অন্যমনস্কতা দৈনন্দিন জীবনে একটা বড় সমস্যা, আর যে কারণেই সব সময় পড়াশুনায় মনোনিবেশ করা যায় না। আবার অনেক সময় স্মৃতিশক্তির অভাবেও বাচ্চারা পড়া মনে রাখতে পারে না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা সমস্যাটি ঠিক কোথায় তা বুঝতে না পেরে বকাবকি করেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে অভিভাবকরা মনে করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনোযোগ ফিরে আসবে। অনেকের হয়তো জানা নেই, সরাসরি খাদ্যভ্যাসের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি সম্পর্ক রয়েছে। তাই স্মৃতিশক্তিকে মজবুত বা শক্তিশালী করতে খাদ্য তালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা জরুরি। এমন কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হবে। বাড়বে স্মৃতিশক্তি। বাচ্চা মনোযোগীও হবে। তবে মনে রাখতে হবে এক একজন শিশুর মস্তিষ্কের গঠন আলাদা। তাই তাদের কার্যকারিতাও আলাদা। স্বভাবতই তাদের বুদ্ধি এবং মেধাও আলাদা আলাদা হবে।
আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: হাড় মজবুত রাখতে এই সব খাবার রোজ খেতেই হবে

এই দেশ এই মাটি, পর্ব-৩৭: সুন্দরবনের নদীবাঁধের ভবিতব্য

 

ডিম

ডিমকে প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস মনে করা হয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটা ডিম বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ডিমে উপস্থিত কোলিন মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে।
 

মাছ

শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসি মাছে যথেষ্ট মাত্রায় থাকে। প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় মাছ রাখলে এই উপাদানটির অভাব দূর করে।
 

ঘি

প্রতিদিন শিশুকে খাবারের সঙ্গে এক চামচ ঘি দিন। ঘি বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি মজবুত করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৩: ইন্দিরা দেবী—ঠাকুরবাড়ির আলো!

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৫: মা সারদার ভ্রাতৃবিয়োগ

 

বেরি

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরিজাতীয় ফলে পরিমাণ অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করে তোলে। ফলে এ ধরনের ফল বাড়ন্ত বয়সে বেশি করে খাওয়াতে হবে ছোটদের। বেরি মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষকে প্রদাহজনিত সমস্যা এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে দূরে রাখে।
 

দুধ

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার শিশুদের মস্তিষ্কের কোষের গঠন ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। এই ভিটামিন আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে ও স্নায়ুকোষের আয়ু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
 

ওটস

ওটসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই, জিঙ্ক, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স থাকে, যা শিশুকে মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
 

আখরোট

আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। আশ্চর্যের ব্যাপার আখরোট দেখতেও অনেকটা মস্তিষ্কের মতোই। প্রতিদিন একটা করে আখরোট খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকবে, সঙ্গে অবসাদও দূর হবে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮১: কবির ‘গানের ভাণ্ডারী’ দিনেন্দ্রনাথ বৈষয়িক-কারণে শান্তিনিকেতন ত্যাগ করেছিলেন

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪৯: শ্রদ্ধাঞ্জলি— প্রযোজক-গায়িকা অসীমা মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক ও গীতিকার মিল্টু ঘোষ

 

অ্যাভকাডো

মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে অ্যাভকাডো। এতে থাকা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। আবার এতে উপস্থিত ওলিক অ্যাসিড মাইলিনকে নিরাপত্তা প্রদান করে।
 

সবুজ শাকসব্জি

গবেষণা বলছে, সবুজ শাকসব্জি স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দূর করে। সবুজ শাকপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, প্রোটিন, ফোলেট এবং বিটা ক্যারোটিন উপস্থিত থাকে, যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে উপকারী।
 

ডার্ক চকোলেট

ডার্ক চকোলেটে থাকা ফ্লাভনয়েড, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজমা বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে বিশেষ ভাবে সহায়ক।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content