একদিকে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত সাইক্লোনের সংখ্যা ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বাড়ছে, অন্যদিকে সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চল ক্রমশ অবনমিত হয়ে যাচ্ছে। একদিকে সুন্দরবনের নদীগুলিতে মিষ্টি জলের প্রবাহ ও হিমালয় থেকে আগত পলির পরিমাণ কমছে, অন্যদিকে নদীবক্ষে জেগে উঠছে একের পর এক চড়া। ইতিমধ্যে লোহাচড়া, সুপারিভাঙা, বুলচেরি, বেডফোর্ড দ্বীপ তলিয়ে গিয়েছে সমুদ্রগর্ভে। চরম বিপন্ন ঘোড়ামারা ও মৌসুনি দ্বীপ। অদূর ভবিষ্যতে এই দ্বীপদুটিও বিলুপ্ত দ্বীপের তালিকায় নাম লেখাবে। ভাঙছে সাগরদ্বীপ, জি-প্লট, এল-প্লট, নামখানা, গোসাবা, হিঙ্গলগঞ্জ ইত্যাদি দ্বীপও।
বস্তুত ৫৪টি বসতি দ্বীপের (নদীর বিলুপ্তির ফলে বসতি দ্বীপগুলি জুড়ে গিয়ে সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৫) কোনওটাই নিরাপদ নেই। কীভাবে রক্ষা পেতে পারে আমাদের গর্বের ধন সুন্দরবন? বিভিন্ন নদী বিশেষজ্ঞ যেসব মতামত দিয়েছেন সেগুলি একত্রিত করে আলোচনা করলাম।
অতিরিক্ত বাঁধ
● যেসব জায়গার বাঁধ ভাঙনপ্রবণ সেখানে বাঁধকে পেছনে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তার পিছনে আরও একটি অতিরিক্ত বাঁধ (যা রিং বাঁধ নামে পরিচিত) নির্মাণ করতে হবে। নদীকে আটকে রাখার চেষ্টা করলে আজ না হয় কাল তা জমি গ্রাস করবেই। এজন্য যাঁদের বাড়ি, জমি ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকারকে তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুণর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি আবার সেখানে নদী বাঁধকে গ্রাস করে, আবার পেছোতে হবে। দেশবিদেশের অভিজ্ঞতায় নদী বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, নদী একই জায়গায় চিরকাল একইভাবে ভাঙন ধরায় না। সুতরাং একদিন আর পেছোনোর প্রয়োজন হবে না।
মাটি পরীক্ষা করে বাঁধের জন্য মাটি ব্যবহার করতে হবে
● আমরা প্রায়শই শুনি, কংক্রিটের বাঁধ সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারে। সাধারণ মানুষও এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে বা সরকারি আধিকারিকদের কাছে দরবার করে। কংক্রিটের নদীবাঁধ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করতেও দেখা গিয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মত হল, কংক্রিটের বাঁধের কোনও যৌক্তিকতা নেই। কংক্রিটের নদীবাঁধ নির্মাণ স্রেফ বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়। কংক্রিটের নদীবাঁধ কখনওই সুন্দরবনের নদীবাঁধ ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। এই বাঁধে ঢেউ ধাক্কা খেয়ে তার উচ্চতা যেমন বাড়ায়, তেমনই বাঁধের নিচের মাটিতে বেশি ক্ষয়কার্য চালায়। তাছাড়া নদীর তীর বরাবর বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। তাই মাটির বাঁধের পক্ষেই অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মত।
তবে নদীর তীরের বা মাটির উপরের স্তরের নরম ও আলগা মাটি দিয়ে বাঁধ বানানো উচিত হবে না। মাটি পরীক্ষা করে তবেই বাঁধের জন্য সেই মাটি ব্যবহার করতে হবে। বাঁধ হবে নদীর পাড় থেকে বেশ কিছুটা দূরে এবং বাঁধের ঢাল খাড়া হবে না। বাঁধের ঢাল এবং বাঁধ ও নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাদাবন তৈরি করতে হবে। এতে বাঁধের মাটির ক্ষয় যেমন রক্ষা পাবে, ঢেউয়ের প্রাথমিক ধাক্কাও সামাল দেবে বাদাবন। ফলে বাঁধের উপর ঢেউয়ের সরাসরি ধাক্কা এসে পড়বে না। ক্রমাগত পলি সঞ্চয় হয়ে নদী ও বাঁধের মধ্যবর্তী অঞ্চল শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে।
এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ দেখা গিয়েছে পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি-প্লটে। এই দ্বীপের দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের দিকে প্রবল ভাঙন হচ্ছিল। WWF (World Wide Fund for Nature)-এর উদ্যোগে ভাঙন-প্রবণ অংশের ইন্টার-টাইডাল অঞ্চলে (ভরা জোয়ারের সময় জলতল সর্বোচ্চ যতদূর পৌঁছায় ও ভাটায় জলতল যতটা সর্বনিম্নে নেমে যায় তার মধ্যবর্তী অঞ্চল) কয়েকটি সারিতে পাতকুয়া তৈরির মাটির বেড়ি বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষামূলকভাবে। দেখা গেল ওই বেড়িগুলোর মধ্যে দ্রুত পলি জমছে। কিছুদিন পর সেই জমা পলির উপর জন্মাল ধানি ঘাস। তারও কিছুদিন পর সেখানে জোয়ারের জলে ভেসে আসা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বীজ থেকে জন্মেছে ম্যানগ্রোভ চারাগাছ। তার মানে, এটা বোঝা গেল যে যদি আমরা বাঁধের সামনে পলি সঞ্চয় করার ব্যবস্থা করতে পারি তবে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ম্যানগ্রোভ জন্মাবে, কৃত্রিম বনসৃজন করার কোনও প্রয়োজন পড়বে না। সাগরদ্বীপের ভাঙনপ্রবণ দক্ষিণ অংশে অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
আসলে ম্যানগ্রোভ লাগিয়ে বনসৃজনের চেষ্টা একটা অর্থহীন কাজ। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদকে জন্মানোর পরিবেশ তৈরি করে দিলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাভাবিকভাবে তারা উপকূলবর্তী বনভূমি তৈরি করে নিতে পারে। ভোটমুখী রাজনীতিতে চাই চটকদার কাজ। তাই সেখানে গুরুত্ব পায় রাজনীতিকদের ভাবনা। পরিবেশবিজ্ঞানী ও নদীবিশেষজ্ঞদের ভাবনা সেখানে ব্রাত্য।
ভেদ্য বাঁধ
● ভেদ্য বাঁধ (Permeable dam) তৈরি করে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পর্যালোচনা করতে হবে। ইওরোপে ভেদ্য বাঁধের কার্যকারিতা প্রমাণিত। এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে সমুদ্রের করাল গ্রাস থেকে ইওরোপীয় সভ্যতা টিকে রয়েছে অজস্র ভেদ্য বাঁধের উপর নির্ভর করেই। ইউরোপের বহু দেশের উচ্চতা সমুদ্রের তলের থেকে নিচে। এ ব্যাপারে নেদারল্যান্ড সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। কিন্তু এইসব দেশের জনপদকে রক্ষা করছে বড়ো বড়ো বাঁধের সামনে থাকা অসংখ্য ছোট ছোটো বাঁধ। বাঁশ, গাছের ডালপালা দিয়ে তৈরি এইসব বাঁধকেই বলা হয় ভেদ্য বাঁধ। এই বাঁধে জল আটকায় না, কিন্তু ঢেউ ধাক্কা খায়। ফলে ওই অংশে পলি জমে তৈরি হয় সল্ট-মার্স। ওই সল্ট মার্সে তৈরি করা হয় বাদাবন। প্রাকৃতিকভাবেও ওখানে ম্যানগ্রোভ জন্মায়। বাদাবন তৈরি করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মতভাবে উদ্ভিদ পর্যায়ক্রম (Plant succession) অণুসরণ করতে হবে। যেমন জলের দিক থেকে বাঁধের দিকে ক্রমান্বয়ে ধানি ঘাস > বাইন > খলসে > গোলপাতা > কেওড়া > গর্জন > গরিয়া > কাঁকড়া > ধুঁধুল > পশুর > সুন্দরী > গেঁওয়া। তবে দ্বীপভেদে ও স্থানভেদে এই পর্যায়ক্রমের পরিবর্তন হতেই পারে। এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা প্রমাণিত। আর এর অন্য একটি সুবিধাও আছে। ভেদ্য বাঁধ নির্মাণ, স্থাপন ও সারাই, ম্যানগ্রোভ চারা তৈরি, বাদাবন তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ, মূল বাঁধের সারাই ইত্যাদি কাজের জন্য স্থানীয়ভাবে প্রচুর শ্রমদিবস তৈরি করা সম্ভব হবে। আর তাতে স্থানীয় মানুষের রুজিও বাড়বে। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত জিনিস দিয়েই তৈরি হবে ভেদ্য বাঁধ। ফলে সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য এ হতে পারে এক পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ।
অফ শোর বাঁধ
● সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. সুগত হাজরার মতে, অফ শোর বাঁধ (Off Shore Dam) ভাঙনপ্রবণ বহু দ্বীপকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে। সমীক্ষায় প্রকাশ, ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুন্দরবনের মনুষ্যবসতিহীন দ্বীপগুলিতে যেখানে কোনও নদীবাঁধ নেই কিন্তু ম্যানগ্রোভের জঙ্গল আছে সেখানে ভাঙনের কবলে দ্বীপভূমি হ্রাস পেয়েছে ১১০ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু মনুষ্যবসতিযুক্ত দ্বীপগুলিতে যেখানে নদীবাঁধ আছে সেখানে দ্বীপভূমি হ্রাস পেয়েছে ২০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে তীব্র ভাঙনপ্রবণ ঘোড়ামারা, মৌসুনি ও সাগরদ্বীপও আছে। তাহলে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল কেন পারল না ভাঙন রোধ করতে? এর প্রধান কারণ লুকিয়ে আছে ভারতীয় সুন্দরবন অংশে ম্যানগ্রোভের স্বাস্থ্যে। যেহেতু প্রাকৃতিক কারণে এই অংশে জলের লবনাক্ততা অনেক বেড়ে গিয়েছে তাই ম্যানগ্রোভগুলি হয়ে গেছে স্বাভাবিকের তুলনায় বেঁটে ও দুর্বল। তাই এদের পক্ষে শেকড়ের সাহায্যে মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখা কিংবা তীব্র ঝড় বা ঢেউয়ের অভিঘাত সহ্য করার ক্ষমতা কম। তাহলে উপায়? সেক্ষেত্রে ড. হাজরার পরামর্শ, তীরভূমি থেকে কিছু দূরে সমুদ্রে তৈরি করতে হবে ডুবো বাঁধ (Submerged wave breaker) যা ঢেউগুলোকে ভেঙে দিয়ে তার শক্তি অনেকটা কমিয়ে দেবে। এর পর ঢেউ এসে যেটুকু মাটি ক্ষয় করবে তা সমুদ্রে ফিরতে পারবে না ওই ডুবো বাঁধের কারণে। ফলে ক্ষয়ে যাওয়া মাটি জমা হতে থাকবে ডুবো বাঁধ ও তীরের মাঝে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ঢেউয়ের সাথে আসা পলি। ফলে ওই জায়গা ধীরে ধীরে ভরাট হবে। কালক্রমে জন্মাবে ম্যানগ্রোভ। রক্ষা পাবে সুন্দরবনের ভাঙনপ্রবণ দ্বীপ।
তথ্যভান্ডার গড়ে তুলতে হবে
● সুন্দরবনের নদী ও নদীবাঁধসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি বিস্তৃত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা একান্ত আবশ্যক। এতে নদীগুলির চরিত্র ও গতিপথ পরিবর্তন, বিভিন্ন জায়গায় নদীর গভীরতা, স্রোতের বেগ, বিভিন্ন দ্বীপে জোয়ারের সময় জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ, বাঁধের হালহকিকত, প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বাদাবনের অবস্থা ও কার্যকারিতা, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও মানুষের জীবন-জীবিকার উপর তার প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে সাম্প্রতিকতম তথ্য পাওয়া যাবে এবং পরিবর্তনের কারণ ও অভিমুখ সম্বন্ধে ধারণা করা যাবে। এইসব তথ্যের ভিত্তিতে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সুবিধাজনক হবে।
সমস্ত পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করে পরিকল্পনার সাফল্য। এজন্য সরকারের অর্থ সংস্থানের পাশাপাশি সৎ ও দক্ষ প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং দলনিরপেক্ষ রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন। পরিকল্পনা রূপায়ণের প্রতিটি স্তরে সুন্দরবনের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য স্থানীয় মানুষকে নদীবাঁধের ভাঙন ও তার বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের বিষয়ে সচেতন করতে হবে এবং তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি, নদীবাঁধ ভাঙনকে আলাদাভাবে না দেখে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখতে হবে। বাদাবন ও জীববৈচিত্র্য হ্রাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী সমস্যা, বাঁধের ভাঙন, মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা —সমস্ত বিষয়কে এক ছাতার তলায় এনে বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য কোনও রাজনৈতিক গিমিক সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারবে না।
ত্রাণ, দান, ভর্তুকি, রাস্তা ও সেতু নির্মাণ ইত্যাদি কখনওই সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারে না। সুন্দরবনকে রক্ষা করার দায়িত্ব সুন্দরবনবাসীর। এটা সুন্দরবনবাসীকে ভাবাতে হবে। সুন্দরবনকে রক্ষা করার কাজে সুন্দরবনবাসীকে সর্বাগ্রে সামিল করতে হবে। রাজনীতি, ধর্ম, ক্রিকেট ইত্যাদি নিয়ে আমরা বাসে ট্রেনে ক্যান্টিনে চায়ের দোকানে অনেক চর্চা করি। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে চর্চা থেকে শতহস্ত দূরে থাকি। তাই সর্বাগ্রে সুন্দরবনবাসীকে সুন্দরবনকে রক্ষা করার বিজ্ঞানসম্মত ভাবনায় ভাবাতে হবে, সেইমতো ভাবানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
অনেক দেরি করে ফেলেছি আমরা। যদি এখনও আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি না বদল করি, যদি এখনও আমরা অবৈজ্ঞানিক ও প্রকৃতিবিরুদ্ধ প্রযুক্তির পেছনে সময় ও অর্থ ব্যয় করি তবে সেদিন আর খুব দূরে নেই যেদিন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্মকে সুন্দরবনের ৪৫ লক্ষ মানুষের হন্তারক হিসেবে চিহ্নিত করবে।—চলবে।
ছবি: লেখক ও সংগৃহীত।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।