রবিবার ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

আমাদের শরীরের ভিত হাড়। কিন্তু একটা বয়সের পর এই হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে, আর যে কারণেই আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই। হাড়ের প্রধান উপাদান ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন-ডি। ক্যালশিয়াম হাড় এবং দাঁত গঠনে সাহায্য করে। আর ভিটামিন-ডি ক্যালশিয়ামের শোষণ বাড়ায়, আর হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা প্রয়োজন।

ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন-ডি এর অভাবেই সাধারণত হাড়ের নানা সমস্যা দেখা যায়। তাই ছোট থেকেই যদি আমরা এই ক্যালশিয়াম এবগ ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখি তবে বয়সকালে হাড়ের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও কম দেখা যাবে। আজ আমরা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিছু ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার সম্বন্ধে জেনে নেব।
 

দুধ

দুধ ক্যালশিয়ামের অন্যতম উৎস। এক গ্লাস অর্থাৎ ২৫০ এমএল দুধ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়।
 

দই

দই ক্যালশিয়ামের ভালো উৎস। এর মধ্যে ভিটামিন-ডি এবং পাওয়া যায়। এটি হাড় এবং জয়েন্টকে শক্ত রাখার জন্য অন্যতম একটি খাবার।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান জবা ফুল

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪৮: পুরীতে ‘নির্জন সৈকতে’র শুটিংয়ে একসঙ্গে চার চারটি শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন ছায়া দেবী

 

চিজ

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালশিয়ামের ঘাটতির কারণে হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে। ৩০ বছরের ঊর্ধ্বের মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়। এই সময়ে ক্যালশিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন চিজ খাওয়ার। তাঁদের মতে, চিজ খেতেও সুস্বাদু আবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও। রোজকার খাবারের তালিকায় চিজ রাখলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১২: সুখলতা রাও— ছোটদের পরী

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২৮: কে আবার বাজায় বাঁশি

 

ডিম

১০০ গ্রাম ডিম থেকে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ডিমের কুসুম ভিটামিন-ডি এর অন্যতম উৎস। তাই ডিম খেলে হাড়ের শক্তি বাড়ে।
 

বাদাম

অন্যান্য বাদামের তুলনায় আমন্ডে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। রোজ যতটা ক্যালশিয়াম খাওয়া উচিত, তার প্রায় ৬ শতাংশ থাকে ২৮ গ্রাম আমন্ডে থাকে।
 

স্যামন বা টুনা মাছ

স্যামন বা টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা থ্রিফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ডি রয়েছে। তাই রোজকার খাবারের তালিকায় রাখলে হাড় মজবুত থাকবে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫১: কচ, দেবযানী ও মহান শুক্রাচার্য— প্রেম, প্রতিহিংসা, উদারতায় অনন্য তিন দৃষ্টান্ত?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮০: ঠাকুরবাড়ির ফরাসি-পাচক

 

আপনি দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার খেতে না চাইলে ক্যালশিয়ামের জোগানের জন্য পালংশাক খেতে পারেন। এক কাপ রান্না করা পালংশাক দৈনিক ক্যালশিয়ামের যা চাহিদা তার ২৫ ভাগ পূরণ করে দেয়।
 

আমাদের হাড় মজবুত রাখার জন্য জীবনযাত্রায়ও নজর দেওয়া জরুরি। শুধু ভালো ভালো পুষ্টিকর খাবার খেলে হবে না, পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অত্যধিক ধূমপান কিডনির সমস্যার সঙ্গে হাড়েরও ক্ষতি করে। তাই হাড়ের ক্ষয় দূর করে সুস্থ থাকার জন্য ধূমপান এবং মদ্যপান অবশ্যই ত্যাগ করা দরকার।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content