সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: সংগৃহীত।

‘নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম’-জনপ্রিয় এই গানটিই মনে করিয়ে দেয় জনপ্রিয় টেলিগ্রাম পরিষেবার কথা। কিন্তু বর্তমানে মুঠোফোন, এসএমএস আর ইমেইলের জনপ্রিয়তার যুগে টেলিফোন, পিয়ন আর টেলিগ্রাম তার জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে ভারতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই পরিষেবা। আগে টেলিগ্রামকে বলা হতো ‘তার বার্তা’।
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পছন্দ করতেন এই তারবার্তায় খবরাখবর আদান প্রদান করতে ১৮৪৪ সালে স্যামুয়েল মোর্স প্রথম এই টেলিগ্রাফ যন্ত্রটি তৈরি করেন। ১৮৫০ সালে ভারতে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে টেলিগ্রাম পরিষেবা শুরু হয়। ওই সালে কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথম টেলিগ্রাম লাইন স্থাপন করে এবং ১৯০২ সাল পর্যন্ত কেবেলের মাধ্যমে ভারতে টেলিগ্রাম পরিষেবা চলত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দীর্ঘ পথ চলার পথ আমাদের দেশে ২০১৩ সালে এই পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:

বিপন্ন বাংলার রাজ্যপশু বাঘরোল

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩৪: সুন্দরবনের মৃত ও মৃতপ্রায় নদী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল প্রাইজের প্রথম খবর দেওয়া হয় এই টেলিগ্রাম পরিষেবার মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নজরুল ইসলামকে অনশন বন্ধের প্রথম বার্তা দেন এই ‘তার বার্তার’ মাধ্যমেই। আশির দশকে বছরে প্রায় ছয় কোটি টেলিগ্রাম বার্তা প্রদান করা হতো, পরে ২০১৩ সালে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত দিনে পাঁচ হাজার টেলিগ্রাম বার্তা পাঠানো হতো। এর পরে ধীরে ধীরে এই পরিষেবা তার গুরুত্ব হারায়। বর্তমানে ইতিহাসের করালগহ্বরে হারিয়ে যায় টেলগ্রাম।
* ড. উৎপল অধিকারী, সহ-শিক্ষক, আঝাপুর হাই স্কুল, আঝাপুর, জামালপুর, পূর্ব বর্ধমান।

Skip to content