রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার।

প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিগত ৩ বছর ধরে অভিনেত্রী ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। শনিবার সেই মারণরোগের সঙ্গে তাঁর লড়াই শেষ হল। শ্রীলা মজুমদার না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার শোকে আচ্ছন্ন। অভিনেত্রীর তাঁর সতীর্থরা মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন।
শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘‘শনিবার বিকেলে অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর খবর শুনে শোকাহত। শ্রীলা বিশিষ্ট এবং দক্ষ অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি বহু ভারতীয় ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বাংলা ছবির জগতের জন্য এটা বড় ক্ষতি। ওঁর নক্ষত্রসুলভ উপস্থিতির অভাব অনুভূত হবে। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’’

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৪৭: পলায়নপর পঞ্চপাণ্ডব-ভীমসেনের গতিময়তায় কোন মহাভারতীয় দিগদর্শন?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬০: নতুন পথে রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত

শ্রীলা মজুমদার গত ১৩ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত টাটা মেডিক্যাল ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি ছিলেন। তার পরে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। শ্রীলার স্বামী এসএনএম আব্দি এ কথা জানিয়েছেন। গত বছর নভেম্বর মাসে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সে সময় শ্রীলা বাড়িতে ছিলেন। শ্রীলার পুত্র সোহেল আব্দি লন্ডনে থাকেন। সেখানে তিনি পড়াশোনা করেন। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক পুত্র সোহেল আব্দিকে ডেকে পাঠানোর কথা বলেন।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩০: গিরীশচন্দ্রের মা সারদা

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৯: নিরুপমা দেবী— তাঁকে নিয়েই গল্প হোক!

শ্রীলা অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে মৃণাল সেনের হাত ধরে। তারপর একের পর এক ছবিতে অভিনেত্রী নজর কাড়েন। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেনের ছবিতেই অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। শ্রীলার শেষ সিনেমা ‘পালান’। ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। শ্রীলা মজুমদার নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি, স্মিতা পাটিলের সঙ্গেও ছবিতে অভিনয় করেছেন । ২০০৩ সালে ‘চোখের বালি’ ছবিতে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্য বাংলায় তিনি ডাবিং করেছিলেন।

Skip to content