সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

অঘ্রাণ মাসে শীতের শুরুতে গ্রাম বাংলার কাঁচা মাটির রাস্তা ধরে চড়ুইভাতিতে বা দু-তিন দিনের ছোট্ট ছুটির ফাঁকে আপনারা অনেকেই পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জমায়েত হন সুদূর গ্রামগঞ্জে। জমিয়ে আড্ডা আর কষিয়ে খাওয়া দাওয়ার মাঝে শীতমাখা রৌদ্যজ্জ্বল সকালের প্রেক্ষাপটে ধরা দেয় কঙ্কালসম উঁচু উঁচু শিমুল বৃক্ষ। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, এই পর্বের লেখার বিষয় হল শিমুল। সারা বছর উঁচু উঁচু গাছগুলো সুন্দর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকলেও শীতের শেষে সব পাতা ঝরে গিয়ে নগ্ন শাখা প্রশাখা আর কাঁটা সমদেহ যেন এক কঙ্কালেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়ায়। আবার বসন্তের শুরুতেই গ্রাম গঞ্জের মাঠে মাঠে যেন লালের উৎসব চলতে থাকে। হলুদ-সর্ষে খেতের মধ্যে মাথা চারা দিয়ে থাকা ন্যাড়া গাছগুলি যখন আদর মাখা বসন্তের ছোঁয়ায় রক্তিম হয়ে ওঠে তখন বাংলার মানুষ বড়ই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে। অপূর্ব সুন্দর এই দৃশ্য শিল্পীর ক্যানভাসেও ধরা দেয়।

পশ্চিমবাংলার মেয়ে-বউরা অঘ্রাণ মাসে ইতু পুজোর ব্রত যেমন রাখেন তেমনি এখনও পূর্ববঙ্গের পাবনা জেলায় এক ধরনের পুজো হয় যার নাম ভিটে কুমুরির পুজো। প্রধানত বাচ্চারা ও কিশোর কিশোরীরা বাড়ির উঠোনের একধারে তুলসী মঞ্চে কাছাকাছি একটি জায়গায় মাটি দিয়ে ভিটে তৈরি করে এবং সেই ভিটের ওপর শিমুল ফুল দিয়ে সাজিয়ে ধুপ প্রদীপ জ্বেলে আঞ্চলিক গান ছড়ার মধ্যে দিয়ে এই পুজো করে। এই পুজো চলতে থাকে বসন্তকালের সন্ধ্যা জুড়ে। সারাবছর যেহেতু এই গাছে ফুল থাকে না তাই এই ফুল বিশেষ কোনও পুজোতে না লাগলেও আঞ্চলিক লোকাচারে এই ফুলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

অতীতে গ্রাম গঞ্জে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে রক্ষা পেতে যেমন নানান লৌকিক আচারে দেবদেবীর পুজো করা হতো। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, মায়ের দয়া অর্থাৎ বসন্ত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মা শীতলার পুজো আবার কলেরার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মা রক্ষাকালী মা তার পুজো বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আজও হয়ে চলেছে। তেমনি শিমুল গাছকে ঘিরেও এই পুজো আয়োজিত হতো গ্রাম-গঞ্জের বাচ্চাদের ত্বকজনিত সমস্যা অর্থাৎ খোশ-পাঁচড়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। এবার আসা যাক শিমুল গাছের পৌরাণিক কাহিনিতে। মহাভারতের একটি সুন্দর গল্প জড়িয়ে আছে এই শিমুল গাছকে কেন্দ্র করে। দ্রৌপদী তখন পঞ্চপান্ডবের সঙ্গে অজ্ঞাতবাসে। সারাদিন পাণ্ডুবেরা বনে জঙ্গলে ঘুরে আহারে সংস্থান করে যখন অপরাহ্নে বন মধ্যে স্থিত ফেরেন তখন দ্রৌপদী প্রত্যেক সেবা করেন।
একদিন তৃতীয় পাণ্ডব ভীমের মাথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি এলো। তিনি কুটিরে ফিরে নিজে শয্যায় একটি শিমুল কাণ্ডকে শুইয়ে তার উপর চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন এবং দ্রৌপদী কাছে সংবাদ পাঠালেন ভীম ক্লান্ত হয়েছেন। তাই তার গা হাত টিপে দিয়ে ক্লান্তি দূর করার জন্য। দ্রৌপদী ভীমের ঘরে প্রবেশ করে শিমুল কাঠকে ভীম মনে করে কোমল হাতের পর্শে সেবা করতে থাকেন। ভীম দরজার আড়াল থেকে দ্রৌপদীকে লক্ষ্য করেন এবং মনে মনে হাসতে থাকেন। এ ভাবে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যায় তারপর দ্রৌপদী বারে বারে প্রশ্ন করতে থাকেন কিন্তু উল্টোদিকে অসার হয়ে পড়ে থাকা সেই কাঠ খণ্ড থেকে কোন প্রত্যুত্তর না আসায় রেগে গিয়ে বিরক্ত হয়ে দ্রৌপদী চাদর সরিয়ে ফেলেন।

ক্লান্ত দ্রৌপদী ভীষণভাবে রেগে গিয়ে ওই শিমুল কাণ্ডকে অভিশাপ দেন যে আজকের পর থেকে তার সারা গায়ে কাঁটা তৈরি হবে এবং সেই কারণেই তাকে কেউ ছোঁবে না। এই কারণেই সেই সময়কাল থেকে আজও শিমুল গাছের সারা দেহ অসংখ্য কণ্টকযুক্ত। মহাভারতে এমনও বলা হয়েছে যে শিমুল গাছের কাঁটাযুক্ত কাণ্ড দিয়ে নরকে গমনকারী পাপীকে মর্মান্তিক শাস্তি দেওয়া হয়। শিমুল গাছকে সেই কারণেই ‘যমদূর্ম’ বলা হয়। এই কারণেই রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুর অঞ্চলের অধিবাসীরা এই গাছকে দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে মনে করেন। তাদের স্থির বিশ্বাস যে যদি কেউ এই গাছের স্বপ্ন রাত্রে দেখেন তাহলে সে শীঘ্রই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এই কুসংস্কারে কারণে তারা শিমুল তুলল বানানো কোন শয্যা (বালিশ, তোষক, লেপ ইত্যাদি) ব্যবহার করেন না এবং শিমুল কাঠ কেউ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করেন না। উদয়পুর নিবাসীর মনে এমন ধারণাও আছে যে শিমুল তুলোর তোষকে শয়ন করলে ‘প্যারালাইসিস’ হতে পারে।
আরও পড়ুন:

হাত বাড়ালেই বনৌষধি, পর্ব-৩০: কুল কাহিনি

দশভুজা, শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-২: একলা চলো রে…

মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় ইত্যাদি অঞ্চলের বহু উপজাতি সম্প্রদায় কিন্তু এই গাছকে পবিত্র মনে করে, ধ্বংস না করে রক্ষা করে। কিন্তু রাজস্থান এবং উত্তর ভারতের যেসব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে শিমুল গাছ দেখতে পাওয়া যায় সেখানে হেলিকপ ‘হোলিকা দহন’ বলে একটি উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবে মাঘী পূর্ণিমার দিনে নারকেল, সিঁদুর ও শুকনো ঘাসসহ শিমুল গাছের গাছকে অথবা গাছের কান্ডকে পোড়ানো হয়। এই উৎসবটি ওই সকল রাজ্য গুলিতে ব্যাপকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ‘হোলিকা’ ছিলেন প্রহ্লাদ এর পিসি। হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে তীব্র আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়তে বসেন কিন্তু রক্ষা কর্তা শ্রীহরির কৃপায় হোলিকা নিজে ভস্ম হয়ে গেলেও প্রহ্লাদের কোনও রকম ক্ষতি হয় না।

এখনও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সেই হরিভক্ত প্রহ্লাদকে বাঁচিয়ে দেওয়া রীতি মেনে হোলিকা রুপি শিমুল গাছকে পুড়িয়ে ফেলার রীতি প্রচলিত আছে। পরিসংখ্যান মতে জানা যায়, প্রতিবছর শুধুমাত্র উদয়পুর জেলাতেই প্রায় আড়াই হাজারের মতো শিমুল গাছকে হোলিকা দহনে ধ্বংস করা হয়। কুসংস্করের আট বন্ধনে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ধীরে ধীরে যত তাড়াতাড়ি মুক্ত হতে পারবে ততই আমাদের সামাজিক মঙ্গল হবে। সমাজের কল্যাণে এ বার আসা যাক শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর

এই দেশ এই মাটি, অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-২: ইতিহাসে অসম

 

এক নজরে

বিজ্ঞানসম্মত পরিচিতি: ১৭৫৩ সালে প্রথম উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস এই গাছের নামকরণ করেন ‘Bombax ceiba’.
বিজ্ঞানসম্মত নাম: বোম্বাক্স সাইবা। (Bombax ceiba).
গোত্র: ব্যামবেসি (Bambacaceae)
সংস্কৃত নাম: শাল্মলী।
বাংলা নাম: শিমুল।
 

কী কী উপাদানে ভরপুর?

আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণার ফলে শিমুল গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নিষ্কাশিত রাসায়নিক পদার্থ গুলি হল বোম্বাম্যালোসাইড, শামিমিসিন, বোম্বাম্যালোনস, ডি গ্লুকোজ, ডি গ্যালাক্সোজ, এল আরাবিনোজ, পামিটিক অ্যাসিড, গ্যালিক অ্যাসিড, ইউরোনিক অ্যাসিড, ট্যানিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড টকোফেরল ইত্যাদি। বাজারে বিক্রিত খাবারের উপযোগী শিমুল গাছের মূলে উপস্থিত থাকে ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ০.৯ শতাংশ ফ্যাটি অ্যাসিড, ০.৩ শতাংশ সেফালিন, ০.৪ শতাংশ ট্যানিন, ৭১.২ শতাংশ স্টার্চ এবং ৮.২ শতাংশ অ্যারাবিনোজ ও গ্যালাক্সটোজ।
 

গাছের বিস্তৃতি

শিমুল গাছ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সব ট্রপিক্যাল জলবায়ু অঞ্চলের দেশেই জন্মায়। এই গাছ চিন, মালেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশগুলিতে পরিলক্ষিত হয়।
 

গাছের প্রকৃতি

বহুবর্ষজীবী, বহু শাখান্বিত, বৃক্ষ জাতীয়, সপুষ্পক উদ্ভিদ হল শিমুল। এশিয়ার ট্রপিকাল অঞ্চলের দীর্ঘ উচ্চতা বিশিষ্ট এই গাছের পরিধি দুই থেকে পাঁচ ফুট হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পত্রবিহীন গাছটিতে ফুল ধরতে শুরু করে এবং তারপরে উজ্জ্বল লাল বর্ণের কাপের আকৃতির ফুলে সমস্ত গাছ ভরে ওঠে। এই গাছের ফল পরিলক্ষিত হয় মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে। ফল ক্যাপসুল প্রকৃতির।

ফলের প্রসঙ্গে এইটুকু বলে রাখি যে, দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের কৃষি বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রচুর সংখ্যায় শিমুল গাছ আছে এবং এই গাছের নিচে পড়ে থাকা শুকনো ডিম্বাশয়গুলি সংগ্রহ করে ১০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করা হয়। এই শুকনো ডিম্বাশয় দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরিয়ানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৫০: কুষ্টি বিচার, না কি রক্ত বিচার! জরুরি কোনটা?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২৪: শ্যামপুকুরে ঠাকুর

 

চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহার

 

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রমতে, সুশ্রুত ও চরকসংহিতা অনুসারে শাল্মলী বৃক্ষের গুড়ি থেকে যে রস নির্গত হয় তাকে ‘মোচরস’ বলা হয়। এই রস এবং কাণ্ডের ছাল, কচি মূল, ফুল, বীজ এখনও গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এই মোচরস চূর্ণ করে সঠিক মারতায় দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি ও স্লেশ্মাজনিত বুকে ব্যথা নির্মূল হয়। আবার মোট রস চূর্ণ মাত্রা মতো দুধের সঙ্গে খেলে রক্ত আমাশয় অনেকটাই সরে ওঠে।
 

স্ত্রীরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে

মহিলাদের অধিক রজস্রাবে শিমুল মূলের চূর্ণ পরিমাণ মতো নিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে মধু দিয়ে খেলে এই রোগ খানিকটা নিরাময় হয়। আবার, শিমুলের বল্কল চূর্ণ যদি যজ্ঞ ডুমুরের বল্কল নির্যাস এবং জল মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে অনেক বেশি উপকার হবে।
 

ত্বকের সমস্যার নিরাময়ে

অনেকেরই অন ব্রণের সমস্যা এবং মুখে নানান ধরনের দাগের সমস্যা থেকে থাকে। সেই সকল ক্ষেত্রে শিমুল কাঁটা বেটে দুধের সাথে মিশিয়ে মুখে প্রতিদিন লাগাতে থাকলে মুখের ব্রণ এবং মেচেতার সমস্যা অনেকটাই সেরে যায়।
 

হজমের সমস্যা দূর করতে

দশ গ্রামের মত কচি শিমুল কুঁড়ি জলের সিদ্ধ করে তা এক কাপ মতো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্লিহাজনিত ব্যথার দূর হয়।
 

গনেরিয়া রোগ উপশমে

সঠিক মাত্রায় কচি শিমুল মূল বেটে তা তালমিছরি এবং জলদিয়ে শরবতের মতো গুলে খেলে গনেরিয়া উপশম হয়।
 

হারজনিত ব্যথা উপশমে

শিমুল মূলের মধ্যে উপস্থিত থাকে, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং এই মূল থেকে তৈরি টনিক কোমরের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।

 

ক্ষত নিরাময়ে

শিমুল বৃক্ষের বল্কলের পেস্ট তৈরি করে ক্ষতের ওপর লাগালে ক্ষত্র দ্রুত সরে ওঠে।
 

প্রতিদিনের খাদ্যের পুষ্টিগুণ বাড়াতে

কচি শিমুলের বৃতির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফসফরাস ও অন্যান্য খাদ্যগুণ উপস্থিত থাকে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা এই ফুলে বৃত্তি সবজি মতো রান্না করে খান। এমনকি কিছু উপজাতি সম্প্রদায় শিমুল ফুল, বৃতি,চারা গাছের মূল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
 

রক্তে শর্করা ও লিপিডের মাত্রা কমাতে

বর্তমান বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত যে শিমুল গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নিষ্কাশিত রাসায়নিক পদার্থগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং রক্তে ফ্যাট ও লিপিডের মাত্রা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
 

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে

প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসামতে শিমুল গাছের শুষ্ক ফুল জলে সিদ্ধ করেছে কে সেই জল শিশুদের প্রতিদিন খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা অনেকটাই দূর হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন পশু পাখির খাদ্য হিসাবে শিমুল ফুল ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। ঠিক এই কারণবশতই বিভিন্ন আশ্রম সংলগ্ন শিমুল গাছগুলোতে চড়ুই, ময়না, বুলবুলি, ময়ূর, কাঠবেড়ালি, লাঙ্গুর এবং হনুমানের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন ধরনের পাখিরা ফুলের বৃত্তি এবং দলমণ্ডলের ভিতরে জমে থাকা মিষ্টি রস খাওয়ার সময় পরাগ সংযোগ ঘটাতে সাহায্য করে।

* হাত বাড়ালেই বনৌষধি (Herbs-and-seeds): স্বাতীলেখা বাগ (Swatilekha Bag), উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ।

Skip to content