সোমবার ৭ অক্টোবর, ২০২৪


ম্যাক্সমুলার।

…And if I were to ask myself from what literature, we here in Europe, we who have been nurtured almost exclusively at the thoughts of greeks and Romans, and of one Samite race – the Jewish may draw that corrective which is most wanted in order to make our inner life more perfect, more comprehensive, more universal, in fact more truly human, a life, not for this life only, but a transfigured and eternal life – again I should point to India. (Max Muller, 1883)

যে বিশিষ্ট জার্মান পণ্ডিত, প্রাচ্যতত্ত্ববিশারদ এবং তুলনামূলক ভাষা-সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক ভারত সম্পর্কে এমন সুগভীর শ্রদ্ধামিশ্রিত উক্তি করেছিলেন, অবিশ্বাস্য হলেও তিনি ছোটবেলায় গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। তিনি ফ্রিডরিখ ম্যাক্স মুলার, তবে গায়ক হওয়া তাঁর আর হয়ে ওঠেনি বরং পরিচিত হয়ে ওঠেন বিশেষ মেধা এবং প্রখর স্মৃতিশক্তির কারণে।

মুলার ১৮২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর জার্মানির আনহাল্ট রাজ্যের রাজধানী দেসাউতে জন্মগ্রহণের চার বছরের মধ্যে পিতৃহারা হন। ছোট সেই ছেলের তখন একমাত্র আশা ভরসা তাঁর মা। আনহাল্টের ডিউক মাতা-পুত্রের জন্য সামান্য কিছু ভাতার ব্যবস্থা করে দিলে তাঁরা উপকৃত হন। ১৮৪৮ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে অক্সফোর্ডে বসবাস করতে শুরু করলেও সময়, সুযোগ বুঝে চলে যেতেন মাতৃভূমি জার্মানিতে মায়ের কাছে। মায়ের মৃত্যুর পর (১৮৮৬) অত্যন্ত শোকাতুর হয়ে পড়েন জগদ্বিখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, ভারততত্ত্ববিদ এই মানুষটি। বুদ্ধিমত্তা, বিদ্যাবত্তা কোনও প্রলেপ দিতে পারেনি মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণায়।
এমন আবেগী পণ্ডিতকে ভারতবর্ষে আসার কথা বললে তিনি বলতেন, ‘তাহলে আমি আর ফিরব না, আমাকে সেখানেই সমাহিত করতে হবে।’ ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ইউরোপীয় এবং প্রাচ্যের ভাষাগুলোর প্রতি বিশেষ ভালোবাসা এবং সেগুলো শেখার স্বাভাবিক ক্ষমতা ও গভীর অনুশীলন তাঁর জীবনের গতি পরিবর্তন করতে থাকে। ইউরোপে সেই সময় আরবি ভাষার চর্চা তো ছিলই, অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে এসে ইউরোপ পুরোপুরি সংস্কৃত ও চিনা ভাষা আবিষ্কার করে। আবেস্তা ও পালি ভাষার ক্ষেত্রও সেই অধিকারে এসেছিল। এমন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৮৩৬ সালে ম্যাক্স মুলার স্থানীয় গ্রামার স্কুলের শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৮৪১ সালে লাইপ্টসিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। বিষয় ছিল দর্শন।

দর্শনের পাশাপাশি প্রাচীন ইউরোপীয় ভাষাসমূহ যেমন গ্রীক, ল্যাটিন এবং সংস্কৃত শিখতে শুরু করেন। সেখানে শিক্ষা গুরু হিসেবে পান অধ্যাপক হারমান ব্রকহাউসকে (Hermann Brockhaus, 1806-1877)। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে ১৮৪৩ সালে স্পিনোজার এথিক্সের উপর কাজ করে তিনি ‘ডক্টরেট’ উপাধি লাভ করেন। মহান এই দার্শনিক এবং ভাষাবিদের পি-এইচ-ডি উপাধি লাভের সুবর্ণ জয়ন্তীও পালিত হয়েছিল লাইপ্টসিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে(১৮৮৩)। এই উপলক্ষে বৃদ্ধ ম্যাক্স মুলার পৃথিবীর নানা দেশ থেকে বহু অভিনন্দন প্রাপ্ত হন। তবে ভারতবর্ষ থেকে তিনি যে সুদীর্ঘ অভিনন্দন পত্র পেয়েছিলেন তা তাঁকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন:

রাক্ষসের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ঢুকে গেলেন বেতারকেন্দ্রে

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-২৪: মাটি তোদের ডাক দিয়েছে…

পি-এইচ-ডি উপাধি লাভের অল্পকাল পরেই ১৮৪৪ সালে ম্যাক্স মুলার নারায়ণ শর্মা রচিত ‘হিতোপদেশে’র জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন, কিন্তু এই অনুবাদ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি তাই তিনি বার্লিনে সংস্কৃত ও তুলনামূলক ব্যাকরণের প্রধান অধ্যাপক ফ্র্যান্টস্ বোপের কাছে সংস্কৃত এবং দার্শনিক শিলিং (F.W. Schelling, 1775- 1852)-এর কাছে ভারতীয় দর্শন পড়তে শুরু করেন। শিলিং এর জন্যই তিনি উপনিষদগুলির অনুবাদ শুরু করেন, যা পরে ১৮৭৯ সালে ‘সেক্রেড বুকস্ অফ দি ইস্ট’ এর প্রথম ও পঞ্চদশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এরপরও ১৮৯৪ সালে তাঁর ‘লেকচারস্ অন বেদান্ত ফিলোসফি’, এবং ১৮৯৮ সালে প্রকাশিত ‘সিক্স্ সিস্টেমস্ অফ ইন্ডিয়ান ফিলোসফি’ গ্রন্থদুটি ভারতীয় দার্শনিক চিন্তার এবং ব্যক্তিজীবনে ভারতীয় দর্শনের প্রভাবের উপর পথিকৃৎ গ্রন্থ হয়ে আছে।

ইউজিন বুর্ণুফ্, ল্যুভর্ সংগ্রহ।

সাল ১৮৪৫, তাঁর শিক্ষকদের তালিকায় যুক্ত হয় আরও এক প্রসিদ্ধ সংস্কৃতজ্ঞ ইউজীন্ বুর্ণুফের নাম। বুর্ণুফের ভুল হয় নি তাঁর ছাত্রকে চিনতে। ছাত্রের পাণ্ডিত্যকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য তিনি মুলারকে সায়ণভাষ্য সহ ঋগ্বেদের সম্পাদনায় উৎসাহ দেন। এই উৎসাহ ম্যাক্স মুলারের মতো জার্মান পণ্ডিতের জীবনের গতি নির্ধারণ করে। প্রাথমিকভাবে ঋগ্বেদ ও সায়ণভাষ্যের পুঁথির অনুসন্ধান শুরু হয় প্যারীতে (Paris), ক্রয় করার সামর্থ্য না থাকায় ও ক্রয়যোগ্য পুঁথি না থাকায় মুলার সংগৃহীত পুঁথিগুলোর প্রতিলিপি প্রস্তুত করতে থাকেন। তাঁর আগে ১৮৩৬ সালে ফ্রিডরিখ রোজেন নামে এক জার্মান পণ্ডিত ঋগ্বেদের প্রথম অষ্টক প্রকাশ করলেও তাঁর অকালমৃত্যুতে সেই উদ্যোগ স্তব্ধ হয়েছিল। কিন্তু উদ্যোগ স্তব্ধ হয়নি মুলার সাহেবের। ১৮৪৬ সালে প্যারী থেকে তিনি লন্ডন চলে আসেন এই কাজে ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরির পুঁথি সংগ্রহ থেকে সাহায্য লাভের আশায়।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৫: সুন্দরবনে বসন্ত রোগের দেবতা বসন্ত রায়

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৪: সে যেন অন্য এক ‘পূনর্মিলন’

আশা পূরণ হয় প্রুসিয়ার রাষ্ট্রদূত ব্যারণ বুন্সেন এবং প্রসিদ্ধ সংস্কৃতজ্ঞ হোরেস হেম্যান উইলসনের চেষ্টায়। সারস্বত সাধনার স্রোতধারায় যুক্ত হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অর্থানুকুল্য। প্রথম সম্পাদিত ঋগ্বেদের প্রকাশের ব্যয়ভার বহন করতে সম্মত হয় কোম্পানী। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শক্তির টাকায় অপৌরুষেয় বেদের সায়ণভাষ্য সহ সম্পাদনায় বিতর্ক, নঞর্থক অভিমত প্রকাশকে ঠেকাতে পারেননি স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ, বিজয়নগরের মহারাজা পশুপতি আনন্দ গজপতিরাজ, নৈষ্ঠিক সংস্কৃত পণ্ডিতদের দুর্গস্বরূপ পুনা নগরীর বহু পণ্ডিত এবং আরও অগণিত শুভানুধ্যায়ীরা। বিতর্কের আঁচ ছুঁয়েছিল সেই মানুষটিকেও যিনি প্যারী, লন্ডন ও ভারতবর্ষ থেকে প্রায় ৮০টি বৈদিক পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন যাতে মুদ্রাঙ্কণের আগে পাঠভেদ বিচার, বৈদিক ব্যাকরণের প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রতিটি শব্দের শুদ্ধপাঠ সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হওয়া যায়। সায়ণভাষ্যের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। আর সবকিছুর উর্ধ্বে ছিল সেই জার্মান সাহেবের অনমনীয়, কঠোর অধ্যবসায়।

১৮৪৯ সালে প্রথমবারের জন্য সম্পাদিত ও প্রকাশিত হয় প্রায় চার হাজার বছরেরও পূর্বকালীন মানবমনীষা, অভিজ্ঞতা, দর্শন ও বিশ্বাসের অন্যতম প্রাচীন বাচিক, আঙ্গিক প্রকাশস্বরূপ মন্ত্রময় ঋগ্বেদ(প্রথম খণ্ড)। যার ধারা উপনিষদ, সূত্রসাহিত্য, ধর্মশাস্ত্র, পুরাণ, দেশাচার, লোকাচারের রূপ ধরে আজও বহমান। এই সময় থেকে মুলারের পাণ্ডিত্যের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাচ্যবিদ্যার সাধনার পাশাপাশি তিনি ১৮৫০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
ঠিক দশ বছর পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক হোরেস হেম্যান উইলসন মারা গেলে ম্যাক্স মুলার এবং স্যর মনিয়ার উইলিয়ামস ওই পদপ্রার্থী হলে ধর্ম সম্বন্ধে উদার এবং জাতিতে জার্মান মুলার সাহেবের বিরুদ্ধে ভোট যায়। তাঁর মনোবেদনা কম হয় ১৮৬৮ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হওয়ার পর। ১৮৭৩ সালে ম্যাক্স মুলার সম্পাদিত ঋগ্বেদের শেষ ষষ্ঠ খণ্ড প্রকাশিত হয়। ঋগ্বেদ সম্পাদনার কাজে তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কুড়ি বছর অনলস পরিশ্রমে কেটেছিল। পরিপুষ্ট হয়েছিল শিক্ষার মৌল বিভাগস্বরূপ ভাষা ও সাহিত্য জগৎ।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২২: ঠাকুর ও মা সারদার সংসার

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১৭: তেজস্ক্রিয় স্যান্ডউইচ

ঋগ্বেদের দ্বিতীয় সংস্করণ (১৮৯০- ১৮৯২) প্রকাশের সময় সেই শাস্ত্রবিৎ পণ্ডিতের বয়স সত্তর ছুঁয়েছিল। তাঁর প্রিয় শিষ্য তরুণ-সংস্কৃতজ্ঞ ড: উইন্টারনিৎজ্ তাঁকে এই দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের কাজে সাহায্য করেছিলেন। ১৮৯৭ সালে বাগবাজারে তাঁর এক শিষ্যের বাড়িতে থাকাকালীন স্বামীজি বলেছিলেন, “…ম্যাক্স মুলার নিজেই ভূমিকায় লিখেছেন যে, তিনি ২৫ বৎসর কাল কেবল manuscript (পাণ্ডুলিপি) লিখেছেন; তারপর ছাপতে ২০ বৎসর লেগেছে! পঁয়তাল্লিশ বৎসর একখানা বই নিয়ে এইরূপ লেগে পড়ে থাকা সামান্য মানুষের কাজ নয়।…” এই সম্পাদনার কাজ করে মুলার সাহেব প্রচুর অর্থোপার্জন করেছিলেন এমন ভ্রান্ত ধারণা নিরসন করতে তিনি নিজেই লিখেছিলেন যে, এই কাজে তিনি যে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তা ইন্ডিয়া অফিসের নিম্নতম কর্মচারীর থেকেও কম ছিল। অথচ সম্পাদিত ঋগ্বেদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। লাভের মুখ দেখেছিল কোম্পানি।

বৃদ্ধ ম্যাক্সমুলার।

ম্যাক্স মুলার সামান্য কেউ ছিলেন না, ছিলেন ইংল্যান্ড ও ইংরেজি ভাষায় ভাষাবিজ্ঞান ও তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব চর্চার প্রবর্তক আর ছিল প্রাচীন ভারতীয় ভাষাগুলির প্রতি তাঁর অপার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। ১৮৬১-৬৩ সালের মধ্যে লন্ডনের রয়াল ইনস্টিটিউশনে ভাষাবিজ্ঞান সম্বন্ধে ম্যাক্স মুলারের বক্তৃতাগুলি খুব সমাদৃত হয়। ভাষাবিজ্ঞানের মতো তুলনামূলক ধর্ম ও বিভিন্ন জাতির পুরাণ কথা সমূহের তুলনামূলক আলোচনাতেও তিনি ছিলেন পথিকৃৎ (Gifford Lectures 1888-92, Hibbert Lectures 1878, Science of Religion 1873)। ‘সেক্রেড বুকস অফ দি ইস্ট’ গ্রন্থমালার সম্পাদন দ্বারা তিনি বিশ্ববিদ্যার এই শাখাকে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। জীবনে যদি তিনি কিছু নাও করতেন, শুধু এই গ্রন্হমালার সম্পাদনার দ্বারা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকতেন। তাঁর অপর উল্লেখযোগ্য কৃতি ছিল, ‘ইন্ডিয়া, হোয়াট ক্যান ইট টিচ আস’। ১৮৫৯ সালে জর্জিনা অ্যাডিলেডকে বিবাহের মধ্য দিয়ে মুলার তাঁর যোগ্য সহধর্মিনী পেয়েছিলেন। ১৮৯৬ এ স্বামী বিবেকানন্দ তাঁদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে এসে বলেছিলেন, “… বাড়িতে অতিথি হয়েছিলাম—কি যত্নটাই করেছিল। বুড়ো-বুড়িকে দেখে মনে হতো, যেন বশিষ্ঠ- অরুন্ধতীর মতো দুটিতে সংসার করছে!’—চলবে।

তথ্যসূত্র:
স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারি: লাইফ অফ ফ্রিডরিক ম্যাক্স মুলার: নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
বিদেশীয় ভারতবিদ্যা পথিক: গৌরাঙ্গ গোপাল সেনগুপ্ত
* লেখিকা পরিচিতি: ড. বিদিশা মিশ্র বিগত চৌদ্দ বছর ধরে সরকারি কলেজে, বর্তমানে কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিষয়— সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রী বিদিশা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় হন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল —বাঙালি নৈয়ায়িক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের গ্রন্থ ‘কাব্যবিলাস’। তাঁর এই গবেষণা ২০২১ সালে কর্ণাটকের আইএনএসসি পাবলিশিং হাউস থেকে ‘দ্য কাব্যবিলাস অফ চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য — এ ক্রিটিক্যাল স্টাডি’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রদেশের পত্রিকায় তাঁর শোধপত্রগুলি প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর তত্ত্বাবধানে একাধিক স্কলার গবেষণারত। বিভিন্ন সরকারি কাজকর্ম ও অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি গুরুজি বিপ্লব মুখোপাধ্যায়ের কাছে হিন্দুস্থানি ক্লাসিক্যাল ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী জয়শ্রী দাসের কাছে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষারতা। ভ্রমণপিপাসু বিদিশা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরেছেন, সেইসব অভিজ্ঞতা তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে বলে তিনি মনে করেন।

Skip to content