ভারতের অন্ত্যজ শ্রেণি, অনার্য শ্রেণি বিগত পাঁচ-ছয় হাজার বছর ধরে ভারতে বাস করলেও দেড়শ দু’শো বছর আগেও তাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার ছিল না। লাইন দিয়ে, টিকিট কেটে বিগ্রহ দর্শন, পুজো দেওয়া এসব কল্পনারও অতীত ছিল। উচ্চবর্ণের ছায়া যেমন মাড়ানো যেত না তেমনি মন্দিরের পথে ভুল করেও যাওয়া যেত না। ঈশ্বরের উপাসনা প্রার্থনা আরাধনা মানেই তাদের কাছে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে স্মরণ কিংবা খুব অসহায় পরিস্থিতিতে বুক চাপড়ে হাহাকার। অভ্যস্ত ভারতীয়দের জীবনে সেইসময় চলে আসা এই নিয়ম মেনে নেওয়া, মানিয়ে নেওয়াই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ত্রিবাঙ্কুরের রবি বর্মা ছিলেন ছোটবেলা থেকেই অন্যরকম। তিনিই প্রথম অন্ত্যজ শ্রেণির, নিপীড়িত শ্রেণির মানুষের হাতে হাতে, ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন মন্দিরের দেবদেবীর সাকার প্রতিরূপ।
১৮৪৮ সালের ২৯ এপ্রিল কেরালার এক প্রত্যন্ত অঞ্চল ত্রিবাঙ্কুরের কিলিমানুর রাজপ্রাসাদে তাঁর জন্ম হয়। পিতা নীলকণ্ঠন ভট্টতিরিপদ ছিলেন সেই অঞ্চলের বিখ্যাত সংস্কৃতজ্ঞ ও আয়ুর্বেদাচার্য। মাতা উমা অম্বাবাই থামপুরত্তি ছিলেন কবি এবং লেখক। উমার পরিবার ত্রিবাঙ্কুরের রাজাদের অধীনস্থ থেকে কিলিমানুর শাসন করতেন। রবির কাকা রাজা রাজা বর্মা ছিলেন তাঞ্জরের একজন চিত্রশিল্পী। এহেন সচ্ছল, শিল্পমনা পরিবেশে বড় হওয়া রবি ছোটবেলা থেকেই বেছে নেন প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বাড়ির দেওয়াল এবং মন্দির গাত্র। সেগুলো ভরে উঠতো পশুপাখি, হাটবাজার, পথেঘাটে বহমান নিত্যদিনের জীবনযাত্রার দৃশ্যে। সাত বছর বয়স থেকে তাঁর এই ছবি আঁকার নেশা তাঁকে সকলের কাছে পরিচিত করে তোলে।
আরও পড়ুন:
যে উপদেশ গিয়েছি ভুলে…/২
পালকিতে যেতে যেতে লেখা হয়েছিল ‘বর্ণপরিচয়’
সারল্য কখনও শেখার পথে অন্তরায় হয় না। কাকা, রাজা রাজা বর্মার কাছেই শুরু হয় নিয়ম-কানুনের হাতেখড়ি অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। সরলতার সাধনা ও সাধারণ ভাব তাঁর শৈল্পিক অভিব্যক্তি ও সৃজনশীলতাকে সারা জীবনের জন্য এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তিরুবনন্তপুরম রাজপ্রাসাদের রাজচিত্রকর স্বামী নাইডুর কাছ থেকে রাজা রবি বর্মা প্রথম জলরঙে ছবি আঁকতে শেখেন। তখন বয়স ছিল চৌদ্দ।
তৈলচিত্রে ছবি আঁকা সেই সময় একেবারেই নতুন মাধ্যম ছিল। মাদুরাইয়ের তৈল চিত্রশিল্পী রামা স্বামী নাইকারের কাছে রবি শিক্ষাগ্রহণের মনস্থ করেন, কিন্তু তিনি রবিকে শেখাতে অসম্মত হলে তাঁরই ছাত্র অরুমুঘম পিল্লাই এগিয়ে আসেন। এছাড়া ডাচ চিত্রশিল্পী থিওডর জনসনও রবির শিক্ষক তালিকায় যুক্ত হন। এই দুজনের কাছে শিখতে শিখতে, নানান ভুল শোধরানোর পর রবি বর্মা তেল রঙে ছবি আঁকায় সিদ্ধহস্ত হন। বদলাতে শুরু করে ভারতীয় চিত্রকলার ধরন।
তৈলচিত্রে ছবি আঁকা সেই সময় একেবারেই নতুন মাধ্যম ছিল। মাদুরাইয়ের তৈল চিত্রশিল্পী রামা স্বামী নাইকারের কাছে রবি শিক্ষাগ্রহণের মনস্থ করেন, কিন্তু তিনি রবিকে শেখাতে অসম্মত হলে তাঁরই ছাত্র অরুমুঘম পিল্লাই এগিয়ে আসেন। এছাড়া ডাচ চিত্রশিল্পী থিওডর জনসনও রবির শিক্ষক তালিকায় যুক্ত হন। এই দুজনের কাছে শিখতে শিখতে, নানান ভুল শোধরানোর পর রবি বর্মা তেল রঙে ছবি আঁকায় সিদ্ধহস্ত হন। বদলাতে শুরু করে ভারতীয় চিত্রকলার ধরন।
১৮৬৬ সালে যখন রবির বয়স আঠারো, সেইসময় ত্রিবাঙ্কুর রাজবংশের অধীনস্থ অপর এক রাজ পরিবারের কন্যা ভাগীরথী বাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। বিলাস, স্বাচ্ছন্দ্য আর নানা চিত্ররূপের অনির্বচনীয় প্রকাশে জীবন অতিবাহিত হতে থাকে। তাঁর আঁকা বাড়ির মেয়েদের, স্ত্রীদের, কখনও কখনও দাসীদের প্রতিকৃতি ভারতীয় চিত্রকলার সৌন্দর্যবোধে আমূল পরিবর্তন আনে। মাটির মানুষেরা জীবনে প্রথম নিজেদের চিত্রফলকে দেখতে পান। পরিবর্তন আসে চিত্রকরের জীবনেও। শিল্পীর স্ত্রী ঈর্ষার বশে এক নিরীহ মেয়ের হত্যাকারী হয়ে ওঠে। এই হত্যা দম্পতির জীবনের যাবতীয় সুখ, আনন্দের অবসান ঘটায়। রবি বর্মা দীর্ঘদিনের জন্য রাজৈশ্বর্য ছেড়ে বম্বে চলে যান।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৩: নহবতবাড়ির ‘এতটুকু বাসা’
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩১: দিল লেনা খেল হ্যায় দিলদার কা…
বম্বেতে শিল্পী তাঁর নিজের ছোট ভাই রাজা বর্মার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পান। ছায়াসঙ্গী বলতে যা বোঝায় রাজা বর্মা ছিলেন রবির ক্ষেত্রে তাই। রাজা বর্মা নিজেও একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। সাল ১৮৭০ থেকে ১৮৭৮ এই সময় পোর্ট্রেট শিল্পী হিসেবে রবি বর্মার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিজাত শ্রেণির, রাজা মহারাজাদের পোর্ট্রেট আঁকায় তিনি হয়ে ওঠেন সিদ্ধহস্ত। বম্বেতে আসার পর শুরু হয় নানাবিধ ছবি আঁকা। সাধারণ জনজীবন থেকে উঠে আসা মহিলাদের চিত্ররূপ, হিন্দু দেবীদের উপর তৎকালীন ভারতীয় মহিলাদের গঠনগত ছায়া, ছবিতে পোশাক-পরিচ্ছদ, শাড়ির বৈচিত্র্য জনমানসকে খুব বেশি প্রভাবিত করে। ভারতীয় মহিলাদের সাজগোজে পরিবর্তন আসে রবি বর্মার আঁকা চিত্ররূপের আদলে। পরাধীন ভারতবর্ষের উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মধ্যবিত্ত পর্যন্ত সকলে তাঁর ছবির মধ্য দিয়ে নিজেদের হৃতগৌরব যেন ফিরে পান। নিজস্বতা মন ছোঁয় ভারতবাসীর।
বম্বেতে থাকাকালীন ত্রিভাঙ্কুরের রাজার দেওয়ান মাধব রাওয়ের পরামর্শে ১৮৯৪ সালে ঘাটকোপর এলাকায় তিনি লিথিওগ্রাফিক প্রিন্টিং প্রেস শুরু করেন। ছবি আঁকার পাশাপাশি এই প্রেস দেখার দায়িত্ব নেন রবির ছোট ভাই রাজা বর্মা। এইসময় বরোদার রাজা তাঁর রাজপ্রাসাদের জন্য রবিকে ইউরোপীয় চিত্রকর্মের অনুলিপি তৈরি করতে বলেন, কিন্তু রবি রাজি হন না, বরং তিনি প্রাচীন এই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা নানা উপাদানের সঠিক প্রতিরূপ প্রদানে নিজের উৎসাহের কথা রাজাকে জানান। রাজাও তাঁর কথায় রাজি হয়ে যান।
শুরু হয় বিষয়ের খোঁজে রবি বর্মার সমগ্র ভারত অনুসন্ধান। ফিরে এসে তিনি মন্দিরের দেব-দেবী হোক কিংবা ছোটবেলা থেকে জানা, চেনা, শেখা রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের কাহিনিগুলিকে এমন চিত্ররূপ দেন যা আজও পৃথিবীর বিস্ময় হয়ে আছে। কথকতা ও কল্পলোকে বিরাজমান ছবিগুলি প্রথমবারের জন্য মূর্ত রূপ পায়। ছবিগুলির স্থান হয় বরোদার রাজপ্রাসাদে, সেই প্রথমবারের জন্য রাজপ্রাসাদের দরজা খুলে দেওয়া হয়, ছবিগুলি প্রদর্শিত হয় সাধারণ মানুষের সামনে। বিস্ময় আর ভক্তি মিলেমিশে একাকার হয়। অন্ত্যজ, নিপীড়িত মানুষেরা প্রথমবারের জন্য তাঁদের দেব-দেবী, পৌরাণিক চরিত্রগুলিকে চাক্ষুষ করেন।
শুরু হয় বিষয়ের খোঁজে রবি বর্মার সমগ্র ভারত অনুসন্ধান। ফিরে এসে তিনি মন্দিরের দেব-দেবী হোক কিংবা ছোটবেলা থেকে জানা, চেনা, শেখা রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের কাহিনিগুলিকে এমন চিত্ররূপ দেন যা আজও পৃথিবীর বিস্ময় হয়ে আছে। কথকতা ও কল্পলোকে বিরাজমান ছবিগুলি প্রথমবারের জন্য মূর্ত রূপ পায়। ছবিগুলির স্থান হয় বরোদার রাজপ্রাসাদে, সেই প্রথমবারের জন্য রাজপ্রাসাদের দরজা খুলে দেওয়া হয়, ছবিগুলি প্রদর্শিত হয় সাধারণ মানুষের সামনে। বিস্ময় আর ভক্তি মিলেমিশে একাকার হয়। অন্ত্যজ, নিপীড়িত মানুষেরা প্রথমবারের জন্য তাঁদের দেব-দেবী, পৌরাণিক চরিত্রগুলিকে চাক্ষুষ করেন।
আরও পড়ুন:
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৬: সুন্দরবনের লৌকিক দেবতা পঞ্চানন্দ বা বাবাঠাকুর
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৮: ও দয়াল! বিচার করো!
জনপ্রিয়তা উদ্বুদ্ধ করে রবি বর্মাকে। বম্বেতে ফিরে তিনি তাঁর প্রিন্টিং প্রেস থেকে তাঁরই আঁকা হিন্দু দেব-দেবী, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের কাহিনি অনুসারী ছবিগুলি হাজারেরও বেশি সংখ্যায় ছাপতে শুরু করেন। সব প্রতিলিপি বিক্রি হয়ে যায়। চাহিদা বাড়তে থাকে। চাহিদার যোগান দিতে থাকে রবি বর্মা প্রিন্টিং প্রেস। সেইসময় মুদ্রণ শিল্পের সবচেয়ে সফল শিল্পী ছিলেন কেরালার রবি বর্মা। সহযোগী হিসেবে পেয়েছিলেন নিজের ছোট ভাই ও জার্মান প্রিন্টিং টেকনিশিয়ান ফ্রিৎজ শ্লাইকারকে। সেই শুরু, সেইসব ছবি আজও ক্যালেন্ডারের রূপ ধরে ঘরে ঘরে বিরাজমান।
১৮৭৩ সাল থেকে শুরু হয় তাঁর শিল্পী জীবনের স্বীকৃতি। প্রথমে মাদ্রাজ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার, তারপর ভিয়েনা প্রর্দশনীতে প্রথম পুরস্কার এবং শিকাগো কলাম্বিয়া প্রদর্শনীতে তিনটি স্বর্ণপদক পেয়ে রবি বর্মা বিশ্বখ্যাতদের তালিকায় চলে আসেন। ১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন তাঁকে ‘কায়সার-ই-হিন্দ’ স্বর্ণপদকে ভূষিত করেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গুণমুগ্ধ ছিলেন। ১৮৯৩ সালে তাঁর ছিন্ন পদাবলী কাব্যগ্রন্থে কবিগুরু লিখেছিলেন, ‘রবি বর্মার চিত্রকর্মগুলো দেখে পুরোটা সকালে কাটিয়ে দিলাম।স্বীকার করতেই হয় যে ওগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এই চিত্রগুলো আমাদের দেখায় যে আমাদের নিজস্ব গল্প, ছবি ও এর অভিব্যক্তি আমাদের কতটা আপন। কিছু কিছু চিত্রকর্মে গঠনের অনুপাত হয়তো ঠিক নেই কিন্তু তাতে কি এসে যায়! সামগ্রিক অর্থে এই চিত্রকর্ম গুলোর প্রভাব থেকেই যায়’।
আর সত্যিই সেই প্রভাব থেকে গেছে আজও। কেরালা সরকার প্রতি বছর রবি বর্মার মত বিস্ময়কর প্রতিভার স্মরণে কলা এবং শিল্পে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বকে পুরস্কার প্রদান করে থাকেন। রবি বর্মাই প্রথম যিনি পাশ্চাত্য নান্দনিকতার সঙ্গে দেশজ চিত্রকলার মেলবন্ধন ঘটান। ছোট ভাইয়ের মৃত্যু শোকের কারণে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে ৫৮ বছর বয়সে ১৯০৬ সালের ২ অক্টোবর মৃত্যু হয় এই জগদ্বিখ্যাত চিত্রকরের। রাজা না হয়েও তিনি ছিলেন শিল্পী হিসেবে রাজা অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ। গুজরাটের বরোদায় লক্ষ্মী বিলাস প্রাসাদে তাঁর বিখ্যাত কাজগুলো আজও সংরক্ষিত আছে।
ছবি: সংগৃহীত
ঋণ স্বীকার:
● রঙ্গ রসিয়া: কেতন মেহতা
● মকর মাইয়া: লেনিন রাজেন্দ্রন
আর সত্যিই সেই প্রভাব থেকে গেছে আজও। কেরালা সরকার প্রতি বছর রবি বর্মার মত বিস্ময়কর প্রতিভার স্মরণে কলা এবং শিল্পে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বকে পুরস্কার প্রদান করে থাকেন। রবি বর্মাই প্রথম যিনি পাশ্চাত্য নান্দনিকতার সঙ্গে দেশজ চিত্রকলার মেলবন্ধন ঘটান। ছোট ভাইয়ের মৃত্যু শোকের কারণে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে ৫৮ বছর বয়সে ১৯০৬ সালের ২ অক্টোবর মৃত্যু হয় এই জগদ্বিখ্যাত চিত্রকরের। রাজা না হয়েও তিনি ছিলেন শিল্পী হিসেবে রাজা অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ। গুজরাটের বরোদায় লক্ষ্মী বিলাস প্রাসাদে তাঁর বিখ্যাত কাজগুলো আজও সংরক্ষিত আছে।
ছবি: সংগৃহীত
ঋণ স্বীকার:
* লেখিকা পরিচিতি: ড. বিদিশা মিশ্র বিগত চৌদ্দ বছর ধরে সরকারি কলেজে, বর্তমানে কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিষয়— সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রী বিদিশা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় হন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল —বাঙালি নৈয়ায়িক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের গ্রন্থ ‘কাব্যবিলাস’। তাঁর এই গবেষণা ২০২১ সালে কর্ণাটকের আইএনএসসি পাবলিশিং হাউস থেকে ‘দ্য কাব্যবিলাস অফ চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য — এ ক্রিটিক্যাল স্টাডি’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রদেশের পত্রিকায় তাঁর শোধপত্রগুলি প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর তত্ত্বাবধানে একাধিক স্কলার গবেষণারত। বিভিন্ন সরকারি কাজকর্ম ও অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি গুরুজি বিপ্লব মুখোপাধ্যায়ের কাছে হিন্দুস্থানি ক্লাসিক্যাল ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী জয়শ্রী দাসের কাছে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষারতা। ভ্রমণপিপাসু বিদিশা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরেছেন, সেইসব অভিজ্ঞতা তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে বলে তিনি মনে করেন।