হাজরা মোড়ে বন্ধুরা মিলে হাঁটছিলাম। হঠাৎ করে পেট চুঁইচুঁই—কি হয়, কি হয়!
কই যাই, কই যাই করতে করতে এক গলির মোড়ে এসে দাঁড়ালাম, একটি কচুরির দোকানের সামনে। খিদিরপুর যাওয়ার অটো স্ট্যান্ড যেখানে, ঠিক সেখানেই পথের পাশে এই নাম না জানা কচুরিখানা।
কই যাই, কই যাই করতে করতে এক গলির মোড়ে এসে দাঁড়ালাম, একটি কচুরির দোকানের সামনে। খিদিরপুর যাওয়ার অটো স্ট্যান্ড যেখানে, ঠিক সেখানেই পথের পাশে এই নাম না জানা কচুরিখানা।
নিলাম সবাই এক প্লেট করে কচুরি। গরম গরম আলুর তরকারি আর মুচমুচে কচুরি। এক বন্ধুর আবার শিঙাড়া খেতে ইচ্ছে হওয়ায় এক রাউন্ড ত্রিকোণ ভাজা আর তেঁতুলের চাটনিও জুটল সবার পাতে। এছাড়া খাস্তা কচুরি, জিলিপি, ক্ষীরের চপও রাখা ছিল। ক্ষীরের চপও খেলাম সবাই এক কামড় করে। রসের বোমা একেবারে!
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৩: অফিসপাড়ার ক্যান্টিন ডেকার্স লেনে কোলাহল
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৩: মালিকা পরিলে গলে/ প্রতি ফুলে কে-বা মনে রাখে?…
এ বার খরচাপাতিতে আসা যাক। না, পকেট ফাঁক করার মতো দাম মোটেও না। সবকিছুর দামই ওই সাত টাকা থেকে দশ টাকার মধ্যে। আশেপাশের লোকজন, অফিসকর্মী, কলেজপড়ুয়ারা, সবাই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে এই কচুরির দোকানে। অথচ দোকানের সাইজ একটা রাস্তার ধারের পানের দোকানের চেয়েও ছোট। একটা বইয়ের শেল্ফের মতো সাইজ হবে বড় জোর। তবে খাবারের মান নামজাদা রেস্তরাঁর সমান।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৭: সে কোন প্রভাতে হইল মোর সাধের ‘নবজন্ম’
ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৯: রাজবাড়ির সান্নিধ্যে নারীর উড়ান
তাই, পুজোর সময় যতীন দাস পার্কে আসা হোক বা ম্যাডক্স স্কোয়ার ফেরত মেট্রো করে যাওয়ার পথেই হোক, রোজকার কলেজ শেষে বা অফিস ফেরত, সবেতেই এই নাম না জানা কচুরিখানা আপনার পথে-ঘাটে জিভে-জলের লিস্টে যেন থাকে।
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।