সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


চন্দ্রযান-৩ চন্দ্র অভিযানে গেলেও তার আগেই সে কাজ শেষ সেরে ফেলেছে। এখন ইসরোর তৈরি প্রজ্ঞান বিশ্রাম নিচ্ছে। প্রজ্ঞানকে বিজ্ঞানীরা আপাতত ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সময়মতো রোভারকে ফের জাগানো সম্ভব কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। শনিবার রাতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একটি টুইট করে। সেই টুইটে জানিয়েছে, প্রজ্ঞারের কাজ সম্পন্ন। চাঁদের মাটিতে তাকে যে সব কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা করা হয়ে গিয়েছে। এখন একটি নিরাপদ স্থানে রোভার প্রজ্ঞানকে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানী। অর্থৎ ওকে এখন ‘স্লিপ মোড’ চালু করে রাখা হয়েছে। ছ’চাকা বিশিষ্ট এই ছোট যন্ত্রটি ১০ দিন ধরে চাঁদে ঘুরে ঘুরে অনুসন্ধান চালিয়েছে।
ইসরো এও জানিয়েছে, রোভার প্রজ্ঞানে এপিএক্সএস এবং এলআইবিএস পেলোড-ও বন্ধ রাখা হয়েছে। এপিএক্সএস এবং এলআইবিএস পেলোড থেকে সংগৃহীত সব তথ্যই ল্যান্ডার বিক্রমের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসরোর দফতরে পাঠানো হচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রজ্ঞানের ব্যাটারিতে সম্পূর্ণ চার্জ রয়েছে। প্রজ্ঞানের সোলার প্যানেল এমন ভাবে রাখা হয়েছে, যাতে আবার চাঁদের আকাশে সূর্য উঠলে ওই প্যানেলে সরাসরি আলো পড়ে। মনে করা হচ্ছে, চাঁদে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আবার সূর্যোদয় হবে। শে সব দিক খেয়াল রেখে পৃথিবীর রিসিভার বা তথ্য গ্রহণকারী যন্ত্রটিকেও বিজ্ঞানীরা চালু রেখেছেন।
আরও পড়ুন:

নতুন ‘মাইলফলক’ ছুঁয়ে ফেলল প্রজ্ঞান, চাঁদের মাটিতে সে কত দূর পৌঁছল? ছবি প্রকাশ করে চমক ইসরোর

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২৭: আশাকে নিয়ে পঞ্চমের সব প্রশ্নের জবাব চিঠিতে জানিয়েছিলেন লতা

টুইটে ইসরো জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের আশা প্রজ্ঞানকে আবার সফল ভাবে জাগিয়ে তোলা যাবে। ২০ দিন পর প্রজ্ঞামের যদি ঘুম ভাঙানো যায়, তাহলে আরও কিছু নতুন কাজ তাকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এদিকে, ইসরোর রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে নতুন ‘মাইলফলক’ ছুঁলো। সে ধীরে ধীরে তার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। প্রজ্ঞান ১০০ মিটার দূরত্ব পার করে ফেলেছে। ইসরো টুইট করে রোভারের এই কীর্তির কথা প্রকাশ্যে এনেছে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১২: সুন্দরবনের আর এক ব্যাঘ্রদেবতা বড় খাঁ গাজী

মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৪: ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে কোচস্থাপত্যের অন্যতম কীর্তি দেওতাপাড়া শিব মন্দির

প্রজ্ঞানকে যদি জাগানো না যায়, তবে?
এ প্রসঙ্গে ইসরো জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতেই থেকে যাবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে ভারতের দূত হিসাবে আজীবন ইসরোর সাফল্যের সাক্ষ্য বহন করবে চন্দ্রযান-৩। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের চাকায় ইসরোর লোগো এবং অশোকস্তম্ভের ছবি খোদাই করা রয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে প্রজ্ঞানের চাকা গড়ালেই মাটিতে সেই সব চিহ্নের ছাপ পড়বে। অর্থাৎ, ওই ১০০ মিটার পথে এই চিহ্ন খোদাই করা হয়ে গিয়েছে।

Skip to content