মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে জবা ফুল। ছবি: সংগৃহীত
এই জবা ফুল নিয়ে একটি পৌরাণিক গল্পকথাও আছে। ভাগবত পুরাণে বর্ণিত আছে জসুম নামক এক নারী দেবী দুর্গার এক নিষ্ঠাবান ভক্ত ছিলেন। অশুর কুলের অত্যাচারে যখন ত্রিলোক অতিষ্ঠ, তখন দেবতাদের অনুরোধে দেবী রণচণ্ডী রূপ ধারণ করে অসুর বধ করতে উদ্ধত হলেন। জন্মান্তরে ওই ‘জসুম’, জবা ফুলের গাছ রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধকালীন দশায় তাঁর পুষ্প পাপড়ির রং, দেবীর চক্ষুতে প্রদান করে দেবীর প্রকট রাগ প্রকাশের সাহায্য করেন। দেবী তারে এই ভক্তের আচরণে অতিশয় প্রসন্ন হয়ে তাকে ইচ্ছামতন বর প্রার্থনা করার আদেশ দেন। তখন জবা বলেন—”সারা জীবন যেন লালফুল রূপেই দেবীর পদতলে থেকে দেবীর সেবা করতে পারেন।” দেবী অতিশয় প্রসন্ন হয়ে তাঁকে জানালেন যে লালজবা দিয়ে কোনও ভক্ত, ভক্তি ভরে দেবীকে অঞ্জলি নিবেদন করেন তবে তার প্রতি দেবী অতিশয় প্রসন্ন হবেন এবং সারা জীবন তার ওপর দেবীর আশীর্বাদ ঝরে পড়বে। এই ভবেই লাল জবা দেবী শক্তির আরাধনার ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
এক নজরে
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে এই কথাগুলি জানতেন?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৫: কোন আলো লাগলো ‘পুত্রবধূ’-র চোখে
কী কী উপাদানে ভরপুর?
এগুলি ছাড়াও আধুনিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, জবা গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নিষ্কাশিত পদার্থ অ্যান্টিটিউমার, অ্যান্টিফার্টিলিটি, অ্যান্টিইমপ্লান্টেশন, আন্টিইনফ্লামেটরি, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক, অ্যান্টি ভাইরাস, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিএসট্রোজেনিক, হাইপোটেনশিপ রূপে কাজ করে।
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-8: চলতি কা নাম কিশোর
ডায়েট ফটাফট: শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও মাছের রাজা, একঝলকে জেনে নিন ইলিশের গুণাগুণ
চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহার
চুলের পরিচর্যায়
মূত্র জনিত সমস্যা নিরাময়
মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে
গনেরিয়া রোগ দূরীকরণে
মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৩: কোচ কামতেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য এক অনন্যসাধারণ মিশ্রশৈলীর উদাহরণ
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১১: মশ্যা রে তুঁহু মম শ্যাম-সমান
মূত্র জনিত প্রদাহ দূরীকরণে
জন্মনিয়ন্ত্রক হিসেবে
চুলের রং কালো করতে
রোগ প্রতিরোধে
বেদনা নাশক হিসেবে
৫০ গ্রাম ফুলের পাপড়ি ২০০ মিলি লিটার ইথানল দ্রবণে ডুবিয়ে রেখে ওই নির্যাস নিয়মিত ব্যবহার করলে তা বেদনা নাশক হিসেবে কাজ করে।