শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

সৃষ্টির সময় থেকে এখনও পর্যন্ত প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ এক অন্য ধারার। সেই ধারায় মিশে একে অন্যের প্রতি সুহৃদ ভাব। কিন্তু বর্তমান সময় সেই সুহৃদ ভাবের কথা মনে করায় না। তাই তো আমরা দেখি নির্বিচারে কত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে ইমারত। কিন্তু এই গাছই আমাদের বাঁচার অবলম্বন। এই প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি গাছের হদিশ রইল যেগুলি আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সর্বরাহ করে থাকে।
 

ঘরের মধ্যে কী কী গাছ রাখতে পারেন?

বাঁশগাছ

ঘরে যদি বাঁশগাছ রাখা যায় তাহলে ঘরে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন থাকে। কারণ এই গাছ বাতাস থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বেঞ্জিন, টোলুইন, ফর্মালডিহাইডার বাতাস থেকে শুষে নেয়।
 

ফিকাস

এই গাছ আপনি অবশ্যই ঘরে রাখতে পারেন। এই গাছের জল ও আলো তেমন প্রয়োজন হয় না। বাতাস থেকে টক্সিন শুষে নেয় এই গাছ। বাড়ির বাচ্চাদের ও পোষ্যকে এই গাছ থেকে দূরে রাখবেন। কারণ এই গাছের পাতা থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন:

রোজ কেন খাদ্যতালিকায় মেথি রাখবেন? জানুন এর উপকারিতা

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮: সুন্দরবনের নিশ্চিহ্ন প্রাণী

 

স্পাইডার প্ল্যান্ট

এই গাছও অক্সিজেন সরবরাহ করে। এই গাছগুলির বেঁচে থাকতে এদের বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। প্রায় দুশো বর্গমিটার পর্যন্ত বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতে এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন শুষে নেয় এই গাছ।
 

স্নেক প্ল্যান্ট

ফিকাস গাছের মতো এই গাছেরও আলো বা জলের প্রয়োজন হয় না আর এই গাছ সহজে মরেও না। এই গাছ কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নেয় এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে। এমনকী রাতেও এই গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। ফলত এই গাছ অবশ্যই ঘরে লাগানো যেতে পারে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-২৩: দ্রোণাচার্যের সেরা ছাত্র এবং গুরুর প্রীতি আশীর্বাদ—ব্রহ্মশির অস্ত্র ও তার মাহাত্ম্য

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১: একটু শুরুর কথা হলে ক্ষতি কী…

 

তুলসী

প্রায় সব ঘরেই দেখা যায়৷ এই গাছে আছে অনেক শক্তি। ঘরের মধ্যে যদি এই গাছকে রাখা হয় তাহলে এই গাছ ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করবে। কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড বাটার থেকে শুষে নেয় এই গাছ এবং বাতাসকে রাখে শুদ্ধ।
 

পিস লিলি

বাতাস থেকে ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফর্মালডিহাইড বাতাস থেকে শুষে নেয়। ঘরে এই গাছ রাখা খুবই ভালো।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭০: অন্য বাইশে শ্রাবণ

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৯: তা বলে কি প্রেম দেব না!

 

আইভি

প্রত্যেকটি ঘরে এই গাছ রাখা উচিত। কারণ ঘরে আনার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে। নাসার বৈজ্ঞানিকদের তাই অভিমত৷
 

অ্যালোভেরা রাখুন

ঘরের মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, ফর্মাল ডিহাইডেড-এর মতো ক্ষতিকারক টক্সিন শোষণ করে নেয় এই গাছ। তাই ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রাখতে অবশ্যই ঘরে রাখুন অ্যালোভেরা। বাংলায় এই গাছের আর এক নাম ঘৃতকুমারী।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content