শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


 

রিভিউ: স্কুপ (সিজন-১)

পরিচালনা: হংসল মেহতা

অভিনয়: করিশ্মা তান্না, জীশান, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, হরমান বাবেজা, তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়, দেবেন ভোজানি

ভাষা: হিন্দি

পর্ব: ৬টি

রেটিং: ৮.৫ / ১০

গত জুন মাসের শুরুতে নেটফিক্সে এসেছে ওয়েব সিরিজ ‘স্কুপ’। একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে হংসল মেহতা নির্মাণ করেছেন এই দুর্দান্ত ওয়েব সিরিজ। ওয়েব সিরিজ যখন শুরু হল তখন এক সময়ের বাণিজ্যিক ছবির মতোই একটা বিশেষ ফর্মুলা মেনেই তা তৈরি হত। চড়া নাটক খুনোখুনি রক্তারক্তি ধর্ষণ বেলাগাম যৌনতা গোলাগুলি কার চেজিং, আর গালিগালাজে ভরপুর সংলাপ।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলে ফেলেছে ওয়েব সিরিজ। পরের দিকের পরিবেশনায় আমূল বদল এসেছে। এই মুহূর্তে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমার দেখা নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘স্কুপ’ আর সোনি লিভে সরমন যোশী, মোনা সিং জারিনা ওয়াহাব অভিনীত সাহিল সাঙ্গা নির্দেশিত ‘কফস’। কফস শব্দের মানে হল খাঁচা বা জেলখানা।

তবে আজকের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু ‘স্কুপ’।
সেটাও জুন মাস। সাল ২০১১। মিড ডে কাগজের ক্রাইম এডিটর জ্যোতির্ময় দে ওরফে জে.দে- মুম্বইয়ে মায়ের ফ্ল্যাট ঘাটকোপার থেকে দুপুর তিনটে নাগাদ মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন পাওয়াইতে তার নিজের ফ্ল্যাটে। পাওয়াইয়ের হিরানন্দানি গার্ডেন-এর কাছে মোটরসাইকেলে এসে চারজন অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারী খুব কাছ থেকে ন’টি বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয় জ্যোতির্ময় দে’র শরীর।
সেই সময় সব কাগজের সঙ্গে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র মুম্বই মিরর-এও জ্যোতির্ময় দে’র হত্যাকাহিনি সবিস্তারে বের হতো। তখন নভি মুম্বইয়ের ভাসি-র বাসিন্দা। আমিও খুব মন দিয়ে পড়তাম সেই খবরগুলো। এই খুনের সঙ্গে মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত কিনারা করার জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চ মুম্বই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল। এরপর আর এই খবরে সেভাবে নজর ছিল না।

‘স্কুপ’ দেখার পর জানতে পারলাম কীভাবে তড়িঘড়ি সিবিআই-এর হাত থেকে তদন্ত রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে রাখার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের জেরবার হতে হয়েছিল। ১৬ দিনের তদন্তের পর ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৭ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল এবং জানালো মুম্বই অপরাধ জগতের পারস্পরিক রেষারেষির ফলেই জ্যোতির্ময় দে-কে খুন হতে হয়েছে। এর আট মাস বাদে ‘এশিয়ান এজ’ কাগজের ডেপুটি চিফ অফ ব্যুরো জিগনা ভোরাকে গ্রেফতার করা হল। অভিযোগ তার কাছ থেকে জ্যোতির্ময় দে সম্পর্কিত সমস্ত খবরাখবর নিয়ে অপরাধ জগতের লোকজন তাকে খুন করেছে।
আরও পড়ুন:

রিভিউ: দ্য নাইট ম্যানেজার: দেশীয় সংস্করণে চোখে চোখ রেখে লড়েছেন আদিত্য, অনিল, শাশ্বত ও শোভিতা

লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-৬: হিচককের সাইকো—ম্যারিয়নের স্নান ও নর্মা-র মৃতদেহ

জিগনা ভোরার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট অথবা ‘মোকোকা’ লাগু হয়েছিল। সঠিক প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও জিগনাকে ছ’মাস দক্ষিণ মুম্বইয়ের বাইকুলা মহিলা সংশোধনাগারে কাটাতে হয়। সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিয়ে জিগনা লিখেছেন ‘Behind Bars in Byculla: My Days in Prison’। সেই বই নিয়ে এক অসাধারণ চিত্রনাট্য লিখেছেন মৃন্ময়ী (পশ্চিমভারতে ‘ম্রুন্ময়ী’) লাগু। এই সিরিজ দেখতে বসে বোঝা যায় যে কি সাংঘাতিক পরিশ্রম করেছেন সিরিজের রাইটার এবং রিসার্চ টিমের সদস্যেরা।

সিরিজ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানিয়েছেন—তিনি স্ক্রিপ্ট থেকেই তার কাজ শুরু করেছেন। জিগনা ভোরার বইটি আগে পড়েননি বা ব্যক্তিগতভাবে জিগনার সঙ্গে দেখা করেননি তিনি, শুটিং-এর প্রায় শেষ পর্যন্ত। তিনি তাঁর ফোকাস শুধু লেখা চিত্রনাট্যের ওপরেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন। যেহেতু ঘটনা এবং চরিত্রেরা সকলেই বাস্তব তাই তিনি চিত্রনাট্যকে আঁকড়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কারও কোনও মতামতে প্রভাবিত হয়ে যাতে চিত্রনাট্য থেকে না তাঁর ফোকাস সরে না যায়। ‘স্কুপ’-এর লেখিকা মৃন্ময়ী এবং রিসার্চ টিম বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন জিগনা ভোরার সঙ্গে।

এই দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল যে চিত্রনাট্যটি নিয়ে পরিচালক কাজ শুরু করেছেন সেটাতে সবকিছু ছিল। নানান সাক্ষাৎকারে পরিচালক বারবার বলেছেন সে কথা। মুম্বইতে টেক্সট বা লেখাকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ার এই রীতি হালে। ওটিটি’র সুফল। ইদানীং বলা হয় ‘স্টোরি ইজ দ্য কিং’। কিন্তু গুরুদেবের রথযাত্রা কবিতার মতো রথ পথ মূর্তির ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে জনগণেশ জনতা-জনার্দনই আসল অন্তর্যামী।

শাহিদ (২০১৩) ছবির জন্যে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত, ‘স্ক্যাম: ১৯৯২ হর্ষদ মেহতা স্টোরি’ ওয়েব সিরিজের সফল পরিচালক হংসল মেহতা— এই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি কোন থ্রিলার বানাতে চাননি। জিগনা ভোরা’র আদলে তৈরি চরিত্র ক্রাইম জার্নালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা জাগৃতি (জাগ্রুতি) পাঠকের সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর উচ্চাশা আর সেই উচ্চাশার কারণে ঘটে যাওয়া নিদারুণ পরিণতির এক মননশীল দলিল তৈরি করতে চেয়েছেন পরিচালক।

ঠিক সেই কারণে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সব মশালা থাকা সত্ত্বেও ‘স্কুপ’ কখনওই একটি ক্রাইমথ্রিলার হয়ে ওঠে না। একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতেতে আটকে পড়া একটি সিঙ্গল মাদার ও তারই রোজগারে বেড়ে ওঠা একটি মধ্যবিত্ত গুজরাটি পরিবারের দুঃসহ লড়াইয়ের গল্প হয়ে ওঠে ‘স্কুপ’।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২: মেয়েটি যেন গৃহলক্ষ্মী

চলো যাই ঘুরে আসি: অযোধ্যা— ইতিহাস ও জনশ্রুতি /২

জ্যোতির্ময় দে’-র আদলে তৈরি ক্রাইম রিপোর্টার জয়দেব সেনের অস্তিত্ব রয়েছে এই সিরিজের ছটি পর্ব জুড়ে কিন্তু তাকে দেখা যায় মাত্র দুটি পর্বে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাবলীল এবং উল্লেখযোগ্য চরিত্রায়ণ জয়দেব সেনের ব্যক্তিত্বকে অল্প উপস্থিতিতেও সবিশেষ মর্যাদা দেয়।

হরমান বাবেজা মুম্বইয়ের মূলধারার ছবিতে খুব একটা সাফল্য পাননি। নিজেকে প্রযোজনা ও লেখালেখির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অত্যন্ত পরিচিত আধিকারিক হিমাংশু রায়ের আদলে তৈরি জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ হর্ষবর্ধন শ্রফ-এর ভূমিকায় হরমান বাবেজা চমকে দিয়েছেন। সুকঠিন একজন পুলিশ আধিকারিক হবার বাইরেও মানুষ হিসেবে বারবার তার বিবেকের দংশন, তাঁর অভিনয়ের সূক্ষ্মতা দিয়ে তার মানবিক হতাশা প্রাঞ্জল করে তুলেছেন।

এই সিরিজের আরেক আবিষ্কার ইস্টার্ন এজ কাগজের (এশিয়ান এজ) এডিটর ইন চিফ ইমরান সিদ্দিকীর ভূমিকায় মহম্মদ জীশান আয়ুব। ইমরানের চরিত্রের অসহায়তা অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন জিশান। স্কুপ সিরিজের কারিশমা ও জিশানের অনবদ্য অভিব্যক্তিক অভিনয়ের দূর্দান্ত রসায়ন সাম্প্রতিককালে একমাত্র সোনি লিভের ‘কফস’ ওয়েব সিরিজে সরমন যোশি এবং মোনা সিংয়ের সঙ্গেই তুলনীয়।

নিছক কাকতালীয় ভাবে এই খুনের মামলায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়ে জাগৃতি পাঠকের অসহায়তা, ক্রমাগত সামাজিক পারিবারিক অপমানের বিরুদ্ধে তার অব্যক্ত আক্ষেপ, দিনের পর দিন জেলে ঘটতে থাকা অত্যচারের বিরুদ্ধে তার ভিতরে জমতে থাকা ক্ষোভের নিঃশব্দ অভিব্যক্তি অভিনেত্রী কারিশ্মা তান্না যে দক্ষতায় প্রকাশ করেছেন তা অতুলনীয়।

কথা প্রসঙ্গে পরিচালক বলেছেন, ওটিটিতে স্টারভ্যালু নয়, অভিনয়ের নিরিখে যোগ্যতার বিচার হয়। সঠিক বলেছেন। ষাট-সত্তর দশকের বিশেষ ম্যানারিজম-সহ চোখা চোখা সংলাপ বলা হিরোদের দিন গিয়েছে। ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ অতিমানবীয় স্টার-মেগাস্টার-সুপারস্টারের আশি নব্বই দশকের সাধের রাজত্বের দিন প্রায় শেষ। ওটিটির আগমন নাকি দিশা স্যালিয়েন সুশান্ত সিং রাজপুতের নৃশংস অপমৃত্যু, হিরোগিরির বেলুনে পিনটা যে ঠিক কে ফোটাল, সেটা গভীর রিসার্চের বিষয়।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৯: পঞ্চমের সুরে লতার গাওয়া ‘মেরে নয়না সাওন ভাদো’ গান শুনে শুনেই প্রস্তুতি শুরু করেন কিশোর

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫: আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কী?

তবে তারপর থেকেই সুবিশাল কাটআউটে দুধ-ঢালা মালা-পরানো মহা-মহানায়কদের নিয়ে আসমুদ্র-হিমাচল উন্মাদনার সে সুখের অতীত আজ মোটামুটি অস্তমিত। তাঁদের বক্স অফিসে পয়সার ঝনঝন নয়, মাছির ভনভন বেশি শোনা যায়। সেখানে আয়ুষ্মান খুরানা’র মতো স্বাভাবিক মানবীয় অভিনেতাদের ছবি দর্শক অনেক মন দিয়ে দেখেন। স্টার পরিচালক সুপারস্টার গল্প লিখিয়ে বংশপরম্পরায় গ্ল্যামারাস প্রযোজকেরদেরও জলসাঘরের জমিদার বিশ্বম্ভর রায়ের মতো একে একে নিভিছে দেউটি। পুরোনো সেই একটি কাজের লোক ছাড়া আশেপাশে জনপ্রাণী নেই। একদা মুভি মোঘলরা আজকের রাণা প্রতাপের কাছে দাঁড়িয়ে গোল খাচ্ছেন।

ওটিটি হল বিনোদনের আইপিএল! অতীত-কৃতিত্ব নয় এখন এই মুহূর্তে যোগ্যতা প্রমাণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তাই রাম-শ্যাম-যদু- মধু কিংবা অমল-বিমল-কমল এবং ইন্দ্রজিৎ সবাই-এর জন্যেই মঞ্চ খালি রয়েছে। এই মূহুর্তের যোগ্যতা দিয়ে কায়েম করে নাও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিজের রাজত্ব।

যেভাবে এখন রাজত্ব করছেন মনোজ বাজপেয়ী, পঙ্কজ ত্রিপাঠী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, আরসাদ ওয়ারসি, অনিল কাপুর, সঞ্জয় মিশ্র, রাজকুমার রাও, আয়ুষ্মান ও অপারশক্তি, খুরানা আদিত্য রায় কাপুর। ডিম্পল কাপাডিয়া, নীনা গুপ্তা, তব্বু, কঙ্কণা সেনশর্মা, শেফালি শাহ, হুমা কুরেশি, রাধিকা আপ্তে এবং অবশ্যই মূলধারার ছবিতে এখনও দীপিকা পাড়ুকোন, কঙ্গনা রানাউত, আলিয়া ভাট, তাপসী পান্নু ও কৃতি শ্যানন। তাণ্ডব আর সেক্রেড গেমস-এ নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে অবাক করেছেন সইফ আলি খান।

হংসল মেহতা ও ক্রাইম রিপোর্টার জ্যোতির্ময় দে।

দ্রুত উঠে আসছেন উজ্জ্বল তারকারা, বরুণ শর্মা, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, জয় সেনগুপ্ত, বিজয় ভার্মা ভিক্রান্ত মেসি, অমিত সিয়ালনীরব কবি অমিত সাদ সোহম শাহ প্রতীক গান্ধি, রাজেশ শর্মা, শারিব হাসমি, জিতেন্দ্র কুমার, গুলশন দেবাইয়া, দরশন কুমার, আলি ফজল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আমির বসির, বারিতা চাড্ডা, প্রিয়ামণি, নিলোফার ঘেসোয়াৎ, অনুপ্রিয়া গোয়েঙ্কা, শ্বেতা বসু, প্রসাদ রিদ্ধি ডোগ্রা এবং নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করেছেন অভিষেক বচ্চন (ব্রিদ- ইন্টু দ্য শ্যাডোস) ও সোনাক্ষী সিন্‌হা (দাহাড়)।

হিন্দি ভাষাটায় সমস্যা না থাকলে বাংলায় গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভাব নেই। তাই কিছুটা হলেও উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, পাওলি দাম এবং জুবিলি ও স্কুপ-এর জন্য প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং।

এছাড়াও আরও অনেক গুণী প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন। কিন্তু এঁর মধ্যে হিন্দি ছবির ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর স্বরূপ কোনও বিশিষ্ট খান-কাপুর-কুমার কিন্তু নেই। লড়াইটা তাই এখন ভয়ঙ্কর।

নিজের কোলে ঝোল টেনে চরিত্রের গুরুত্ব বাড়ানো, এডিটিং টেবলে প্রভাব খাটিয়ে সহ-অভিনেতাকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া বা ছবির প্রচারে প্রোমোশনে অন্যদের অপাংক্তেয় করে দেওয়া, ছবির সমালোচনাকে প্রভাবিত করা বা আগে থেকে বরাত দিয়ে চলচ্চিত্র পুরস্কার আদায় করার পুরোনো জারিজুরি কিছুই ওটিটির দুনিয়ায় কাজে আসবে না। শুধুমাত্র যোগ্যতা আর পরিশ্রম দিয়ে সমীহ আদায় করতে হবে।

আরও যত বেশি করে এ ধরণের যোগ্যতা নির্ধারক প্রজেক্ট বাড়বে বিনোদনের সর্বক্ষেত্রে তত কঠিন হবে প্রতিযোগিতা, স্টার ভ্যালু ফ্যামিলি ভ্যালু ততই ইতিহাসের পাতায় ক্রমশ মলিন জীর্ণ হতে থাকবে। জয় হোক ওটিটি-র।
* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content