আমির ও কন্যা ইরা। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য বিয়ে হয়েছে আমির কন্যা ইরা খানের। অনেকেই হয়তো জানেন না, তিনি গত পাঁচ বছর ধরে অবসাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আমির-কন্যা বরাবরই খোলামেলা ভাবেই কথা বলতে ভালোবাসেন। সম্প্রতি ইরা জানিয়েছেন, আট-দশ মাস অন্তর তাঁর মানসিক সমস্যা ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যায়।
ইরার কথায়, তাঁর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার মূল কারণ হল বাবা আমির ও মা রীনা দত্তের বিবাহবিচ্ছেদ। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, এই মানসিক অবসাদের সমস্যা তাঁদের পরিবারে রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে কিছু দিন আগে ইরা তাঁর মানসিক অবসাদের কথা অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
ছবি মুক্তির আগেই মুখোমুখি বাদশা এবং খিলাড়ি! ‘জওয়ান’-কে টেক্কা দিতে হাজির ‘ওএমজি ২’, কীভাবে?
টিভির পর্দায় খবর পড়ে চলেছেন সঞ্চালক, যদিও তিনি মানুষ নন! এআই ব্যবহার করে চমক ওড়িশার টিভি চ্যানেলের, রইল ভিডিয়ো
ইনস্টাগ্রামে তিনি অনুরাগীদের প্রশ্নও করেন, তাঁদেরও কখনও এরকম প্যানিক অ্যাটাক হয় কি না। এক সাক্ষাৎকারে আমির কন্যা বলেন, ‘‘বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদে আমি খুবই মানসিক কষ্ট পেয়েছিলাম। এ নিয়ে আমি কাউকে কিছুই বলিনি। কারণ, সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়বেন। সে সময় আমি খাওয়াদাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪: সুন্দরবনের লবণ-বৃত্তান্ত
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন? কোন নিয়ম মেনে চললে ৩ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আসবে এই রোগ?
আমির ও মা রীনা দত্তের বিবাহবিচ্ছেদের সময় ইরার বয়স ৫ বছর। আমির-রিনার ১৮ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০১৮ সালে। ইরার কথায়, ‘‘একটা সময় ছিল আমি তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকতাম। মা মনে করেছিলেন আমি হয়তো আর বাঁচব না।’’ এমন পরিস্থিতিতে মা তড়িঘড়ি বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে ইরা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ। এখন বাবা আমির ও মা রিনার সহযোগিতায় তিনি ‘অগস্ত্য ফাউন্ডেশন’র স্থাপন করেছেন। ‘অগস্ত্য ফাউন্ডেশন’ লক্ষ্য, মানসিক সমস্যায় ভোগা মানুষদের সাহায্য করা।
তবে ইরা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ। এখন বাবা আমির ও মা রিনার সহযোগিতায় তিনি ‘অগস্ত্য ফাউন্ডেশন’র স্থাপন করেছেন। ‘অগস্ত্য ফাউন্ডেশন’ লক্ষ্য, মানসিক সমস্যায় ভোগা মানুষদের সাহায্য করা।