রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: সংগৃহীত।

খ্রিস্টপূর্ব দু’ হাজার বছর আগে থেকেই চন্দন কাঠ এবং চন্দন তেলের ব্যবহার চলে আসছে। চন্দন তেল বহু কাল থেকেই রাজ পরিবারের বিশেষ পছন্দের সামগ্রী ছিল তাই রাজবাড়ির সদস্যদের প্রসাধন সামগ্রী হিসাবে শ্বেত চন্দন ব্যবহৃত হতো ব্যাপকভাবে। দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত মাহিশুরের রাজা ১৭৯২ সালে এই গাছকে ‘রয়াল ট্রি’ বা ‘রাজার বৃক্ষ’ নামে অভিহিত করেন। সেই সময় থেকেই চন্দন গাছের ওপর সাধারণ প্রজার আর কোনও অধিকার রইল না। সেই প্রথা বা আইন আজও চলে আসছে স্বাধীন ভারতে।

কথিত আছে, পরাধীন ভারতে রানি প্রথম এলিজাবেথের খুবই পছন্দের প্রসাধনী ছিল শ্বেতচন্দন। রানির বিছানার চাদরে খাঁটি চন্দনের গন্ধে ভরা না থাকলে তিনি প্রীত হতেন না। কারণ চন্দন রানির শরীর ও মনকে সুন্দর রেখে আনন্দে ভরিয়ে তুলতো। শরীরের সঙ্গে চন্দনের সম্পর্ককে মহর্ষি বাৎসায় ও তাঁর ‘কামসূত্রে’ ব্যক্ত করেছেন। বাৎসায়ন মুনির মতে চন্দন সুভাস হল চিরকালীন ভালোবাসার অঙ্গ। প্রেম ও কামের সুন্দরতম পরিবেশ রচনায় চন্দনের গন্ধ এক বিশেষ ভূমিকা নেয় যা পরিণতি দেয় নর ও নারীর সাধের মিলনক্ষন।

ভারতে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন মন্দিরের পুজোয় চন্দনকে সুগন্ধি দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। মন্দির চত্বরে তাই পা রাখলেই বাতাসে ভেসে আসা চন্দনের সুবাসে মন হয় প্রফুল্ল, হৃদয় ওঠে এক গভীর অনুরণন।

দেশে শুধু মন্দিরের পুজোতে চন্দনকে সুগন্ধি দ্রব্য হিসাবে ব্যবহার নয়, মন্দিরের বিগ্রহ সাজানোর জন্য চন্দনের ফোঁটা ব্যবহার করা রীতি আছে। রক্ত চন্দন ‘দেবী আরাধনা’ এবং শ্বেত চন্দন ‘দেবতা আরাধনা’-র অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই মন্দিরের চত্বরে পা রাখলেই বাতাসে ভেসে আসা চন্দনের সুবাসে মন হয় উৎফুল্ল, হৃদয় ভরে ওঠে এক গভীর অনুরণনে। শুধু হিন্দু বা বৌদ্ধ মন্দিরের কথাই বা কেন বলবো? সুফি সন্তর মসজিদেও চন্দনের সুবাসে ভরা আগরবাতি জ্বলতে থাকে এবং এই চন্দনের সুবাস বাতাসে ভাসতে থাকে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে চন্দন কাঠ নিঃসৃত তেল দ্বারা নির্মিত ধূপকাঠি, ভক্ত এবং ভগবানের মধ্যে যেন এক অসাধারণ যোগসূত্র স্থাপন করেছে।
পুজো অর্চনা ছাড়াও হিন্দুদের যেকোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে বিশেষত বিয়ের সময় পাত্র-পাত্রীকে চন্দনের ফোঁটায় সাজানো রীতি আছে। এছাড়াও অন্নপ্রাশন, উপনয়ন এবং জন্মতিথিতেও চন্দন লিপনকে মাঙ্গলিক বলে মনে করা হয় কারণ এটি অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে সৌভাগ্যের প্রতি হিসাবে বিরাজ করে। হিন্দুদের মধ্যে বহুকাল ধরে এক লোকবিশ্বাস প্রচলিত আছে যে স্বর্গে সবসময় চন্দনের গন্ধ ভরপুর থাকে এবং চন্দন চর্চিত দেহ কোনও প্রেতাত্মা স্পর্শ করতে পারে না। এই ধারণা অনুযায়ী হিন্দুরা মৃতদেহে চন্দন লেপন করে এবং চন্দন কাঠের চিতা সাজায়। হিন্দুদের বিশ্বাস যে চন্দনের ধোঁয়ার সঙ্গে মৃত ব্যক্তির আত্মা অবশ্যই স্বর্গে আরোহন করে।

বর্তমানে ভারতে চন্দন কাঠ প্রায় লুপ্তপ্রায় এবং এক কেজি চন্দন কাঠের দাম লাখ টাকার উপর হওয়ার অগত্যা চন্দন কাঠের পরিবর্তে এখন শবদাহের পাশে চন্দনের ধূপকাঠি বা আগরবাতি জ্বালানোর প্রচলন আছে।

বৈষ্ণব ধর্ম মতে সারা অঙ্গে চন্দনের তিলক ধারণ করার রীতি আছে। পদ্মপুরাণে উল্লেখ আছে যে বৈষ্ণবরা যদি তুলসী মালা এবং চন্দনের তিলক এর মাধ্যমে নিজেদের শরীরকে সাজিয়ে তুলতে পারে তাহলে সেই শরীরই বৈকুণ্ঠ ধাম বা বিষ্ণুমন্দিরে পরিণত হয়। কপাল ছাড়াও চন্দন তিলক তারা দেহের দ্বাদশ স্থানে অঙ্কন করেন। বিষ্ণুর দ্বাদশ নাম উচ্চারণের মাধ্যমে তারা এই রীতি অনুসরণ করেন। কপাল তিলক অঙ্কনের সময় ‘কেশব’কে প্রণাম জানানো হয় মন্ত্রের মাধ্যমে।

একইভাবে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে তিলক অঙ্কনের ক্ষেত্রেও একই রীতি অনুসরণ করা হয়। যেমন বুকের তিলক ‘মাধব’কে, কণ্ঠের তিলক ‘গোবিন্দ’কে, তলপেটের তিলক ‘নারায়ণ’কে, পেটের ডান দিকের তিলক ‘বিষ্ণু’কে, ডান ঊর্ধ্ব বাহুতে ‘মধুসূদন’কে, বাম ঊর্ধ বাহুতে ‘শ্রীধর’কে, ডান কাঁধে ‘বিক্রম’কে, বাম স্কন্ধে ‘ঋষিকেশ’কে, পেটের বাঁদিকে বামনকে, ঊর্ধ্ব পৃষ্ঠে ‘পদ্মনাভ’কে এবং নিম্নপৃষ্ঠে ‘দামোদর’ কে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বৈষ্ণব মতে তুলসী মালা এবং চন্দনের তিলক যে ব্যক্তি সারা দেহে এঁকে ঘুরে বেড়ান তাকে কখনো যমদূত, স্পর্শ করতে পারে না। তাদের বিশ্বাস কপালে তিলক হচ্ছে উর্ধ্ব পদ্ম অর্থাৎ শ্রী হরিচরণ কমল। এতক্ষণ শোনালাম চন্দনের আধ্যাত্বিক ধ্যান ধারণার কথা। এবার বলবো চন্দনকে কীভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগানো যায়।
আরও পড়ুন:

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: ধর্মবৃক্ষ বা বোধিবৃক্ষ অশ্বত্থ

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪০: সে এক স্বর্গপুরীর ‘চিরকুমার সভা’

 

এক নজরে

● সাদা চন্দনের বিজ্ঞানসম্মত নাম: স্যান্টালাম অ্যালবাম (Santalum album)।
● বাংলা নাম: শ্বেতচন্দন বা সাদা চন্দন।
● ইংরেজি নাম: স্যান্ডেল উড।
● গোত্র: স্যান্টালেসি।

● আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে: আমরা সাধারণত দু’ ধরনের চন্দন দেখলেও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের ধন্বন্তরী মতে বিভিন্ন ধরনের চন্দন আমরা পেয়ে থাকি, যেমন শ্বেতচন্দন, রক্তচন্দন, কুচচন্দন, কালীয়ক চন্দন এবং বার্বারিকা চন্দন।

● গাছের প্রকৃতি: চন্দন গাছ হল বহুবর্ষজীবী, দ্বিবীজপত্রী, কাষ্ঠল, বহু শাখান্বিত, চির সবুজ বৃক্ষ। চন্দন গাছ প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময়কাল বেঁচে থাকতে পারে। গাছটি যখন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ষাট বছরে পৌঁছায় তখন চন্দন কাঠের মাঝখানের অংশকে ‘সার কাঠ’ বলে। এই মধ্যেখানের ‘সারকাঠের’ মধ্যেই ভালো সুগন্ধময় কাঠ এবং সুগন্ধি তেল পাওয়া যায়। বাইরের বাকি কাঠ বা ডালে কোন গন্ধ থাকে না একে ‘অসার কাঠ’ বলা হয়।

● গাছের বিস্তৃতি: চন্দন গাছ আমাদের দেশের তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটক রাজ্যে প্রধানত চাষ করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকের মহীশূর, কুর্গ, কোয়ম্বত্তূর, মাদুরাই জায়গায় স্থানে প্রধানত দুই থেকে চার হাজার ফুট উচ্চতায় চন্দনের চাষ করা হয়।

বর্তমান ভারতে চন্দন গাছের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় এটিকে লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত চন্দন গাছ সরকারি সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করা হয়। একটি চন্দন গাছের আয়ু শতবর্ষ হলেও চন্দন গাছ থেকে ভালো সুগন্ধ যুক্ত চন্দন কাঠ এবং চন্দন তেল পেতে মোটামুটি ৪০ থেকে ৬০ বছর সময় লাগে। চন্দন গাছের চারা রোপনের আগে মাটি লাঙ্গল দিয়ে কোপাতে হবে এবং আগাছা মুক্ত করতে হবে তারপর ওই হালকা পাথুরে কৃষ্ণমৃত্তিকায় একটু ফাঁক ফাঁক করে গাছের চারা বসাতে হবে। এখন অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাংশে ভারতীয় এই চন্দন গাছের প্রজাতি চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৬: মাছের তেল হার্ট অ্যাটাক আটকায়?

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-২৬: নারীবিদ্বেষ— অসুখ নাকি রাজনীতি

 

কী কী উপাদানে ভরপুর?

শ্বেত চন্দন গাছের থেকে নিষ্কাশিত তেলে প্রায় ৫৩ রকমের এসেন্সিয়াল অয়েল এবং ভোলাটাইল অয়েল পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৩০ সেসকুইটারপিনল থাকে ৭৮.৫ শতাংশ, ৯ সেসকুইটারপিনল থাকে ৭.৮ শতাংশ, তারপিনই অ্যাসিড থাকে ০.৪ শতাংশ, ৫ সেসকিউটারপিনয়েড আইসোমার্স থাকে ৪.৪ শতাংশ।

রক্ত চন্দনে উপস্থিত সক্রিয় পদার্থ গুলি হল টেরকারপল, টেরকার্পট্রিয়ল, আইসোটেরকার পোলোন, হোমোটেরোকারপিন, ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস, গ্লাইকোসাইড, ফেনলস জাতীয় আরও কিছু উপাদান।
 

চিকিৎসাশাস্ত্রে চন্দনের ব্যবহার

 

রোগ নিরাময়ের আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে সাদা চন্দন হল শীতল, রুক্ষ গুনযুক্ত, সাদের তিক্ত কষা। বিপরীতে রক্ত চন্দন হল প্রবাল ফল তিল পর্ণ রক্তসার এবং রক্তাঙ্গ বিশিষ্ট। শ্বেত চন্দন গ্রহণ করলে শ্লাষ্মা, পিত্তবিকার, শ্রম, বিষদোষ এবং দাহ রোগ বিনাশ হয়। অপরদিকে রক্ত চন্দনের গুনে তৃষ্ণা, জ্বর রক্তপিত ক্ষত বামন চক্ষু রোগ নিরাময় হয়।
 

ত্বকের যত্ন নিতে

শ্বেত চন্দন এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বকের ব্রণ, ক্ষত বা অন্যান্য সংক্রমণজনিত রোগ দূর করতে পারে। এগুলি ছাড়াও বিষ ফোঁড়ার ক্ষেত্রে শ্বেত চন্দন এবং গোলমরিচ একসঙ্গে ঘোষে তিন চার ঘণ্টা অন্তর অন্তর লাগালে ব্যথার উপশম হয়।
 

স্ত্রী রোগ নিরাময়

দেহের ক্ষেত্রে যখন দুর্গন্ধযুক্ত ঋতুস্রাব হয় তখন প্রকৃত চন্দন কাঠের গুঁড়ো গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সেটা শেখে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৬: কবির অসুখ-বিসুখ

ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৯: মোহাবিষ্ট মায়াবী কণ্ঠস্বর, চেনা বলার ঢং, তবে কি মোহিনী?

 

মানসিক অবসাদ দূর করতে

স্নায়বিক উত্তেজনা প্রশমনে এবং মানসিক উদ্বেগ দূর করতে শ্বেত চন্দন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে থাকা সিডেটিভ এবং অ্যান্টিজিওলাইটিক গুণ থাকার জন্য এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শীতল এবং ট্রেসমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। চন্দন অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করে মনকে প্রফুল্ল রাখে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করে।
 

ওরাল ফ্রেশনার হিসেবে

চন্দন দাঁত ও মারিকে শক্ত এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে এর অ্যস্ট্রিনজেন্ট গুণ দাঁতের ক্ষত নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ।
 

ত্বকের ক্যানসার নিরাময়

চন্দনের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ আলফা সান্টালল ত্বকের ক্যানসার দূর করে। চন্দন গাছের ছাল এবং পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের এজিং কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।চন্দন ত্বকের হারানো যৌলুস ফিরিয়ে আনে। সানস্ক্রিন হিসেবে ত্বকে চন্দন বাটা লাগালে সূর্যের আলোয় উপস্থিত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকে। চন্দন মেশানো জলে গরম কালে প্রতিদিন স্নান করলে ত্বক তরতাজ ও শীতল থাকে। ত্বকের উজ্জ্বল্য বাড়াতে দুই দিন ছাড়া স্নানের পরে সাদা চন্দনের প্রলেপ ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে এবং তারপর জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

ডায়াবেটিস রোগ প্রশমনের জন্য খাবারের আগে রক্তচন্দন ভেজানো জল ব্যবহার করা হয়। আধুনিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রক্ত চন্দন প্রাণীদেহে ইনসুলিন ক্ষরণ বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তচন্দন খুবই উপকারী।

ছবি: সংগৃহীত।

 

প্রস্রাবের সমস্যা দূরীকরণে

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে ঢেঁকি ছাটা চাল ধোঁয়া জল দিয়ে চন্দন ঘষে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের জ্বালা যন্ত্রণা অনেকটাই কমে যায়।
 

শরীর ঠান্ডা রাখতে

গ্রীষ্মের অতিরিক্ত দাবদাহ থেকে শরীরকে শীতল ও স্নিগ্ধ রাখার জন্য সামান্য চন্দন ঘষা ঠান্ডা জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পেটও ঠান্ডা থাকবে।
 

মাথার যন্ত্রণা কমাতে

যাদের নিয়মিত মাথার যন্ত্রণার সমস্যা আছে তারা চন্দন ঘোষে তার সঙ্গে একটু কর্পূর মিশিয়ে কপালে লাগালে মাথা ধরা অনেকটাই উপশম হয়।
 

জীবাণু ধ্বংস করতে

শ্বেত চন্দন এবং রক্তচন্দন ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ।তাই কোন ক্ষতস্থান বা আলসারে চন্দন বেটে লাগালে তা দ্রুত সরে ওঠে।
 

নানা বিধি রোগ নিরাময়ে

এগুলি ছাড়াও শেষ চন্দন এবং চন্দন তেল জ্বর, বমি, ডায়রিয়া, ব্রংকাইটিস, নেফ্রাইসিস, সিস্টাইছিস অর্থাৎ মূত্রজনিত সংক্রমণ, হার পিস প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড এর সংক্রমণ ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।

ভারত উচ্চবোধের দেশ। তাই সকলের রক্ষাকর্তা অর্থাৎ পালনকর্তা নারায়ণের শিলায় সর্বক্ষণ চন্দন লেপন করার রীতির মাধ্যমে মানবজাতির কল্যাণে চন্দনের যে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ আসন তা বোঝানো হয়।

* হাত বাড়ালেই বনৌষধি (Herbs-and-seeds): স্বাতীলেখা বাগ (Swatilekha Bag), উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ।

Skip to content