রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

ভারতীয় জীবন ও সংস্কৃতিতে তুলসী নামের মাহাত্ম্য হল প্রবিত্রতা। স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে “শুধু তুলসী দেবীকে স্পর্শ করলে মানব দেহ শুদ্ধ হয়। তার প্রার্থনা করলে সব অসুখ সেরে যায়। যদি কেউ এই উদ্ভিদকে প্রতিদিন জলদান করেন, তাহলে তাঁর যমরাজের ভয় নষ্ট হয়।”

তুলসীর সঙ্গে ভারতীয় নারীর শুদ্ধতা জড়িয়ে থাকা রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে ভারতীয় সংস্কৃতিতে। ভোরের প্রথম পবিত্র আলোকরশ্মি যখন বাড়ি উঠানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত তুলসী গাছের মাথায় পড়ে তখনই ভারতীয় নারী স্নান শেষে সিক্তবসনে দাঁড়িয়েছেন তুলসী বেদীর সামনে, তার সিক্ত কেশরাশি থেকে চুইয়ে পড়ছে বিন্দু বিন্দু জলে ধারা, তিনি জল দান করছেন এবং প্রদক্ষিণ করছেন তুলসীবেদীকে। আবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে সংসারের সকল অন্ধকার কাটিয়ে আলোকরশ্মি ফোটানো। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কত কষ্ট, কত বিবর্ণতা, কত কলঙ্ক লেগে যায়; মন অস্থির হয়। প্রতিদিনের শুরুতে সেই অস্থির মনকে কিছুটা হলেও প্রশমিত করে প্রাতঃকালীন তুলসী আরাধনা। হরি অর্থাৎ নারায়ণ পুজোর শেষে অনেকেই একটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খায়। কারণটা হল পবিত্রতাকে আত্মস্থ করে নিজের শরীরও মনকে পবিত্র ও সুস্থ রাখা।

এই সব কারণেই প্রাচীন ভারতীয় বেদ ও পুরানে তুলসী পাতা এবং তার থেকে পাওয়া নির্যাসের ব্যবহার উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। বৃক্ষের দেবত্বে উন্নয়ন ভারতীয় পরম্পরায় নতুন নয় তাই ভারতীয় লোকোকথায় বর্ণিত আছে যে মর্তবাসীনি তুলসী, বিষ্ণুপ্রেমে পাগল হয়ে ভবঘুরে হয়ে পৃথিবীর কোথাও স্থান না পেয়ে ভগবান নারায়নের শরণাপন্ন হন। কিন্তু বৈকুণ্ঠ ধামের দরজা বন্ধ করে দেন বিষ্ণুপত্নী লক্ষী। অপমানিত তুলসী বিষ্ণুর আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে। দেবী লক্ষ্মীর অভিশাপে তুলসীর পা দুটি আস্তে আস্তে শিখরে পরিণত হয়, হাত থেকে জন্ম নেয় পাতা ও অবশেষে সমগ্র তুলসী দেহ পুরোপুরি রূপান্তরিত হয় তুলসী গাছে এবং তার সুবাস চারিধারে ছড়িয়ে পড়ে। ভগবান বিষ্ণু তুলসীর এমন একনিষ্ঠ প্রেম দেখে খুশি হয়ে তাকে বিষ্ণুপ্রিয়া নাম দেন এবং আশীর্বাদ করেন যে এখন থেকে পৃথিবীতে তুলসী দেবী পুজিত হবে। তুলসীকে পবিত্র সুমঙ্গলী সতী নারীরূপে সধবা গৃহবধূরা প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় তুলসী গাছের পুজো করবেন। এই কারণবশতই প্রত্যেক হিন্দু বাড়ির উঠোনেই তুলসী গাছ রাখা হয় এবং জলদান ও পুজো করা হয়। আবার কথিত আছে ভগবান বিষ্ণু নিজেই শালোগ্রাম শিলায় রূপান্তরিত হন তুলসীকে বিবাহ করবার জন্য।

বিজ্ঞানসম্মতভাবে শালগ্রাম শীলা কিন্তু কোনও পাথর নয়। এটি এক ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীর জীবাষ্ম বা ফসিল যেটি নেপালের গন্ধকী নদীতে পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে প্রাণিবিদ্যা অনুযায়ী সেফালোপড গোত্রের সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর পর তাদের দেহটি জীবাশ্মে পরিণত হয় যেটি অ্যামোনাইট জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি। এই জীবাশ্মটির গায়ে কখনও কিছু ছাপও দেখতে পাওয়া যায়। কৃষ্ণ বর্ণের এই জীবাশ্মটি নারায়ণ শিলা হিসাবে আজও হিন্দুদের কাছে পুজিত। সম্পূর্ণ মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে লৌকিক আচার মেনে তুলসী গাছের সঙ্গে শালগ্রাম শিলার বৈবাহিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় সাধারণত কার্তিক মাসে শুক্লপক্ষের প্রবোধিনী একাদশী অথবা দ্বাদশীর দিনে। তুলসী বিবাহের অর্থই হলো বর্ষার শেষ এবং হিন্দুদের বিবাহের সময় আগত। পদ্মপুরাণে তুলসী বিবাহের বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ আছ।

বেদ পুরানে যুগ থেকে তুলসী গাছ ভারতীয় সংস্কার ও সংস্কৃতিতে মিশে থাকলেও একটা কথা পাঠকরা শুনলে অবশ্যই আশ্চর্য হবেন যে, যিশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করার পর যে স্থানে সমাধি স্থল করা হয়েছিল সেইখানেই তুলসী গাছ দেখা গিয়েছিল। এই কারণবশতই হয়তো অনেক গির্জায় আজও তুলসী গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ‘সেন্ট বেসিল ডে’ উৎসবে তুলসী গাছের বেশ গুরুত্ব আছে বলে জানা যায়।
 

এক নজরে

● বিজ্ঞানসম্মত নাম: অসিমাম স্যান্টাম
● গোত্র: লামিয়েসি
● ইংরেজি নাম:
● বিজ্ঞানসম্মত নাম: অসিমাম স্যান্টাম
● গোত্র: ল্যামিয়েসি
● বাংলা, হিন্দি ও তামিল ভাষায় নাম: তুলসী
● মারাঠি ভাষায় নাম: তুলনা
● তেলেগু ভাষায় নাম: বৃন্দা
● সংস্কৃত ভাষায় নাম: মঞ্জুরী
● ইংরেজি ভাষায় নাম: স্যাক্রেড বাসিল
● গাছের প্রকৃতি: গুপ্তবীজী, দ্বিবীজপত্রী এবং বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ হল তুলসী। কাণ্ড, পাতা ও ফুলে এক ধরনের গন্ধ উপস্থিত থাকে। পাতা সরল, জালিকাকার শিরা বিন্যাস এবং বৃন্তযুক্ত হয়। পুষ্পবিন্যাস জ্বাল আকারের ভার্টিসিলেস্টার ধরনের।
 

কী কী উপাদানে ভরপুর?

তুলসীতে ০.৭ শতাংশ উদ্বায়ী তেল থাকে। এই তুলসী পাতার তেলে আছে ৭১ শতাংশ ইউজেনল এবং ২০ শতাংশ মিথাইল ইউজেনাল। এছাড়া থাকে কার ভাংচং এবং ক্যারিওফাইলিং জাতীয় কার্বোহাইড্রেট যৌগ।

খুব তাজা তুলসী পাতা ও তার সংলগ্ন ডাটির নিদ্রাসে প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিক যৌগ পাওয়া যায়। এই ফেনোলিক যৌগ খুব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। ফেনোলিক যৌগ সেসকুইটারপেনস এবং মেনোটারপেনস পাতার নির্যাস এর উল্লেখযোগ্য উপাদান।

আরও পড়ুন:

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: মর্ত্যের অমৃত রসুন

দশভুজা: পিকনিক দল থেকে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু: তাঁর লেন্সের বিস্তৃতি ছিল বিস্ময়কর

 

চিকিৎসাশাস্ত্রে এর ব্যবহার

 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়

আয়ুর্বেদ সিদ্ধা চিকিৎসা শাস্ত্রে তুলসী পাতা এবং তার ডাঁটি, কাণ্ড সমগ্র ভাবে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক হিসাবে। যেমন সর্দি-কাশি, কফ, মাথা ধরা, ফ্লু, চোখের ব্যথা, মুখ ও গলার ঘা, মাইগ্রেন, পেটের গ্যাস, বদহজম ,অনিদ্রা, চর্মরোগ, বাত, উদারাময় রাতকানা ইত্যাদি ইত্যাদি।
 

মস্তিষ্কের বিকাশে

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে তুলসী পাতার রস অব্যর্থ। মানসিক চাপ ও অবসাদ দূর করতে তুলসী তেল পেন্টোবারবিটন জাতীয় ওষুধের মতো কাজ করে।
 

আলসার নিরাময়

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই থেকে চারটি সতেজ তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ঘা বা আলসার অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
 

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ

নিয়মিত তুলসী পাতার রস খাদ্য তালিকায় রাখলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা, দুশ্চিন্তা, অবসাদ অনেকাংশে লাঘব হয়।
 

রক্ত তৈরিতে

তুলসী পাতা নিজ যাস দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা দ্রুত তৈরি হয়। ফলে আমাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও ঠিকঠাক থাকে।
 

লিভারকে সুস্থ রাখতে

অত্যাধিক অ্যাসপিরিন,প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ থেকে লিভারের যে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা থেকে লিভারকে প্রতিহত করতে তুলসী বিকল্পহীন। ওষুধ চলাকালীন দিনে পাঁচটা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
 

কৃমি নিবারণে

শিশুদের কৃমিজনিত সমস্যা রোধ করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। প্রতিদিন খালি পেটে অর্ধেক কাপ তুলসী পাতার রস মধু সহযোগে খাওয়ালে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২১: ক্যানসার মানেই মৃত্যু?

ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৪: পুতুলের মাথায় কোঁচকানো সোনালি চুল, চোখ দুটো কেমন যেন অদ্ভুত, কিন্তু এটা আমায় কে পাঠালো?

 

শর্করা নিয়ন্ত্রণ

ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতে এটি শরীরের অল্টোজ জাতীয় উৎসেচকের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটায় এবং সুগারের কারণে চোখের ক্ষতি অনেকাংশে রোধ হয়।
 

বাতের সমস্যায়

বাতের ব্যথাতে তুলসীর তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়। বার জনিত কারণে হাড়ের ক্ষয় বা জল জমার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও প্রতিদিন নিয়ম করে চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে।
 

ত্বকের যত্ন

তুলসী পাতা ও দুর্বা বেটে ভাতের ফ্যানের সঙ্গে গায়ে মাখলে চুলকানি এবং ঘামাচি ভাল হয়। মুখে বসন্তের কালো দাগ মেলাতে তুলসী রস বিশেষ কার্যকারী।
 

ফুসফুস জনিত সমস্যার সমাধানে

ধূমপানের কারণে ফুসফুস, গলা ও বুকের বিভিন্ন রোগ; এমনকি লান্স ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরাও তুলসী ও মধু সহযোগে চা পান করতে পারেন। এতে তাদের রোগের জ্বালা অনেকটাই কম থাকে।
 

হাঁপানির সমস্যা

মহামতি চরক তুলসীকে ‘শ্বাসহর’ বর্গের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। হাঁপানিতে শ্বাসনালীর ভেতর অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় এবং এবং শ্বাসনালী সংকুচিত হয়। এই অবস্থাকে মেরামত করবার জন্য তুলসী পাতার রস কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
 

জ্বালা যন্ত্রণা উপশমে

বোলতা বা অন্য কোন বিষাক্ত কিট কামড়ালে তুলসী রস সেই স্থানে লাগালে দ্রুত জ্বালা যন্ত্রণা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
 

ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ

সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে যে তুলসী নির্যাস নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরস্থ ক্যানসার কোষ ধ্বংসকারী এনজাইমগুলো উদ্দীপিত হয়। এই এনজাইম গুলো হল সাইটোক্রোম পি-৪৫০, সাইটোক্রম বি-৫, অ্যারাইল হাইড্রোকার্বন, হাইড্রাক্রিলেস এবং গ্লুটাথিয়ন এস ট্রান্সফরেন্স। উপরিউক্ত এনজাইমগুলো ক্যানসার কোষ এবং মিউটাজেন্টস জনিত দূষিত পদার্থ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে।
 

হজমশক্তি বাড়াতে

অনেকেরই দুধ, দই এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার হজম করতে একটু সমস্যা হয়ে থাকে। ২০০৮ সালে ‘ইন্টারন্যাশনল জার্নাল অব ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন, ভলিউম-৪’ গ্রন্থটিতে প্রকাশিত হয়েছিল যে দইয়ের মধ্যে থাকা বিটা গ্যালাকটোসিডেজ জাতীয় উৎসেচকের মাত্রা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে তুলসী তাই তুলসী দই এবং দুগ্ধ জাতীয় পদার্থের হজম প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা নেয়।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৬: যুগে যুগে যা ‘সবার উপরে’

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১২: হঠাৎ স্নানঘর থেকে পঞ্চমের চিৎকার ‘মিল গয়া মিল গয়া’, সৃষ্টি হল সেই জনপ্রিয় গান ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তুলসীর গুরুত্ব লিখে শেষ করা যাবে না। হরির নৈবেদ্যর মতো আমাদের খাদ্য তালিকাও তুলসী ছাড়া অসম্পূর্ণ। সকালে খালি পেটে তুলসির রস, চায়ে মসলা হিসাবে তুলসী পাতা, বাচ্চাদের দুধের সঙ্গে অথবা লস্যিতেও খাওয়া যেতে পারে তুলসী পাতা। বর্তমানে তুলসীর রস মিশিয়ে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি, ক্যান্ডি, আইসক্রিম ও সন্দেশ তৈরি হচ্ছে। ভেজিটেবল স্যান্ডউইচেও তুলসী পাতার ব্যবহার করা যেতে পারে। আসল কথা হল যেভাবেই হোক রোজের খাদ্য তালিকায় এটিকে রাখলে আমরা বহু রোগ থেকে সহজেই দূরে থাকতে পারবো। ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর’ কথাটি মনে রেখে দুরারোগ্য কোনও ব্যাধি শরীরে প্রবেশের আগেই যদি তার প্রতিকারের ব্যবস্থা স্বরূপ তুলসীকে প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী করে নিতে পারি। তবে তা মানবজাতির পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গলকর। সুতরাং তুলসী গাছ শুধু পুজোস্থলে রেখে ধূপ-ধুনো দিয়ে পুজো করলে হবে না বরং পালনকর্তা বিষ্ণুর নৈবেদ্য হিসাবে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জায়গা দিতে হবে তুলসীকে।
* হাত বাড়ালেই বনৌষধি (Herbs-and-seeds): স্বাতীলেখা বাগ (Swatilekha Bag), উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ।

Skip to content