বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

শুক্রবার ভোরেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। বৃহস্পতিবারেই রাতেই সে অনেকটা শক্তি বৃদ্ধি করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। শুক্রবার ভোরে মোকা আরও শক্তি সঞ্চার করে। শেষমেশ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে আকার ধারণ করেছে। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি জায়গায় মোকা অবস্থান করছে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখন পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে রয়েছে মোকা। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে সে বিরাজ করছে। আবার মায়ানমারের সিতওয়ে থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোকা অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন:

রোজদিন দেরি করে ঘুমাতে যাচ্ছেন? এতে কিন্তু ঘটতে পারে বিপদ, কী কী?

‘আরআরআর’-এর সাফল্যের পরে ‘মহাভারত’-এর কাহিনি নিয়ে রাজামৌলির নতুন চ্যালেঞ্জ

মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার পরে সে আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। আবহবিদরা মনে করছেন, শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি সর্বোচ্চ থাকবে। যদিও রবিবার সকাল থেকেই তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। রবিবার দুপুর নাগাদ মোকা শক্তি খানিক কমিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়নমারের কাউকপুর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে হাওয়া দফতর জানিয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি হতে পারে। সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি।

বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের মৎস্যজীবীদের শুক্রবার থেকেই সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যে সব মৎস্যজীবী এখন উত্তর বঙ্গোপসাগরের রয়েছেন, তাঁদেরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসার কথা বলেছে হাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:

এবার ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স, অভিজ্ঞ নার্সরা ‘সেমি’ ডাক্তার, ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী মমতা

তীব্র গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব আটকাতে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই ৬ দাওয়াই

আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্র, শনি এবং রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া দফতর। ত্রিপুরা এবং মিজোরামেও শনি এবং রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনকি, রবিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, দক্ষিণ অসমেও।

পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকার জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাংলার কোনও কোনও অংশে বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে নয় বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

Skip to content