রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


এটা ঠিক উপন্যাস নয়। খানিকটা জীবনী গোছের। আত্মজীবনীই বলা যায়। তবে ইংরিজিতে যাকে অটোবায়োগ্রাফি বলে এটা আবার ঠিক তাও নয়। তিনি বলেছেন, আমি লিখেছি। অনুলেখন। সে সব জানানোর আগেভাগে জানতে হবে তিনি কে? আর আমার সঙ্গে তার পরিচয় হলই বা কি করে?

খাওয়া-দাওয়ার প্রতি লোলুপ লোভ। নিষিদ্ধ আপেলের মতো মাছ, মাংস, ডিম, আলু, ভাত আর মিষ্টি দেখলে শরীরে কাঁপন লাগে। এ ভাবেই মধ্যপ্রদেশে চর্বির রাজত্ব কায়েম হল। ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসেরাইড সর্বকালের সেরা মার্কস পেয়ে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করল। আমার আবার অ্যালোপ্যাথিতে অ্যালার্জি। লাল হলুদ কালো মোটা বেঁটে চ্যাপ্টা গোল ট্যাবলেট দেখলেই গা গুলোয়। খেলে রোগ সারার চেয়ে রোগের উপসর্গ বাড়ে। কত লোক আছে, ওষুধ কী কেন কয় প্রকার, এমন কি ওষুধের বাপ-ঠাকুর্দা মামা-মাসি সকলকে চেনেন এবং জানেন। কোনও কোনও বিশেষ গুণসম্পন্ন লোকজন তো ঠিকুজি-কুষ্ঠি মায় তুবড়ির সোরা গন্ধক লোহাচুরের হিসেবের মতো মাইক্রো-মিনি অক্ষরে লিখে ওষুধের পিঠে সাঁটা কম্পোজিশন কুমোরপাড়ার গরুর গাড়ির মতো গড়গড়িয়ে বলতে পারেন।

ক্লাস এইটে উঠলে একটা আলাদা অঙ্কের টিউশন দেবার মতো কিছুদিন সুগারের ওষুধের ঠেকনা দেওয়া থাকল, সঙ্গে শুরু হল ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কৃচ্ছসাধনে রোজকার জীবনযাপন। ছোটবেলায় ফোক্কড় ছেলেদের মতো হিন্দি সিনেমার গান গাওয়াতে যেমন ঘোরতর নিষেধ ছিল তেল-মশলা দেওয়া আলু-ভাত অবিরাম ডিম মাছ মাংস আর নিউটনের মাধ্যাকর্ষণের সমান গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার মিষ্টি তেমনই শরীর-দ্রোহিতার দায়ে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষিত হল। নিয়ম করে খালিপেট-ভর্তি পেটে রক্তবিন্দুতে সিন্ধু থুড়ি শর্করার চিরুনি তল্লাসি চালু হল। সম্ভবত আজীবন।
তবে সুখের কথা কঠোর সন্ন্যাসযাপন করলে জাগতিক আহার্যের লোভ-মোহ-মায়া ত্যাগ করলে চিনি এবং মিষ্টান্নের প্রতি কামিনী-কাঞ্চনের মতোই সব কামনা-বাসনা ত্যাগ করে চর্বি হাটাও অভিযানে সফল হলে ওজনের কাঁটার নিম্নগতি শুরু হয়। এইসব উপসর্গকেও নাকি দঙ্গল না করেও একা-একাই ‘দূর হটো’ বলা যায়। তার জন্যে অ্যালোপ্যাথি ওষুধের জনসমর্থন লাগে না।

এক মিনিট।

ভাবছেন তিনটে প্যারাগ্রাফ বয়ে গেল গপ্পো কই? মোহিনীই বা কোথায়? আমি বলি কি ধৈর্য্য ধরুন! ছটফট করবেন না। আর চট করে ভেবে বসবেন না যে নদীর রচনায় ফ্রিজে রাখা বেঁচে যাওয়া তরকারি গরম করে গরুর এপিসোডের মিশেল ঢুকছে। গরু পাড়েই ঘাস খাচ্ছে, মুখ তুললেই তো নদী। নদীর কথায় মনে পড়ল- রোগকে উল্টেপাল্টে নিকেশ করে মাটির তলায় গোর দিতে বদ্ধপরিকর আমার ডাক্তারবাবু আমায় সুইমিং পুলে পাঠালেন। না, সাঁতার কাটতে নয়। হাঁটতে। পুকুরে তো আর হাঁটা যায় না। সুইমিংপুলের কচি মাঝারি বড় থাকে তো! সেখানে হাঁটা যায়। সেদিন কে যেন একটা “কি চলছে-তে” বার্তা পাঠাল! বাংলা বললাম। মাতৃভাষা ক্রমাগত দূর্বোধ্য হয়ে যাচ্ছে। আমি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের কথা বলছি। তো সে বার্তার তর্জমা হল—“এখন যেটা খুব সহজ সেটাই শুরুতে খুব কঠিন ছিল।” চোখ বুজে ভেবে দেখলাম অক্ষরে অক্ষরে সত্যি।
স্কুল জীবনে প্রথমে যে অঙ্ক করতে কালঘাম ছুটে যেত নিয়ম শিখে একটু প্র্যাকটিস করার পর সেই অঙ্কগুলোই জলবৎ তরলং। গাড়ি চালানো, রান্না করা, অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার বা হারমোনিয়ামের রিড টিপে ‘তুমি রবে নীরবে’ বাজানো সব ক্ষেত্রেই একই নিয়ম। আমার শরীরের বেলাগাম অবয়ব, স্ফীতিকে লাগাম পরাতে ডাক্তারবাবু প্রাথমিকভাবে জলে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটা সেই স্লেটে লেখা অ-আ-ক-খ’র ওপর খড়ি বোলানোর মতো ব্যাপার। সরাসরি লিখতে গেলে ভুল হবে লেখার ইচ্ছেটাই চলে যাবে। প্রথমেই সাঁতার কাটতে গেলে ভারী শরীরটাকে ভাসিয়ে রাখতে প্রচুর হাত-পা ছুঁড়তে হবে, তাতেই সব এনার্জি চলে যাবে। সাঁতার কাটা আর হবে না। তাই প্রথম মাসখানেক জল ঠেলে ঠেলে ভারী শরীরটাকে নিয়ে হাঁটতে হবে।

আর জলে হাঁটতে গিয়েই হল সেই কেলেঙ্কারি।

পুলটা ভালো। সকাল ছটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত চালু থাকে। ভোর থেকে কচিকাঁচারা দফায় দফায় বেলা আটটা পর্যন্ত ঝাঁপাঝাঁপি করে। আটটার পর দশটা পর্যন্ত সুইমারদের সময়। দশটার পর ঘণ্টা তিনেক পুল বন্ধ। তখন পুল, লাগোয়া স্নানঘর ড্রেসিংরুম সাফসাফাই হয়। মাঝে মাঝে জল বদলানো ওষুধ দেওয়া এসব হয়। একটার পর তিন ঘণ্টা মেয়েদের সময়। মহিলা ট্রেনার থাকেন। কিশোরীরা থাকেই। বিবাহিতা অবিবাহিতা যুবতী ছাড়াও মধ্যবয়সী বৌদিদের একটা বড় ভিড় থাকে এইসময়। এটা ফিটনেসের যুগ!

আমার অবশ্য ফিটনেসের বাতিক বালাই নেই। নেহাৎ ঠেকায় পড়ে আর এলোপ্যাথির গোলাগুলি থেকে বাঁচতে আমার এই সান্ধ্যকালীন জলবিহার। চারটের পরে সিকি আদুলিদের সাঁতার শেখাতে নিয়ে আসেন আধুনিকা মায়েরা। একেবারে ক্ষুদে লিলিপুট আগামীর সাঁতারুরা অবশ্য এখনই পুলে সাঁতার কাটে না। পাশের একটা বড়সড় লাল টুকটুকে চৌবাচ্চায় তাদের চারামাছের মতো ঢেলে দেওয়া হয়। তারা দু’ হাত-পা ছুঁড়ে জলে ঝাঁপাঝাঁপি করে। এত সংখ্যক খুদে তাদের ব্যাচে ব্যাচে বেছে বেছে আধঘণ্টা করে জল-হুল্লোড় করতে দেওয়া হয়। তার পরে আসেন অফিসবাবুরা। রকমারি ক্যাপ চশমা টাওয়েল। চিত্র-বিচিত্র স্যুইম প্যান্ট। বড়-মেজ-সেজ-রাঙা-ফুল নানান মাপ নানান ধরণ। গলায় বা হাতে মোটা শেকল নকশার হার চেন বালা, হলুদ রং বটে তবে আজকাল ঘড়ি-গয়না-মোবাইল-চুল-নখ-দাঁত-ডিগ্রি-পেশা-ব্যবসা মায় মানুষের মধ্যেও আসল-নকলের তফাত করা কঠিন কর্ম। তাই মাথা না ঘামানোই ভালো।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১২: সকালবেলার আগন্তুক

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-১৫: যিনি বিপদ ঘটান, বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ তিনিই দেখান

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৭: কোরবা হয়ে সাতরেঙ্গা

দশভুজা: জীবনে যা কিছু করেছি, প্রত্যয়ের সঙ্গে করেছি: কানন দেবী/২

জলে হাঁটতে নামার আগে আমাকে খানিকটা চলে ফিরে নড়েচড়ে গা ঘামাতে হয়। কয়েকজন কৌতূহলের চোখে দেখে। আবার কেউ কেউ কৌতুকের চোখে তাকায়। উথলে আসা হাসি তাঁরা তাঁদের গোঁফের নিচে চেপে থাকে। গোঁফ নেই যাঁদের নাকের নিচের ঘাসহীন পাটা-পিচের অংশটা হাসির হাওয়া-ভরা সাইকেলের টায়ারের মতো ফুলেফেঁপে ওঠে। আমারও অবিশ্যি তাতে কিছু যায় আসে না। আমার এ সংগ্রাম বপু মুক্তির সংগ্রাম। চর্বির শোষণ-দমন-উৎপীড়নের বিরুদ্ধে আমার একক জেহাদ। রাংতা মোড়া সাতরঙা গোলাগুলির আঘাত, অত্যাচার পরাধীনতার থেকে মুক্তির লড়াই। এবার আমি জলে নামব। প্রথম দিনেই আরতি মুখোপাধ্যায়-এর সেই বিখ্যাত গানের সাবধানবাণী কানে বাজছিল। “জলে নেবো না আর থৈ পাবে না, থৈ থৈ করে নদী এখন যে বরষা”… বর্ষা নয় বলেই ভরসা করে জলে নেমেছিলাম। বর্ষাকালে সুইমিং পুল বন্ধ থাকে। তখন বড় রাস্তা গলি তস্য গলি বেয়ে, জল পৌঁছয় দুয়ারে।

প্রথম দিনের অস্বস্তি কাটিয়ে দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ দিনে বেশ সাবলীল ভাবে জল-চল হয়ে চলাফেরা করতে পারছিলাম। আমাদের ড্রেসিংরুমে একটা ওজনযন্ত্র রাখা আছে। ঘরে কেউ না থাকলে তখন সন্তর্পনে তাতে উঠে দাঁড়াই আর ওজন দেখার আগে দরজার দিকে দেখি কেউ আসছে কিনা। মনের ভুল কিনা জানি না কাঁটাটা যেন একটু নেমেছে।

সেই উৎসাহে জলে বেশ জোরে জোরে হালক-এর মতো হেলেদুলে হাঁটা শুরু করলাম। পুলের এদিকটায় বুক জলে দাঁড়ানো যায়। খানিকটা অংশে একটা ধাপ আছে, তারপর ধাপের শেষে জল গভীর। এই ধাপটা বুঝতে পারার জন্যে জলের তলায় দেওয়াল থেকে নীল আলো আছে। তাই হাঁটার অসুবিধে নেই।

বাঙালি পাঠকসমাজে যাঁদের মার্ভেল কমিকসের পৃথিবী বিখ্যাত চরিত্র হালক-এর সঙ্গে তত পরিচয় নেই। তাঁরা মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তর কথা ভেবে নিন।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৩: হৃদয়পুরের লক্ষ্যপূরণ ‘কঙ্কাবতীর ঘাট’

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৯: ‘মেরা কুছ সামান…’ গানে সুর দেওয়ার প্রস্তাবে গুলজারকে পত্রপাঠ বিদায় জানান পঞ্চম

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬১: চাষাবাদ নিয়েও রবীন্দ্রনাথ ভেবেছেন

পুলের পাড় ধরে ধরে হাঁটা যাতে পদস্খলন হলে পুলের চারদিক বরাবর লাগানো রেলিং ধরে ফেলতে পারি। সাঁতার শেখার সময় এই রেলিং হাত দিয়ে ধরে, শরীরটা ভাসিয়ে রাখার জন্য অবিরাম দুটো পা ঝাপটাতে হয়।

হঠাৎ খিলখিল করে কে যেন হেসে উঠল। কোনও ম্যাচিউরড মহিলার কণ্ঠ।
চমকে উঠে থমকে তাকালাম। এই সময় তো কোনও মহিলা আসার কথা নয়। মানে এটা তো সেই অর্থের কোন নামী ক্লাব বা কেতাদুরস্ত হোটেল নয় যে পুলসাইডে সুবেশা সুন্দরীরা পুরুষ সঙ্গীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সার দিয়ে বসে থাকবে। এটা সাংসদ, বিধায়ক-এর অর্থানুকুল্যে গড়ে ওঠা পাড়ার আদর্শ সমিতি মার্কা গেরস্থ সুইমিংপুল। তাই সাতটার পরে পুরুষ মানুষের আদুল গায়ে সাঁতার কাটা দেখতে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ।

অস্বাভাবিক লাগছে। তবে কী আমার মনের ভুল? আবার সেই কণ্ঠস্বর।
”ভুল নয়। ঠিকই শুনেছো।”

আজ গরম আছে। ঠান্ডা জলটায় হাঁটাহাঁটি করতে ভালো লাগছিল। হঠাৎ শরীরটা যেন শিরশির করে উঠলো।

আবার পেছনে আশেপাশে ভালো করে দেখলাম। সারা পুলের ধার বরাবর পুরনো কলকাতার গ্যাসবাতির ঢাকার মতো ল্যাম্পশেডের মধ্যে নিভু নিভু আলো। একটা দুটো ল্যাম্পশেড সময়ের চাপে ঘাড় হেলিয়ে ফেললেও ভেতরের বাল্ব অবিচল হয়ে জ্বলে আছে। ফলে জলেও আলো পাড়েও আলো। জল-পাড় আলো। কর্মধারয় সমাস হতে পারে কি না ভাবতে হবে। জলের খানিকটা উপরে আলো পড়েছে। পাড় বেশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সাদা তোয়ালে গায়ে দিয়ে রোজ এসে ফোনে গল্প করতে থাকা সেই লোকটা। ভদ্রলোক জলে নামেন না। সাঁতার কাটেন না। রোজ আসেন গায়ে তোয়ালে ঢেকে বসে মোবাইলে গল্প করে একটি ঘণ্টা কাটিয়ে চলে যান। এ লোকটি নিশ্চয়ই ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেন। কোনও ব্যাপারে হুড়ো তাড়া করেন না।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৮: শুঁটকি মাছে কি আদৌ কোনও পুষ্টিগুণ আছে?

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৩: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে সফলভাবে মাছচাষ করছে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ু

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৮: গৃহ-সহায়িকার পাঁচালি এবং আমাদের ভদ্র সমাজ

এ বছরটা হয়তো ভাববে পরের বছরে সাঁতার কাটতে নামবে। মাথায় কালো-খয়েরির ডোরাকাটা চুল। এক কানে ঝকঝকে পাথরের দুল। হাতে আংটি গলায় খান চারেক সরু মোটা হার হাতে বালা এবং ‘ভাইজান’ চেন। বাঁ হাতে কাঁধ থেকে কব্জি পর্যন্ত চড়া কমলা রঙের ট্যাটু। গায়ের রঙে বেশ মানিয়েছে। তার থেকে দু’খানা ল্যাম্পপোস্ট পরেই এখানের দু’জন সিকিউরিটি। ডিউটি শেষ হবে। তাই এন্ট্রিগেটে তালা দিয়ে জলের ধারে বসে হাওয়া খাচ্ছেন। উল্টোদিকে রোগা-পাতলা চেহারার ট্রেনার। রাত নটায় ওর শিফট শেষ হবে। তারপর বাড়ি যেতে ঘণ্টা দেড়েক বাসে। না! কোথাও কোনও মহিলা তো নেই।

“কোথায় খুঁজছ হাঁদারাম! সামনে দেখ”

সামনে তাকাতেই চমকে উঠলাম! এ কী দেখছি?

একটা মেয়ে। বেশি বয়েস না। জলে ডুবে আছে। নাক আর চোখদুটো জলের ওপরে। স্থির ভাবে আমায় দেখছে। কিন্তু এ ভাবে ভেসে আছে কী করে? হাতটাও তো শরীরের সঙ্গে জলের নিচে। জল তো নড়ছে না। নিচের দিকে তাকাতেই আতঙ্কে চোখ বুজে ফেললাম।

সে ধাপের কাছে নেই। একটু মাঝামাঝি জায়গা। কিন্তু পুরো পুলের জলের তলায় হালকা নীল স্পষ্ট আলো। একেবারে নিচের সাদা টাইলস দেখা যায়। মেয়েটির দিকে তাকালাম। জলের তলায় তার শরীরের কোন অস্তিত্ব নেই। নীলচে আলোয় তলার সাদা টাইলস দেখা যাচ্ছে। স্পষ্ট।—চলবে

জলের তলায় স্পষ্ট অবয়ব। ছবিঃ সংগৃহীত।

* মিস মোহিনীর মায়া (Miss Mohinir Maya) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content