ছবি: প্রতীকী।
রিপোর্ট অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫৮ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছবে ১১ লক্ষে। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হলে যে শুধু স্মৃতিশক্তি কমে যায় তা নয়, তাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, অতিরিক্ত ওজনের মতো নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীনও হতে পারেন। পাশাপাশি মস্তিষ্কে অক্সিজেনও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে খানিক বদল আনলে শুধু ডিমেনশিয়া নয়, ঝুঁকি কমবে হদ্রোগেরও।
জীবনযাপনে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনতে হবে?
সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে
নিত্যদিন নাই বা হল, সপ্তাহে কমপক্ষে দু’ থেকে তিন দিন ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অনেকেরই হয় তো জানা নেই, এই ওমেগা-থ্রি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই সাহায্য করে। পাশাপাশি মস্তিষ্কে কোষের গঠন এবং কার্যকারিতা পরিচালনা করতেও এর ভূমিকা খুবই কার্যকরী।
এড়িয়ে চলুন প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত বাইরের খাবার আমাদের টাইপ ২ ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রক্রিয়াজাত বাইরের খাবারের বদলে ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইট্রোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার আমাদের বেশি করে খেতে হবে।
কিছুতেই পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না? জানুন দশ মিনিটের কোন উপায়ে ক্লান্তি হবে উধাও
হাঁসফাঁস গরমে মুখে রুচি নেই, কোন কোন টক জাতীয় খাবারে স্বাদ ফিরে পাবেন?
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকুক শাকসব্জি
রোজকার পাতে ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ সবুজ শাকসব্জি রাখলে ভালো। এই সব সবুজ শাকসব্জি জাতীয় খাবারে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। ফলে শরীরের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি রক্তচলাচলও সচল রাখতে বেশ সাহায্য করে। শুধু তাই ন্যন এই সব খাবার আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে থাকে।
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৫: যখন ‘ওরা থাকে ওধারে’
স্বাদে-আহ্লাদে: সকালে জলখাবারে থাক নতুনত্ব, বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু পালক পনির পরোটা
ধূমপান বর্জন করুন
নিয়মিত যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের অনেক বেশি আশঙ্কা থাকে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করে। যার ফলে আমাদের রক্তনালীর কার্যকারিতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয়।
নিয়মিত শরীরচর্চা
রোজদিন শরীরচর্চা, ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করা জরুরি। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ আমাদের দেহের রক্তনালী সচল তো রাখেই, সেই সঙ্গে সারা শরীরে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনও সঠিক মাত্রায় সরবরাহ করে থাকে। এর আমাদের স্মৃতিশক্তি অনেকটা উন্নত হয়।