সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

মহাকাশে প্রতি নিয়ত কতই না বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে চলেছে। পৃথিবী থেকে তার কতটুকুই বা জানতে পারি। মহাজাগতিক বহু ঘটনাই আমাদের অজানা থেকে যায়।

মাঝেমধ্যেই আমরা নক্ষত্র বা তারার মৃত্যুর সংবাদ পাই। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে বসে জানতে পারেন মহাশূন্যে কোথায় কত আলোকবর্ষ দূরে তীব্র বিস্ফোরণে ফেটে যাচ্ছে কোনও নক্ষত্র, অপমৃত্যু হচ্ছে কোন নক্ষত্রের।
যদিও এ বারের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফলে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, মহাশূন্যে কোনও নক্ষত্রের যদি মৃত্যু হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর উপরেও।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, নক্ষত্রে বিস্ফোরণের পরে সেটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়লে মহাশূন্যে তার প্রভাবে কী কী ঘটতে পারে। এত দিন পর্যন্ত এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা যা মনে করতেন, হালের গবেষণার পর তা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১৭: ভগবানকে ভুলে আমরা থাকতে পারি কিন্তু তিনি কখনওই আমাদের ভুলে থাকেন না

সূর্য উঠলেও রোদ্দুরে পড়বে না ছায়া! মঙ্গলবার এমনই মহাজাগতিক বিস্ময় ঘটতে চলেছে

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনও তারার বিস্ফোরণ বা মৃত্যু হলে তার থেকে ১৬০ আলোকবর্ষের মধ্যে থাকা অন্য গ্রহ বা উপগ্রহের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে। বদলে যেতে পারে গ্রহের অভ্যন্তরীণ আবহাওয়া। এমনকি, গ্রহের বায়ুমন্ডলেও স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে। পৃথিবী থেকে ১৬০ আলোকবর্ষের মধ্যে নক্ষত্রের আচমকা মৃত্যু হলে তার প্রভাব পৃথিবীর উপরেও পড়বে। এর জেরে পৃথিবীর আবহাওয়াও বদলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব-৩৪: ‘মুকুল মুঞ্জরা’ গিরিশচন্দ্রকে নাট্যজগতে স্বতন্ত্র করে তুলেছে

কাঁধের ব্যথায় ভুগছেন? ফিজিওথেরাপির সাহায্যে ব্যথা এড়ানোর জরুরি টিপস জেনে নিন

নক্ষত্র ক্রমশ প্রসারিত হতে হতে নিজের ভর বিকিরণ করে। এই অবস্থাকে বলা হয় সুপারনোভা। সুপারনোভায় এক্স রশ্মি নির্গত হয়, যা অন্য গ্রহের বায়ুমণ্ডল বা পরিবেশ বদলে দিতে পারে।

যদিও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন, আপাতত পৃথিবীর কাছাকাছি কোনও নক্ষত্র নেই, যার মৃত্যু আসন্ন। পৃথিবী বেশ নিরাপদ দূরত্বেই রয়েছে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কিন্তু পৃথিবীর বিপদ বাড়তেই পারে। বিজ্ঞানীরা সুপারনোভা নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Skip to content