শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আলাদা ভাবে আবেদন করার দিন শেষ হতে চলল। স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা। এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
রাজ্য সরকার অনেক দিন ধরেই সরকারি ও সরকার অনুমোদিত কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী হয়েছিল। সেই মতো এই কেন্দ্রীয় পোর্টাল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। এ বিষয়ে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছিল। বিষয়টি অনুমোদন পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল।
আরও পড়ুন:

কোন ৭ লক্ষণ বলে দেবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা দিচ্ছে

কলকাতায় সলমন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ১৩ মে জমজমাট শো! কবে, কোথায়, কী ভাবে টিকিট পাবেন?

এত দিন পর্যন্ত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনলাইনে পৃথক ভাবে ভর্তির ব্যবস্থা ছিল। সেই পদ্ধতিতে কলেজের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তির আবেদন করতে হতো এবং সেই মতো ফি জমা দিতে হত পড়ুয়াকে। ভর্তির আবেদনের সময়সীমা সব কলেজেই থাকত না, ফলে সমস্যায় পড়তেন ছাত্রছাত্রীরা। এর জেরে অনেক কলেজেই আসন খালি পড়ে থাকত। এই সব বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় পোর্টাল তৈরির কথা ভাবনাচিন্তা করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:

সূর্য উঠলেও রোদ্দুরে পড়বে না ছায়া! মঙ্গলবার এমনই মহাজাগতিক বিস্ময় ঘটতে চলেছে

সংসারে শান্তি চাই? বেডরুম সাজানোর সময় অবশ্যই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন

বিজ্ঞপ্তিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর পোর্টাল দেখশোনা করবে। রক্ষণাবেক্ষণও উচ্চ শিক্ষা দফতর করবে। ভর্তির সময় পড়ুয়াদের পর্ষদের উল্লেখ করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ফি জমা দিতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার এক মাসের মধ্যেই ভর্তির টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলিকে।

বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র ইউনিয়নগুলি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির সময় পড়ুয়াদের থেকে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে, এমন অভিযোগ আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা দফতর। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনলাইনে ভর্তির জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পৃথক পোর্টালের ব্যবস্থা করা হয়। যদিও শিক্ষা দফতর যাতে পুরো ব্যাপারটিকে নজরদারিতে রাখতে পারে তাই তারা গোটা ভর্তি প্রক্রিয়াকে এক ছাতার তলায় আনতে চেয়েছিল।

Skip to content