ছবি: প্রতীকী।
অজীর্ণ রোগের নিদান বা কারণ
আয়ুর্বেদে সমস্ত রোগের কারণই হল খাদ্য খাবার বা পানী্য়ের অপব্যবহার এবং জীবনশৈলীর ত্রুটি-বিচ্যুতি বা মানসিক কিছু বিষয়। সেই রকম অজীর্ণ রোগেও খাদ্য খাবারের অনিয়মের মধ্যে— বেশিক্ষণ খিদে চেপে রাখা, বেশি খেয়ে ফেলা, কড়াপাক, তৈলাক্ত মশলাদার খাবার, বেশি গুরুপাক যেমন পায়েস ইত্যাদি, আগের খাবার হজম না হওয়া সত্ত্বেও খাবার খেয়ে নেওয়া, খাবারের সময় ঠিকমতো মেনে না চলা, বেশি জলীয় খাবার খেয়ে নেওয়া, রীতি বিরুদ্ধ খাবার যেমন মাংসের সঙ্গে দই, মাছ-মাংসের সঙ্গে পায়েস, তেলেভাজা, শুকনো খাবার বেশি খাওয়া, বাসি পচা খাবার খাওয়া, দূষিত খাদ্য বা জলপান, জীবনশৈলীর ত্রুটিগুলি যেমন অত্যধিক পরিশ্রম, দুপুরে ঘুম,অতি শীতল জল পান বা অতি শীতল বাতাসের সংস্পর্শে থাকা, বমন বিরেচন ইত্যাদি ক্রিয়ার অপযোগ। মানসিক বিষয়গুলি যেমন অত্যাধিক ভয়, শোক, ক্ষোভ, চিন্তা, উদ্বেগ, ত্রাস ইত্যাদি কারণে পাচকাগ্নি বা জঠরাগ্নির গুণের বৈষম্য ঘটে এবং অজীর্ণ রোগের উৎপত্তি হয়।
জন্ডিসে ভুগছেন? আয়ুর্বেদ মতে ঘরোয়া উপায়ে হবে এর সমাধান!
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-১: রাজার ছেলেদের রাজনীতি-কূটনীতি শেখানোর জন্যই লেখা হয়েছিল এই গ্রন্থ
শাকুন্তলম্: প্রেমের পরবশ থেকে মাতৃত্বের উত্তরণ
অজীর্ণের প্রকারভেদ ও লক্ষণ
সাধারণত চার রকমের অজীর্ণ দেখা যায়
পাচকাগ্নির মন্দিভূত অবস্থা থেকে উৎপন্ন অপক্ক অন্নরস বা আম থেকে যে অজীর্ণ হয়।
এই চার ধরনের অজীর্ণ ছাড়াও দিনপাকি অজীর্ণ, প্রাকৃত অজীর্ণ ও অন্নবিষ অজীর্ণের উল্লেখ শাস্ত্রে আছে।
অজীর্ণের সাধারণ লক্ষণ
খাদ্য গ্রহণে অনিচ্ছা, অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, পায়খানা না হওয়া বা বারবার পায়খানা হওয়া, পেট ভারবোধ, শরীরে ভারবোধ, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, মূর্ছা যাওয়া, হাই তোলা, বেশি জল তেষ্টা পাওয়া, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি।
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-১২: দ্রুত গাড়ি চালিয়ে ঢুকে পড়লাম নিকটবর্তী একটা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৭: পঞ্চমের কথা মতো ড্রাম ছেড়ে অমরুতের পিঠের উপর স্যাম্পল রিদম বাজাতে শুরু করলেন ফ্রাঙ্কো!
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১২: স্ট্যানলি ম্যাথুজ— একজন কিংবদন্তি, লড়াই আবেগ আর মেহনতী জনতার বন্ধু
চিকিৎসা
চূর্ণ হিসাবে
ভস্ম হিসাবে
ক্ষার হিসাবে
বটি হিসাবে
রসৌষধি হিসেবে
রসৌষধির মধ্যে অজীর্ণ কণ্টক রস, অজীর্ণাদি রস ২৫০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার দেওয়া যায়।
ক্বাথ বা পাচন হিসাবে
প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে, দোষ বিচার করে অজীর্ণের প্রকার বুঝে ঔষধি খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে, অন্যথায় বিপরীত ক্রিয়া হতে পারে।
উপরিউক্ত ঔষধি প্রয়োগ ছাড়াও শোধন চিকিৎসা (ডিটক্সিফিকেশন থেরাপি) যেমন বমি করানো, পায়খানা করিয়ে দেওয়া ইত্যাদি ক্রিয়া ও বিশেষভাবে ফলপ্রদ।
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫১: সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার প্রয়োজন, তবেই বাড়বে মাছ নিয়ে সচেতনতা, উপকৃত হবে আমজনতা
স্বাদে-গন্ধে: একঘেয়ে কাতলা? স্বাদবদল করুন ‘কমলা কাতলা’ রেসিপিতে! রইল সহজ রেসিপি
কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না ভুঁড়ি? অনিয়ন্ত্রিত মেদ কিন্তু ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে
পথ্য