শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যোগচর্চার মতো আর কিছু নেই। সঠিক আসনে একাধিক শারীরিক সমস্যায় মিলতে পারে সুফল। এমনকি, বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধানেও মুশকিল আসান করতে পারে যোগাভ্যাস। প্রতিদিন যদি যোগাভ্যাস করা যায় তাহলে ভালো থাকে যৌন জীবন। পুরুষদের লিঙ্গ শিথিলতা, যৌন মিলনে অনিচ্ছা বা শীঘ্রপতনের মতো সমস্যা সমাধানে কার্যকরী একাধিক আসন।
 

বীরভদ্রাসন

দুই পা দু’ দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। এবার দু’ হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা থাকে। আকাশের দিকে মুখ করা থাকে। এর পর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড স্থির হয়ে থেকে কুড়ি সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তার পর অন্য দিকে আবার করুন ২০ সেকেন্ডের জন্য। তবে মনে রাখুন মেরুদণ্ড, অস্থি সন্ধি বা হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া এই সব আসন না করাই ভালো।

আরও পড়ুন:

রোজ মাটিতে বসে খাচ্ছেন? জানেন কি এতে বিনা শ্রমেই তিনটি যোগাসনও হয়ে যাচ্ছে

আপনি কি মা হতে চলেছেন? এই সময়ে কোন কোন শরীরচর্চা করতে পারেন?

 

শলভাসন

এই আসনে পায়ের অবস্থান ফরিংয়ের লেজের মতো হয়। চিবুক মাটিতে ঠেকিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত সোজা করে রাখুন দেহের দুই দিকে। হাতের তালু মাটির দিকে রেখে দুই পা জোড়া করে উপরের দিকে তুলুন। চেষ্টা করুন পা যেন ৪৫ ডিগ্রি কোণে থাকে। ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। ৩০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে তিন বার করুন এই আসন।

আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৪: পঞ্চমকে সিনেমা হলে বসিয়েই বেরিয়ে যান রীতা

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৯: সুরের আকাশে ঘটালে তুমি স্বপ্নের ‘শাপমোচন’

 

নৌকাসন

সহজ এই আসনে ভালো থাকে দেহের নিম্নাংশ ও তলপেটের পেশী। নৌকাসন করতে প্রথমে চিত হয়ে শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একই সাথে উপরের দিকে তুলুন। দেখবেন আপনার উত্থিত বাহু ও পায়ের পাতা যেন একই দিকে থাকে। নৌকা বা ইংরেজি এল (L) আকৃতির মতো এই অবস্থায় থাকুন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে দম ছাড়তে ছাড়তে আবার প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। কিন্তু তিন থেকে চার বারের বেশি এই আসন একটানা করবেন না।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৬: কবির ভালোবাসার পশুপাখি

চলো যাই ঘুরে আসি, পর্ব-৯: আমাজন যেন স্বর্গের নন্দনকানন, একঝলক দেখে বোঝাই সম্ভব নয় এর ভয়াবহতা

 

দণ্ডায়মান ধনুরাসন

সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটি হাত সোজা করে উপরের দিকে তুলুন। বিপরীত দিকের পা পিছনের দিকে উত্থিত করুন, সেই দিকের হাত দিয়ে ধরুন ভাঁজ করা পায়ের পাতা। এ বার ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটার মতো উপরের হাতটি নামিয়ে আনুন ও একই সরল রেখায় ভাঁজ করা পা উপরের দিকে তুলে দিন। ধীরে ধীরে দেহকে ধনুকের আকৃতিতে নিয়ে যান। সামনের হাতটি করে নিন তীরের মতো।


Skip to content