বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

করোনা পরিস্থিতি আমাদের চিরাচরিত জীবনযাত্রার ধরন এক লহমায় বদলে দিয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের মধ্যেও সব সময়েই এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও সংশয় এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরে-বাইরেকে একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং কাজের প্রতি মনোসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত ধ্যান করার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদেরা। ধ্যান করার সময়ে আমরা অনেক সময়ই ঠিকমতো মন দিতে পারি না। আমদের মন সর্বদা চঞ্চল হয়ে থাকে। কিন্তু তা বললে তো হবে না। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ধ্যান করার উপযুক্ত পরিবেশ।
 

তুলনায় কোলাহল মুক্ত জায়গা বাছুন

প্রথমেই ধ্যান করার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা ঠিক করুন। বাড়ির যে জায়গায় সবচেয়ে কম কোলাহল হয় এবং বাইরের শব্দ তেমন পৌঁছয় না, সেই রকম একটি জায়গা আগে বাছুন। যদি এর আশপাশে টিভি বা কাজের জিনিসপত্র না রাখতে পারেন তাহলে আরও ভালো হয়। জায়গা বেশি হলে এই রকম পুরো একটি ঘরই বাছতে পারেন। না হলে ঘরের এরকম একটি কোণ বাছুন।

আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৫০: কুষ্টি বিচার, না কি রক্ত বিচার! জরুরি কোনটা?

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৭: হিন্দু-মুসলিম মিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণ ও সত্যপীর

 

ধ্যান করার জায়গা হবে পরিচ্ছন্ন

ধ্যান করার জায়গাটি যদি অপরিচ্ছন্ন কিংবা প্রচুর আসবাবে ঠাসা হয়, তা হলে কিন্তু মন বসাতে সমস্যা হবে। নিয়মিত জায়গাটি পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ও অতিরিক্ত আসবাব রাখবেন না। একটি সরু ডিভান রাখতে পারেন ঘরের মেঝেতে। আর দেওয়ালের তাকে কিছু ছোট গাছ ও বই রাখা যেতে পারে। জায়গাটি যত বেশি খোলামেলা হবে, তত বেশি মানসিক শান্তি পাবেন।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-২: ইতিহাসে অসম

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর

 

ব্যবহার করতে পারেন মেঝের কার্পেট

অনেকেই ঘরে ডিভান বা ওই জাতীয় কিছু রাখেন না। এ রকম হলে মেঝেতে একটি কার্পেট ও কয়েকটি ছোট কুশন রাখতে পারেন। কার্পেটটিতে বসে অনায়াসে শ্বাসের কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে। ব্যায়াম বা ধ্যান হয়ে গেলে কার্পেটটি গুটিয়ে রাখতে চাইলে গুটিয়ে রাখতেও পারেন।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-২: একলা চলো রে…

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২৪: শ্যামপুকুরে ঠাকুর

 

হালকা মিউজিকও চালাতে পারেন

ধ্যান করার সময়ে উপযুক্ত পারিপার্শ্বিকতা তৈরি করাও কিন্তু বড় ব্যাপার। আশপাশে কী দেখছেন বা কী ধরনের শব্দ-গন্ধ আসছে সেটার উপরও নির্ভর করে ধ্যানের প্রতি মনোসংযোগ কতখানি গভীর হবে। সেই সঙ্গে হালকা কোনও ধ্যান করার উপযুক্ত মিউজিক চালাতে পারেন, এতে মনোযোগ বাড়বে। অনেকসময় ছোট ছোট টবে গাছ রাখতে পারেন আশপাশে, অনেকে জানলাতে ড্রিমক্যাচারও ঝুলিয়ে রাখেন।

এ ছাড়াও মাঝে মধ্যে মোমবাতি এবং ধূপ জ্বালাতে পারেন। পরিবেশও হয়ে উঠবে ধ্যান করার পক্ষে আদর্শ। এতে আপনার মনও ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে উঠবে।


Skip to content