সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

তীব্র গরমে বার বার করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সারা দিনের কাজের চাপে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতেও ভুলে যান অনেকেই। জলের মাধ্যমেই বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে দৈনন্দিন জলের যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারো শারীরিক গোলমাল দেখা যায়। জল শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে তাই নয়, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও জল অপরিহার্য।

শরীরে জলের অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়। সেই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই বোঝা যাবে যে এখন শরীরে জলের অভাব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
 

কোন কোন উপসর্গে বুঝবেন শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে?

 

রুক্ষ ত্বক

আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে গ্রীষ্মকালেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আচমকা ত্বক রুক্ষ হলে, ব্রণ ও চুলকানির শুরু দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে ঘাটতি হচ্ছে জলের।
 

হলুদ প্রস্রাব

এমন দিনে সব সময় প্রস্রাবের রং খেয়াল করবেন। হলুদ প্রস্রাব হওয়া মানে শরীরে জলের অভাব রয়েছে, এটা বুঝতে হবে। পাশাপাশি জলের ঘাটতির জন্যে প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায়। জ্বালা বোধ হয় প্রস্রাব করার সময়।

আরও পড়ুন:

ডায়াবিটিসে আক্রান্ত? চায়ের সঙ্গে ঠিক কী মিশিয়ে খেলে সমস্যা কমতে পারে, জানাচ্ছে গবেষণা

মনের আয়না: নেতিবাচক ভাবনা সরিয়ে সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন, ফিরবে হৃত যৌনজীবন

 

শ্বাসকষ্ট ও মুখে দুর্গন্ধ

অনেকরই হয়তো জানা নেই, আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। কারও কারও ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। পানীয় জল আমাদের মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা তৈরিতে সাহায্য করে। এই সব লালা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য ভূমিকা রাখে এমন ব্যাক্টেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
 

ডিহাইড্রেশন

অনেক সময় ডিহাইড্রেশন হয়ে গেলে আমাদের ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়। ঘন ঘন পানীয় জল খেলেও তা আমাদের শরীরে থাকে না। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো, সাধারণ পানীজলের পরিবর্তে, ইলেক্ট্রল দ্রবণযুক্ত জল বা লেবু-জল পান করা। এতে সহজে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আরও পড়ুন:

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৩১: আচমকা ছবির নায়ক ইংরেজি ছবির ঢঙে কানন দেবীকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করলেন, হতবাক অভিনেত্রী

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৮: ফ্রানজ বেকেনবাওয়ার: মহাকাল তাঁকে মনে রাখবে

 

রক্তচাপ কমে যেতে পারে

অনেক সময় জলের অভাবেও আমাদের রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এর জন্য কেউ কেউ মাথাব্যথার সমস্যাতেও ভোগেন। সব সময়ই অনুভব করতে পারেন ক্লান্তি ও আলস্য ভাবে।
 

চাপ বাড়ে হৃদযন্ত্র উপর

অনেকেরই হয়তো জানা নেই, শরীরে জলের অভাবে রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এমন সময় শরীরের সর্ব অঙ্গে দরকার মতো রক্ত পৌঁছে দিতে আমাদের হৃদযন্ত্রকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়। স্বাভাবিক ভাবে বাড়তি চাপ বাড়ে হৃদ্‌যন্ত্র উপর। কারও কারও আচমকা হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যেতে পারে।


Skip to content