মার্টিন কুপার।
যাত্রা শুরু হয়েছিল সত্তরের দশকে। ‘মটোরেলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। সেদিনের সেই বিস্ময়কর যন্ত্র বদলে দিয়েছে দুনিয়াকে। তবে আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি, মোবাইল ফোনের স্রষ্টা স্বয়ং মার্টিন কুপার খুব বেশি সময় ফোন ব্যবহার করেন না।
কুপার প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। অথচ সেই তিনিই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন। কুপারের কথায়, ‘‘যদি জীবনকে উপভোগ করতে চান, তাহলে মোবাইল ফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে।’’
কুপার প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। অথচ সেই তিনিই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন। কুপারের কথায়, ‘‘যদি জীবনকে উপভোগ করতে চান, তাহলে মোবাইল ফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে।’’
মোবাইল এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। মোবাইলের পর্দায় এখন প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে আমাদের চোখ আটকে থাকছে। সাম্প্রতিক মার্টিন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমার মন খুব খারাপ হয়ে যায়, যখন দেখি মোবাইল দেখতে দেখতে কেউ রাস্তা পার হচ্ছেন।’’
শুধু রাস্তায় নয়, ট্রেনে, বাসে, আড্ডায়, অনুষ্ঠানে সর্বত্র বেশির ভাগ মানুষ ঘাড় গুঁজে মোবাইল ব্যবহার করে চলেছেন। মোবাইল এখন জীবনচর্চায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তার হাত ধরেই হরেক রোগ হানা দিচ্ছে শরীরে। চিকিৎসা বিজ্ঞান যার নামকরণ করেছে ‘টেক্সট নেক’।
শুধু রাস্তায় নয়, ট্রেনে, বাসে, আড্ডায়, অনুষ্ঠানে সর্বত্র বেশির ভাগ মানুষ ঘাড় গুঁজে মোবাইল ব্যবহার করে চলেছেন। মোবাইল এখন জীবনচর্চায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তার হাত ধরেই হরেক রোগ হানা দিচ্ছে শরীরে। চিকিৎসা বিজ্ঞান যার নামকরণ করেছে ‘টেক্সট নেক’।
আরও পড়ুন:
হার্ট অ্যাটাক আচমকা হয় না, আগে থেকেই শরীরে লুকিয়ে থাকে উপসর্গ, হালের গবেষণা সতর্ক হওয়ার পথ দেখাল
পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৯: অমরগীতি ছবিতে রাজাবাবু চরিত্রে তরুণ মজুমদারের প্রথম পছন্দ ছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়
সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ ‘টেক্সট নেক’-এর শিকার। চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হল, ৩৫ শতাংশ এই রোগের কথা জানা সত্বেও সচেতন নন। আর প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ ‘টেক্সট নেক’ অসুখের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ছবি প্রতীকী।
এই ‘টেক্সট নেক’ অসুখে মেরুদণ্ড চিরতরে বেঁকে যাওয়ার প্রবল ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে আমাদের ঘাড় এবং গলার হাড় ও স্নায়ুর উপর চাপ বেশি পড়ে। এর ফলে আমাদের চিরতরে ঝুঁকিয়ে দিতেও পারে।
আরও পড়ুন:
জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-২: বারাণসীকুলপতি বিশ্বনাথ
আখের রস না ডাবের জল, কোন পানীয়তে পাওয়া যাবে বেশি পুষ্টি
ঘাড় ও গলা কতটা ওজন বইতে পারবে তা নিরভর করে শরীর কত ডিগ্রি সামনের দিকে ঝুঁকে আছে, তার উপর। আমরা যখন মাথা নিচু করে মোবাইল ব্যবহার করি, তখন আমাদের ঘাড় কমবেশি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি ঝুঁকে থাকে। এর ফলে মেরুদণ্ডের উপর খুব চাপ পড়ে। অনেকেই জানেন না, দীর্ঘদিন এ ভাবে চলতে থাকে ঘাড় বেঁকে যাওয়া, গলা এবং ঘাড় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই যতটা সম্ভব মোবাইল ব্যবহারে কমাতে হবে।