শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস।

স্বাধীনতার অমৃতকালে কার্তিকী গঞ্জালভেসের নির্দেশনায় ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস’ ২০২২-২৩ এ বিশ্বের সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে অস্কার পুরস্কার পেয়ে ভারতকে গর্বিত করেছে। ইতিমধ্যেই এই বিভাগেই সারাবিশ্বে খ্যাতিলাভ করা যে অন্য তথ্যচিত্রটি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীত হয়েছিল তার নির্মাতাও একজন ভারতীয়- এবং ২৪ বছর বয়সী বঙ্গতনয় শৌনক সেন। তথ্যচিত্রের নাম ‘অল দ্যাট ব্রিদস’।

দিল্লির ভয়ংকর বায়ুদূষণে অসুস্থ হয়ে দূর আকাশ থেকে খসে পড়া ভুবন চিল জাতীয় শিকারি পাখিদের শুশ্রূষা করে সারিয়ে তোলে দুই ভাই। নাদিম শাহজাদ আর মহম্মদ শাহিদ। এই মর্মস্পর্শী বিষয় নিয়ে সৌনকের তথ্যচিত্রটিও সারা বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন আই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। আকাদেমি বাফটা-সহ সাতটিরও বেশি বিশ্বমানের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় মনোনীত হয়েছে। একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে এই তথ্যচিত্র। তবে হ্যাঁ, অস্কারলাভে বঞ্চিত হলেন শৌনক। কিন্তু আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড এমনই একটা মঞ্চ যেখানে মনোনয়নটাই একটা বিরাট পুরস্কার।
সারা পৃথিবীর সেরার সেরারা যেখানে জড়ো হয় সেখানে মান নির্ধারণ আগেই হয়ে যায়। পুরস্কারটা জুরিদের ভোটাভুটিতে নির্ধারিত হয়। ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ ছবিটি দেখার সুযোগ এখনও পাইনি। দেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র সমালোচক অনুপমা চোপড়ার মূল্যায়ণ দেখেছি। মনে হয়েছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন শৌনক। ছবিটি না দেখায় মন্তব্য করতে পারছি না। তবে নিঃসন্দেহে হয়তো অন্যরকম ভাবে ভালো লাগবে শৌনকের তথ্যচিত্র।

প্রসঙ্গত শৌনক জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশনের স্নাতক এবং জেএনইউ-এর স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড এস্থেটিক্স থেকে পিএইচডি। এই তথ্যচিত্রের নির্মাতা কলাকুশলীদের নামের তালিকায় সিনেমাটোগ্রাফি বা সাউন্ড রেকরডিস্ট সাউন্ড ডিজাইনার অডিও ন্যারেশন রাইটার এসব কাজের নেপথ্যে অনেক ভারতীয় নামের মধ্যে ঋজু দাস, কেতন মজুমদার, প্রসেনজিৎ দাস, মৈনাক বসু, নীলাদ্রি শেখর রায়—এই নামগুলো দেখতে দেখতে খুব গর্ব হচ্ছিল। এটা ঠিক প্রাদেশিকতা নয়। ভারতীয় হিসেবে গর্ব হয়েছিল। আর পৃথিবীর যে প্রান্তেই তাঁরা থাকুন বাঙালি হিসেবে নিশ্চিতভাবে একটা নাড়ির টান অনুভব করছিলাম।
আরও পড়ুন:

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-৮: ‘ঈশ্বর… অদ্ভুত ম্যাজিক করেন, চাহিদা যত বেশি তিনি ততো কৃপণতা করেন’

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-২: রামকথার পটভূমি এবং মহাভারতে কথকের কথাসূত্র

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৮: ভরত কি ফিরবে শূন্য হাতে?

এসএস রাজামৌলি নির্দেশিত দক্ষিণ ভারতের ‘আর আর আর’ ছবিটিও সারা বিশ্বে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। এমএম কিরাভানি সুরারোপিত ‘নাটু নাটু’ সেরা মৌলিক গান হিসেবে অস্কার পেয়েছে। সেও এক দারুণ আনন্দের খবর। কিন্তু আরও এক আনন্দের খবর শুনিয়েছেন স্বয়ং এসএস রাজামৌলি তাঁর এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে। এই ছবির ঐতিহাসিক পটভূমিকার বিষয়ে জানাতে গিয়ে রাজামৌলি বলেছেন। ‘আর আর আর’ ১৯২০ সালের ব্রিটিশরাজের সময়ে অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার দুই কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারামা রাজু (ভূমিকাভিনেতা রামচরণ) এবং কোমারাম ভীমের (ভূমিকাভিনেতা জুনিয়র এনটি আর) কাহিনি। ব্রিটিশের সঙ্গে যুদ্ধে আল্লুরি সীতারামা রাজু মৃত্যুবরণ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে সেই বীরত্বের ইতিহাস জায়গা করে নিতে পারেনি। এই ঘটনার কিছু বছর পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন বিশাখাপত্তনম এসেছিলেন, তাঁর কাছেই গোটা ভারত তথা গোটাবিশ্ব প্রথম জানতে পারল আল্লুরি সীতারামের বীরত্বের কথা। রাজামৌলি বলেছেন, ‘আর আর আর’-এর সাফল্য নেতাজীর প্রতি তাঁর বিনীত শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কার্তিকী গঞ্জালভেস।

খুশির খবর আরও একটি রয়েছে কার্তিকী গঞ্জালভেসের ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস’ তথ্যচিত্রটির চিত্রসম্পাদনায় ছিলেন এই বাংলারই সঞ্চারী দাস মল্লিক। প্রায় ৫০০ ঘণ্টার ফুটেজ ছেঁকে সঞ্চারী এবং লস এঞ্জেলেসের ডগলাস ব্লাশ এই একচল্লিশ মিনিটের দৃশ্যকাব্য গড়ে তুলেছেন। ডগলাস এই ছবির একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসারও বটে। লরেটো হাউস, ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট ঘুরে একেবারে অস্কারের মঞ্চে। মা-বাবা গলফ গ্রীনের বাসিন্দা। সঞ্চারীর মাতামহ সত্যজিৎ রায় প্রতিষ্ঠিত ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটির প্রথমদিকের সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে অর্থাৎ ৩১ বছর আগে অস্কার পেয়েছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়। মা-বাবা দাদামশায় ছাড়াও সঞ্চারীর স্বামী নির্দেশক ও চিত্রগ্রাহক সুধাকর রেড্ডি ইয়াক্কান্তি সবসময় পাশে ছিলেন। মূলত তাঁরই উৎসাহে অস্কার অনুষ্ঠানে না পৌঁছলে সঞ্চারীকে হয়তো টিভি দেখেই জীবনের এই শ্রেষ্ঠমূহুর্ত উপভোগ করতে হত। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ঠিক পরে পরেই ভারতীয় নারীদের এই সাফল্য নিঃসন্দেহে আরও সকলকে উদ্দীপ্ত করবে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৫: নৌকো উল্টে সত্যেন্দ্রনাথের আইসিএস পড়তে যাওয়া বানচাল হতে বসেছিল

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১১: সমস্ত বাধা সরে গেলে প্রকৃতিও তখন রাস্তা ছেড়ে দেয়

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২: ‘আও টুইস্ট করে’ গানের জন্য পঞ্চমের সঙ্গে শচীনকর্তার বাক্যালাপও বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন

নেটফ্লিকসে পরিচালক কার্তিকী গঞ্জালভেসের সেই অনন্যসাধারণ তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারস’ দেখলাম। কার্তিকী নিজে একজন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার। অ্যানিম্যাল প্লানেট এবং ডিসকভারি চ্যানেলের নানান তথ্যচিত্রের ক্যামেরার পিছনে ছিলেন তিনি। বছর ৩৬-এর কার্তিকী গঞ্জালভেসের জন্ম বেড়ে ওঠা উটিতে। পড়াশোনা কোয়েম্বাটুরে।

সঞ্চারী দাস মল্লিক।

এবার কী আছে এই ছবিতে?
তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার মধুমালাই জঙ্গলের মধ্যে আছে আঁকা ছবির মতো থেপ্পাকাড়ু গ্রাম। সেই গ্রামের বোমান আর বেলি কীভাবে সন্তানস্নেহে এক অনাথ হাতিকে লালনপালন করে। ছোট থেকে হাঁটিহাঁটি পা-পা করে পূর্ণবয়স্ক করার সেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কাহিনি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারস’। কাহিনি বিন্যাসের অসাধারণ আবেগ চোখে জল এনে দেয়। এক মুহূর্তের জন্যেও মনে হয় না পর্দায় ছবি দেখছি। মনে হয় রঘুর আশেপাশে আমরা। রঘুর মা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল। রঘু বাঁচবে এমন আশা ছিল না। বেলি আর বোমান শিশুর মতোই একটু একটু করে বড় করে তুলল রঘুকে। তাকে চান করানো খাওয়ানো তার সঙ্গে খেলার অসাধারণ সব মুহূর্ত ছড়িয়ে রয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
ছোট শিশুদের মতোই মুখের খাবার ফেলে দেয় রঘু। আবার তাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে মুখের মধ্যে খাবারের গ্রাস দিয়ে দেয় কখনও বোমান কখনও বেলি। ঠান্ডার মধ্যে আগুন জ্বেলে তাপ নেয় গোটা পরিবার। নদীতে স্নান করতে গিয়ে রঘু মজা করে শুঁড়ের ফোয়ারা দিয়ে জলে ভিজিয়ে দেয় বোমানকে। উৎসবের সময় বোমান রঘুকে সাজায় গণপতির পুজো করে রঘু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। তথ্যচিত্রের কলাকুশলীরা চিত্রগ্রাহক চিত্রসম্পাদক শব্দ সংযোজক আবহসংগীত আয়োজক ভীষণ যত্ন করে গড়ে তুলেছেন ছবির প্রতিটি ফ্রেম। জল, হাওয়া প্রকৃতি অন্যান্য বন্যপ্রাণী সকলেই যেন ছবিটির চরিত্র হয়ে উঠেছে। বোমান বেলি ছাড়া রঘু আর আম্মু এই দুই হস্তিশাবক এই তথ্যচিত্রের মূল চরিত্রে। কিন্তু পার্শ্বচরিত্ররা কেউ কমতি নন। বানরের পাল পাখপাখালিরাও আশ্চর্যভাবে কাহিনির সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত। তাঁদের অনবদ্য অভিব্যক্তি ছবিকে সমৃদ্ধ করেছে। তথ্যচিত্রকে এই পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গিয়ে কী পরিমাণ কারিগরি দক্ষতা এবং অমানুষিক পরিশ্রম লেগেছে, ছবি দেখার সময় সেটা বুঝতে পারা যায় না। কিন্তু ছবি দেখার পর চোখ বুজে ভাবতে গেলেই একথা মনে আসে।

বেলির মেয়ে মারা গিয়েছিল। তাই সে যেন আরও আঁকড়ে ধরে রুঘুকে। রঘু যখন খুব ছোট সে ঘাস তুলে খেতেও পারত না। আরেকটু বড় একটা হাতি তাকে এসব শিখিয়েছে। এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে এ ছবিতে যা ভাষায় প্রকাশ করা বোধহয় সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৭: আপন হতে আপন জন ‘রাইকমল’

পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৮: সপ্তপদী: মূল কাহিনিতে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পুরুষ ও নারীর ভালোবাসার মধ্যে মিলন রাখেননি তারাশঙ্কর

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-২৫: মা-বাবার বয়স বাড়ছে, এই সময় পড়ে গেলে বড় বিপদ ঘটতে পারে, সুরক্ষার প্রয়োজনে মানতে হবে কিছু নিয়ম/১

জঙ্গলে আগুন লাগলে হাতির দল থেকে অনেক সময় ছোট বাচ্চাহাতি দলছুট হয়ে পড়ে। সেভাবেই এসেছিল আম্মু। রঘু তখন বড়সড় হয়ে গিয়েছে। আম্মু যখন প্রথম এলো রুঘুর একটু অভিমান হয়েছিল। পরে অবশ্য তাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেল। বোমান, বেলি রঘু আম্মু চারজনে বেড়াত। রোমানের হাতের লাঠিটা শুঁড় দিয়ে আঁকড়ে ধরে বাচ্চারা যেভাবে হাত ধরে চলে আম্মু সেভাবে চলত।

এরপর রঘু যখন বেশ বড়সড় হয়ে গিয়েছে রেঞ্জার তাকে জোর করে অন্যত্র পাঠিয়ে দিল। সেই মুহূর্তে বোমান বেলি বা রঘু আম্মুর তীব্র আবেগ অনবদ্য দক্ষতায় চিত্রায়িত করা হয়েছে। এই ছবিতে জোর করে স্লোগান না করেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্বকে এক অন্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। রঘু যখন অন্যত্র তখন বোমান-এর সঙ্গে দেখা হবার পর তার আকুতির দৃশ্যের অবতারণা এককথায় অনবদ্য। বহুবছর আগে ছোটবেলায় দেখা ‘বর্ন ফ্রি’ নামের চলচ্চিত্রের স্মৃতি মনে আসছিল। গুনীত মঙ্গা, অচিন জৈন প্রযোজিত এই অস্কারভূষিত তথ্যচিত্রে আমরা দেখেছি ছোট্ট আম্মুর মাথার ঘন রোম যত্ন করে তেল মাখিয়ে ব্রাশ দিয়ে আঁচড়িয়ে দিয়ে রাবার ব্যান্ড দিয়ে দুটি ঝুঁটি করে দেয় বেলি। এমন দৃশ্য আগে কখনও কোথাও দেখিনি।

অল দ্যাট ব্রিদস

অসাধারণ বললেও সিনেমাটোগ্রাফি বর্ণনা করা যায় না। চারজন চিত্রগ্রাহকের মধ্যে নির্দেশক কার্তিকী গঞ্জালভেস একজন। তেমনই অনবদ্য সম্পাদনা। বন্যপ্রাণী নিয়ে করা তথ্যচিত্রের ছন্দ বজায় রাখা এক দুরূহ দায়িত্ব। সঞ্চারী-ডগগ্লাস জুটি সে দায়িত্ব পালন করেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। বহু মানুষের সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল একটি চলচ্চিত্র। তাই যাঁরা এই যুগান্তকারী তথ্যচিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তাদের প্রত্যেককে অভিনন্দন। গোটা তথ্যচিত্রে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ভারতীয় ভাবধারা ও সংস্কার। যেন এক জংলা গ্রামের এক পরিবারের গল্প। যে পরিবারে মা-বাবা আর দুটি হস্তিসন্তান। একজন বড়। অন্যটি ক্ষুদে।

নেটফ্লিক্সে ইংরেজি ভার্সনে তথ্যচিত্রটি রয়েছে। তবে অনুরোধ করব মূল তামিল ভার্সনটি দেখবার জন্য। তাতে বোমান বেলির নিজস্ব সংলাপ এবং কণ্ঠস্বরের আবেগ ধরা পড়বে। কান পাতলে রঘু ও আম্মুর ফিসফিসে সংলাপ আপনি বোমান বা বেলির মতোই স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। একবার নিশ্চয়ই দেখে নিন এবারের এই জগৎশ্রেষ্ঠ ছবিটি।
জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content