বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো একটি খাবার হল টকদই। দুধের ঘাটতি দই পূরণ করে। মূলত যাঁরা দুধ খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা দই খেতে পারেন। দই শরীরে দুধের চাহিদা পূরণ করে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি২, বি১২ ইত্যাদি। দই আমাদের হজমশক্তিও বাড়ায়।

তবে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের বেশি টকদই খাওয়া উচিত নয়। এর থেকে বেশি টকদই খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা অনেকটা বেশি বেড়ে যায়, যা বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে। অনেক সময় অতিরিক্ত টকদই খেলে বুকে জ্বালা ভাব, গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে অল্প পরিমাণে ঘরে পাতা ফ্রেশ টকদই খেলে অনেকটা সমস্যা এড়ানো যায়।
 

দইয়ের অপকারিতা

 

টনসিলের সমস্যা

অতিরিক্ত পরিমাণে টকদই খেলে বেশি ক্ষতি হয় গলার। অনেক সময় গলার পেশি ফুলে যায়। ফলে টনসিলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম গলার সমস্যা থাকলে টকদই কম খাওয়ায়ই ভালো।
 

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিসে ভুগলে টকদই খাওয়া নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে দই খেলে ডবল টোনড দুধ দিয়ে তৈরি দই খেলে ভালো।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে শিশুদের মধ্যে! ভাইরাস এড়াতে খুদের পাতে কী কী রাখবেন?

ডায়েট ফটাফট: ওজন কমাতে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারের মাঝে ‘হেলদি স্ন্যাকস’ খাচ্ছেন তো?

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১: আর্ষ মহাকাব্যের স্রষ্টাদ্বয়ের কথা

 

বাতের সমস্যা

যাঁরা আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে টকদই ভীষণ ক্ষতিকর। কারণ, টকদই জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রেও নিতান্তই দই খেতে ইচ্ছে হলে, ডবল টোনড দুধ থেকে তৈরি ঘরে পাতা দই খেতে পারেন।
 

অত্যধিক টকদই খাবেন না

অতিরিক্ত পরিমাণে টকদই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণে টকদই খেলে বুকে জ্বালা ভাব, গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অল্প পরিমাণে ফ্রেশ, ঘরে পাতা দই খেতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে রাখা দই খাওয়া চলবে না।

আরও পড়ুন:

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৮: ভরত কি ফিরবে শূন্য হাতে?

পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৮: সপ্তপদী: মূল কাহিনিতে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পুরুষ ও নারীর ভালোবাসার মধ্যে মিলন রাখেননি তারাশঙ্কর

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১: শচীন ও মীরা দেব বর্মনের ঘর আলো করে এল এক ‘দেব শিশু’

 

জানলে ভালো

রাতে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না।

রাতে যদি নিতান্তই দই খেতে হয়, তাহলে লবণ, চিনি বা কালো মরিচ মিশিয়ে খান।

রাতে দই খাওয়ার পরে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ব্রাশ করতে হবে।

খালি পেটে দই খাওয়া কখনওই উচিত নয়।

রোদ থেকে ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে দই খাওয়া উচিত নয়।

দই কখনওই গরম করে খাওয়া উচিত নয়।

যাঁরা দই খেয়ে ওজন কমাতে চান, তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে দই যেন অবশ্যই ফ্যাট ফ্রি দুধ থেকেই তৈরি হয়। কারণ, ফ্যাটযুক্ত দুধ থেকে তৈরি দই খেলে ওজন সহজেই বাড়তে পারে।

যাঁদের পাইলসের সমস্যা আছেম তাঁদের দই না খাওয়াই ভালো।

দই স্বাস্থ্যের পক্ষে অবশ্যই ভালো, তবে পেয়াজ, আম, তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি দই খাওয়ার পরে খাওয়া উচিত নয়। কারণ দুধ ও পেঁয়াজ একসঙ্গে খেলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, এমনকি বমি পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি এতে হজমেরও সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বকে র্যাখশ, এগজিমা, সোরিয়াসিস এবং অ্যালার্জি হতে পারে।

দই এবং আম একসঙ্গে খেলে শরীরে টক্সিন তৈরি হয়। তাই টক্সিন থেকে দূরে থাকার জন্য অবশ্যই দই ও আম একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। তবে দুধের সঙ্গে আম খাওয়া যায়।

যদিও দই হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, কিন্তু ভাজা জাতীয় খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া মোটেই ঠিক নয়। দইয়ের সঙ্গে তেলে ভাজা জাতীয় খাবার খেলে হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। শরীর অলসতা অনুভব করে।

আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৯: মন্দির হয়ে বৌদ্ধবিহার

স্বাদে-গন্ধে: মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করছে? বাড়িতে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা ক্ষীর মাধুরী

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১০: পেটের গ্যাস সারা দেহেই ঘুরে বেড়ায়!

 

কখন দই খাবেন

দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালে বা বিকালে। আগেই বলেছি, রাতে দই খাওয়া কখনওই উচিত নয়। দইতে যে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক থাকে, দিনের বেলায় খেলে তা হজম করা আমাদের পক্ষে সুবিধা হয়। যে কারণে যদি দিনের বেলায় দই খাওয়া ভালো। আর অবশ্যই টাটকা হতে হবে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content