অনেকেই আছেন, যাঁরা এই দোলে প্রথম বার ভাং খাবেন বলে ঠিক করছেন। এমনিতেই এক বার ভাং খেলে তার রেশ পরের কয়েক দিন পর্যন্ত থেকে যায়। মাথা ঝিম ঝিম ভাব, শরীরে নানা জায়গায় ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব ইত্যাদি উপ্সার দেখা যায়। প্রথম বার খেলে ভাঙের প্রভাব ঠিক কতটা গাঢ় ভাবে পড়বে, তা আগে থেকে বলা খুব কঠিন। সে কারণে প্রথম বার ভাং খেলেও তার মাত্রাটা যেন কম থাকে। ঢকঢক করে ভাঙের শরবত না খেয়ে, অন্য ভাবেও ভাং খেতে পারেন।
ভাং-চকোলেট
● এই প্রথম বার ভাঙের স্বাদ নিতে হলে, লস্যির পথে না হেঁটে বরং ভাং দিয়েই বানিয়ে ফেলুন চকোলেট। রং খেলার মাঝে এক ফাঁকে খেয়েও নিতে পারবেন ভাং মেশানো চকোলেট।
ভাং-কুলফি
● দোলের হুল্লোড়ে, ছোটাছুটিতে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়তেই হবে সবাইকে এই তীব্র গরমে। তখন গলা ভেজাতে কামড় বসাতে পারেন ভাং মেশানো কুলফিতে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো স্বস্তিও হল, আবার ভাং খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হল।
দোলের উৎসবে মিষ্টি মুখ
● এমন দিনে ভাঙের স্বাদও নিতে পারেন মিষ্টির মধ্যে দিয়েই। ভাঙের শরবত কিংবা ঘোল খেলে, প্রথম বার সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে ভাং দেওয়া সন্দেশে কামড় বসান। ততটাও অসুবিধায় পড়বেন না।
ঠোঁট রাঙান পানে
আবিরের গন্ধ আর মিষ্টি পান পাতার স্বাদে আরও রঙিন হয়ে উঠবে আনন্দের এই রং উৎসব। হরেক রকম মশলার সঙ্গে পান পাতায় দিতে পারেন সামান্য ভাং। তবে প্রথম বার খেলে ভাঙের পরিমাণটা অবশ্যই কম দেবেন। নয়তো পরে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না।