রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


সামনেই দোলের উৎসব। আর এই উৎসব মানেই প্রচুর প্রচুর রঙের বাহার, বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়দের সঙ্গে ব্যাপক হইচই আর জমিয়ে ভূরিভোজের আয়োজন। এই উৎসব উদযাপন করতে অনেকেই ভাঙের নেশা করে থাকেন। অনেকে আবার আছেন, এদিন মদ্যপান করতে পছন্দ করেন। অসতর্ক ভাবে মদ্যপানের মাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলেই কিন্তু মুশকিল হবার সম্ভাবনা প্রবল। হ্যাংওভার কাটিয়ে পরের দিন অফিস যেতে বেশ বেগ পেতে হয়।

তাই আনন্দ করার আগে খেয়াল রাখুন, কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় খাদ্য পেটে থাকলে সামান্য মাত্রায় মদ্যপান আমাদের শরীরে খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে না। তবে তার আগে জানা দরকার, মদ্যপানের আগে কোন ধরনের খাবার খাবেন।
এমন খাবার খাওয়া দরকার যা শুধু শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে না, সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগাবে। সব মিলিয়ে মদ্যপানের পরে শরীরে অস্বস্তির আশঙ্কা কমবে।
 

কী ধরনের খাবার খাবেন?

 

ওটস

মদ্যপানের আগে পেট ভরে ওটস খেলে অনেকটাই কাজ দেয়। ওটসের ফাইবার অনেকটা শুষে নিতে পারে অ্যালকোহল। ফলে পানীয়ের প্রভাব শরীরে ততটাও পড়তে দেয় না। তাই মদ্যপানের আগে ওটসের কুকিজ, গ্র্যানোলা বার কিংবা স্মুদি খেয়ে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন:

পর্ব-১: শচীন ও মীরা দেব বর্মনের ঘর আলো করে এল এক ‘দেব শিশু’

স্বাদে-আহ্লাদে: ম্যাগি ভালোবাসেন? এই রেসিপি ট্রাই করে দেখেছেন?

 

কলা

কলাতেও ফাইবার থাকে। মদ্যপানের আগে কলা খেলে রক্তে অ্যালকোহলের শোষণহার কমে যায়। কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরে মদ্যপানের পর ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই বাইরে কোথাও মদ্যপানের পরিকল্পনা থাকলে বাড়ি থেকে একটি কলা খেয়ে সেখানে যেতে পারেন।
 

চিনাবাদাম বা আমন্ড

এই দুই ধরনের খাবারের পাশাপাশি একমুঠো চিনাবাদাম বা আমন্ড খেয়ে নিলেও তরতাজা থাকে শরীর। মদ্যপানের আগে গ্রিক ইয়োগার্টও খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারও শরীরে অ্যালকোহলের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

সাইনাসের সমস্যায় জেরবার? এ সব উপায়ে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন

দশভুজা: এগারো রকমের ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স তাঁর ঝুলিতে, একাত্তরেও তিনি গেয়ে চলেছেন জীবনের জয়গান

 

কিনোয়া

এ ছাড়া কিনোয়া খাওয়া যেতে পারে। কিনোয়া প্রোটিন, ফাইবার এবং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ। এতে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম বেশি মাত্রায় থাকে, যা অ্যালকোহলের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা কমাতে সাহায্য করে।
 

পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান

অ্যালকোহল ডাইইউরেটিক প্রকৃতির হয়। এই কারণে অ্যালকোহল অনেক পরিমাণে খেলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়, পাশাপাশি অস্বস্তি বাড়ে। তাই মদ্যপানের পরিকল্পনা থাকলে সারা দিন বেশি করে জল খান। মনে রাখবেন এই সময় শরীরে জলের ঘাটতি হলেই মুশকিল।


Skip to content