রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীরা এককাতারে দাঁড়ায়। ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বিভিন্ন শহর নগর মফস্বলের সাহিত্য সম্মেলন, সমাবেশ, আড্ডা ও বই মেলায় যোগ দিতে গিয়ে বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শিল্পী সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে আমার পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়েছে। তাঁদের আন্তরিকতা ও বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার প্রতি একধরনের উদাসিনতা রয়েছে। বাঙালির প্রধান পরিচয় তার বাংলা ভাষা। সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন যে, আগামীতে প্রকৃত বাংলা থাকবে বাংলাদেশে। এর প্রধান কারণ, ১৯৭১ সালে ভাষাভিত্তিক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়া। তাই বিশ্বের সব বাংলাভাষির দেশ বাংলাদেশ।

জর্জ হ্যারিসন ও তার বন্ধুরা সঙ্গে ছিলেন নোবেলজয়ী সুপারস্টার বব ডিলানও। ছবি: সংগৃহীত।

বিশিষ্ট গবেষক প্রাবন্ধিক পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতীয় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি ভারতের কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্ব জনমত গঠনে আর্থিক তহবিল সংগ্রহে, মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল সুদৃঢ় করতে সবাই একযোগে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসনকে উদ্ভুদ্ধ করেছিলেন বলেই ঐতিহাসিক ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ বিশ্ব জনমতকে প্রভাবিত করেছিল। রবিশঙ্কর বাঙালি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের দুঃখ দূর্দশায় সহায়তা করতে কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন। যা বাংলাদেশের জন্য তহবিল জোগাড়ের পাশাপাশি পশ্চিমী বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল।
এ ভাবেই চিত্র পরিচালক ঋত্তিক ঘটক-সহ অনেকের নাম উল্লেখ করা যায়। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন। বিচ্ছিন্ন ও ব্যাক্তিগতভাবে অনেকে অনেক কিছু করেছেন, যা ইতিহাস হয়ে আছে। তবে ঐক্যবদ্ধভাবে যে আন্দোলনটি সারা ভারতে আলোড়ন তুলেছিল সেটুকুর কথা একটু বলতে হয়।
আরও পড়ুন:

পর্ব-৭: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও মিত্র বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫০: লুকোনো বই পড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ বাক্সের চাবি চুরি করেছিলেন

ডায়েট ফটাফট: সব খাবারের সেরা সুপারফুড কিনোয়া খান, ওজন কমান

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে? প্রাকৃতিক উপায়েই সহজে জব্দ হবে এই রোগ, কী ভাবে?

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা, বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিলপত্র দ্বাদশ খণ্ড অনুযায়ী দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহায্যে ‘মুক্তি সংগ্রামে সহায়ক কমিটি’ গঠিত হয়। তারা মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুটি দলে বিভক্ত হয়ে একটি মিছিল শ্যামবাজার পাঁচ মাথা থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার এবং অন্যটি গড়িয়াহাট থেকে চৌরঙ্গির দিকে যায়। তারা নিজেরা চাঁদা দেন এবং জনগন থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন। সেখানে বিশিষ্ট সংগীত, নৃত্য, নাট্য ও গানের শিল্পীবৃন্দ, ক্রীড়াবিদ, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিরা যোগ দিয়েছিলেন। তারা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রামের জন্য অভিনন্দন জানান এবং পাকিস্তানি সামরিক চক্রদ্বারা সংগঠিত গণহত্যা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি দাবি জানান।

বাঁ দিক থেকে: তানপুরায় কমলা চক্রবর্তী, সেতারে রবিশঙ্কর, তবলা আল্লা রাখা, এবং সরোদ বাজাচ্ছেন আলি আকবর খান। ছবি: সংগৃহীত।

ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশন রক্ত ও চিকিৎসা সেবা; কলকাতা বন্দরের শ্রমিক, জাহাজ মালিক, নিয়োগকর্তা, অফিসার ও কর্মী এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা একদিনের বেতন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেন। শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গীয় ছাত্র ফেডারেশন পাকিস্তানের ডিপুটি হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ‘বাংলাদেশ সহায়ক শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবি সমিতি’ নামে একটি সংস্থা গঠিত হয়েছিল। ওই সমিতির সভাপতি ছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সম্পাদক ছিলেন মনিন্দ্র রায়, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও দিপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সমিতির কোষাধ্যক্ষ ডাঃ মনিন্দ্রলাল বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মণ্ডলীতে ছিলেন অজিত দত্ত, অন্নদাশঙ্কর রায় ও অমলাশঙ্কর রায়, উদয়শঙ্কর, জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ, গোপাল হালদার, জ্যোতি দাশগুপ্ত, দক্ষিণারঞ্জন বসু-সহ সম্মানিত কবি সাহ্যিতিকরা যুক্ত ছিলেন। তারা যে প্রচারপত্র বিলি করেছিলেন তার সংক্ষিপ্ত রূপ আজকের তরুণদের জন্য তুলে ধরতে চাই। যার বর্ণনা বড় মর্মস্পর্শী।
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৪: সবুজের নেশায় অভয়ারণ্য/২

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৪: ভাবলাম এ যাত্রায় কোনও রকমে বাঁচা গেল, কিন্তু এতো সবে সন্ধ্যে! রাত তখনও অনেক বাকি…

দশভুজা, ‘ওগো তুমি যে আমার…’— আজও তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারেনি/২

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪: আপনি কি খেয়ে উঠেই শুয়ে পড়বেন? জানেন কী হচ্ছে এর ফলে

“ইয়াহিয়া ও তার বর্বর সামরিক চক্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা, স্বাধিকারবোধ ও মানবিক মর্যাদার পবিত্র অনুভবকে ট্যাংকের চাকায় পিষে ফেলতে চাইছে। প্রকৃতির আশীর্বাদ, কবিব স্বপ্ন নদী-মেঘলা-শোভিতা এই শ্যামল ভূখণ্ড ও তার সাড়ে সাত কোটি মানব সন্তানকে আধুনিকতম মারণাস্ত্রের সাহায্যে একদল নরপিশাচ ঝলসে মারতে চায়। বোমার আগুনে তারা সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রাচীন নিদর্শনগুলি, বহু স্মৃতি ঘেরা জনবসতি অঞ্চল, এমনকি গায়ের সবুজ মাটিকে পর্যন্ত পুড়িয়ে দিচ্ছে। গোটা জাতির স্বপ্ন, শ্রম আর সম্পদে নির্মিত সেতু, বাঁধ ও প্রকল্পগুলিকে তারা বেছে বেছে ধ্বংস করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এই জঙ্গীচক্র কামান দেগে গুড়িতে দিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বিখ্যাত কবি মাইকেল কলেজ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের মূল্যবান গ্রন্থাগার ও গবেষণাগার ধ্বংস করেছে। সংবাদপত্রের কার্যালয়কে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। বোমা ফেলে মর্টার ছুড়ে হাসপাতাল ভবনে জ্বেলেছে নরকের ভয়াবহ আগুন মন্দির-মসজিদ-চার্চের পবিত্রতাটুকুও ওই যুদ্ধোন্মদ রাক্ষসদের নখ এবং দাঁতের কামড় থেকে রক্ষা পায়নি। হত্যা ও রক্তের নেশায় জঙ্গী ইয়াহিয়া চক্র উন্মাদ হয়ে গিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

খবর এসেছে কয়েক লক্ষ লোক মারা গিয়েছে—নিজের দেশে মানুষের অধিকারে মায়ের ভাষায় কথা বলে যারা শান্তিতে বাঁচতে চেয়েছিল। অতর্কিত আক্রমণের শিকার, কামানের খোরাক, কয়েক লক্ষ অমৃতের সন্তান পচা গলা শবদেহ হয়ে শহরে বন্দরে গ্রামে শকুনির খাদ্য হচ্ছে। তাদের কবর দেবার, দাহ করবার কোনো ব্যবস্থা হয়নি। ইয়াহিয়ার উদ্যত সংগীন কয়েক লক্ষ শবদেহকে নিয়ত পাহারা দিচ্ছে, দেশবাসী যাতে শহীদদের প্রাপ্ত মর্যাদাটুকু দিতে না পারে। পাকিস্তানিরা শুধু নর-নারী, শিশু-বৃদ্ধকে মারেনি; শ্রমিক, কৃষক, বুদ্ধিজীবী, চাকুরে, ব্যবসায়ীকে মারেনি; শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধ্যাপককে মারেনি; দানবরা মায়ের দুই স্তন কর্তন করে রক্তের উচ্ছ্বসিত ফোয়ারার মধ্যে অবোধ শিশুর মুখ চেপে ধরেছে। আড়াই বৎসরের বাচ্চাকে কামানের সামনে দাঁড় করিয়ে গোলা ছুঁড়েছে। ইজ্জত লুঠ করে তারপর মা ও বোনদের সংগীন দিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছে। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান শিক্ষকদের সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে গুলি ছুঁড়েছে। হাসপাতালের প্রত্যেকটি রোগিকে গুণে গুণে খুন করেছে। কিন্তু নতুন মর্যাদাবোধে উদ্বুদ্ধ সত্য ও সুন্দরের উপাসক বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ মৃত্যুঞ্জয় প্রতিরোধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বীর রোশেনারা বেগম বুকে মাইন বেঁধে জল্লাদের ট্যাংকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের কিশোরী দেহের সঙ্গে একটা আস্তা প্যাটন ট্যাংককেই ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের থেকে একের পর এক ঘাঁটি কেড়ে নিচ্ছে। গোটা বাংলাদেশ আজ একটিই অস্তিত্ব হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করছে। বাংলাদেশ জিতছে।
আরও পড়ুন:

স্বাদে-গন্ধে: সামনেই জন্মদিন? বিশেষ দিনের ভূরিভোজে বানিয়ে ফেলুন কাশ্মীরি পদ মটন রোগান জোস!

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৩: শোকস্তব্ধ অযোধ্যানগরী কি আপন করে নিল ভরতকে?

ছোটদের যত্নে: শিশু পেটের ব্যথায় ভুগছে? তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি মেনে চলুন

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৪: যা পুরুষ নন, তাই হলেন নারী

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৫: ভক্তের আন্তরিকতা ও প্রার্থনা, ভগবানকে রেশম সুতোয় বেঁধে রাখে

পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী আমরা, রবীন্দ্রনাথের উত্তরপুরুষ আমরা, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে নীরব বা নিস্ক্রিয় থাকতে পারি না। আমরা ভুলিনি স্পেনের গৃহযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ এবং ভারতবর্ষের ভূমিকা। আমরা আমাদের মহান ঐতিহ্যকে কিছুতেই ভুলতে পারি না। তাই আমরা ‘বাংলাদেশ-সহায়ক শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী সমিতি’ গঠন করেছি।

আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্র ও নিজ নিজ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আমরা এক ভাবগত আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, শুধু ভারতবর্ষ নয়, গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক চেতনা ও মানবিক শুভবুদ্ধি বাংলাদেশের নবজাত সরকারকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং সর্ববিধ সাহায্য নিয়ে তার পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য এক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম শুরু করুক।

শরণার্থী শিবিরে ইন্দিরা গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত।

সেই সঙ্গে আমরা বিপন্ন মানবতার পক্ষে বাস্তব ও প্রত্যক্ষ সাহায্যও সংগ্রহ করতে চাই। সীমান্তের ওপারে এই মুহূর্তে দরকার ওষুধ, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, গুঁড়ো দুধ ও বিস্কুট জাতীয় শুকনো খাদ্য। আর তা কেনার জন্য দরকার টাকা পয়সা।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। রাজপথ, বস্তি, কুটির অথবা অট্টালিকা—যেখানেই আপনি বাস করুন, অবিলম্বে আপনার যতখানি সামর্থ্য তার থেকেও বেশি সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসুন।… আমাদের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক। আমাদের বিবেক শুভবুদ্ধির আহ্বানে সাড়া দিক। যেন ভুলে না যাই ইতিহাসের অগ্নি-পরীক্ষায় আমাদেরও উত্তীর্ণ হতে হবে।”
আরও পড়ুন:

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৫২: উশীনরের ধর্মভাব পরীক্ষা করলেন বাজরূপী ইন্দ্র

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২১: কে তুমি নিলে আমার চিরসবুজের ‘অগ্নিপরীক্ষা

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪০: শুধু খাল-বিল ঝিল নয়নজুলিতে মৌরালা মাছ করে প্রায় ২০ লক্ষ শিশুর অনুপুষ্টির ঘাটতি মেটানো সম্ভব

যোগা-প্রাণায়াম: চল্লিশেই বলিরেখা? তিনটি আসনেই হবে বাজিমাত

স্বাদে-গন্ধে: মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করছে? বাড়িতে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা ক্ষীর মাধুরী

কী অসাধরণ ছিল সেই আহ্বান! আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের সাধারণ জনগন ও বুদ্ধিজীবী সমাজ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ও প্রায় এককোটি শরণার্থীর পাশে ছিল। ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা ১৯৭১ সালে রুখে দাঁড়িয়ে সাহায্য সহযোগীতা করেছিল বলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করে মিত্রবাহিনীর সহযোগীতায় ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তাঁদের অবদান আমরা কখনও ভুলবো না। এখনও বাংলাভাষী কবি সাহিত্যিক শিল্পী সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করে ভালোবাসে।

ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
* সোনার বাংলার চিঠি (Letter from Sonar Bangla, Sonar Banglar Chithi, Bangladesh) : অরুণ শীল (Arun Shil) কবি ও সাহিত্যিক। তিনি প্রধানত শিশু-কিশোর সাহিত্যের লেখক। শুরুতে গণমুখী ছড়া লিখে তুখোড় ছড়াকার হিসেবে পরিচিতি পেলেও মায়াবী, কোমল এবং স্বপ্নময় কিশোর কবিতা লিখে খ্যাতিমান হয়েছেন। ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ নিয়ে এ পর্যন্ত তাঁর ২২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধ, ফিচার লিখেও তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। পেয়েছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সম্মাননা ও পুরস্কার।

Skip to content