সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

এ বার ‘দুয়ারে’ স্বাস্থ্য কমিশন। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে যাবতীয় অভিযোগের নিষ্পত্তি করতেই এই উদ্যোগ। জেলার কোনও রোগী বা তাঁর পরিবার-পরিজনদের কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে আর কলকাতায় তাদের অফিসে ছুটে আসতে হবে না। বরং কমিশনের কর্তারা সমস্যার সমাধান করতে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াবেন।
এছাড়াও ফোন করে চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর বন্দোবস্ত করতে কমিশন শীঘ্রই একটি কলসেন্টার তৈরি করবে। যদি সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র রোগী ফিরিয়ে দেয় বা উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে থাকে তাহলে ওই কলসেন্টারের মাধ্যমে অভিযোগ পৌঁছে দিতে পারবেন রোগী বা তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা। এই অভিযোগ সরাসরি পৌঁছে যাবে কমিশনের কাছে।
আরও পড়ুন:

শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, খুদার ইবাদত যাঁর গলায় তাঁর আর কাকে ভয়?

ডায়েট ফটাফট: সব খাবারের সেরা সুপারফুড কিনোয়া খান, ওজন কমান

কমিশনের কর্তারা স্বাস্থ্যসাথী-সহ সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগের সমাধান করতে বিভিন্ন জেলায় রোগীদের কাছে পৌঁছে যাবেন। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাব মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য মোট সাড়ে ৫ হাজার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি যথাযথ ভাবে কাজ করছে কি না, তাতেও নজরদারি চালাবে কমিশন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবায় যাতে কোনও গাফিলতি না ঘটে সে দিকেও নজরদারি চলবে। ছোট বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে কমিশনের নির্দেশিকা ফ্লেক্স-এর মাধ্যমে জানানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও নজরদারি চালানো হতে পারে।
আরও পড়ুন:

টুথ পেস্ট দিয়ে কেবল দাঁতই মাজেন? এই মাজন কিন্তু সংসারের আরও অনেক কাজ লাগতে পারে

স্বাদে-গন্ধে: সামনেই জন্মদিন? বিশেষ দিনের ভূরিভোজে বানিয়ে ফেলুন কাশ্মীরি পদ মটন রোগান জোস!

চিকিৎসাজনিত অভিযোগের পর অভিযোগকারীরা কমিশনের রায়ে সুফল পেয়েছেন কি না, তাও নজরে রাখতে চায় কমিশন। আগামী ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি মালদহের চাঁচলে কমিশনের প্রথম বৈঠক হবে। এই জেলায় স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে ৬টি অভিযোগ পেয়েছিল কমিশন। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের রায়ও দিয়েছে কমিশন। অভিযোগকারীরা তার আর্থিক ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। পাশাপাশি, এ বিষয়ে কোনও রকম খামতি থেকে যাচ্ছে কি না তাও নজরে রাখবেন তাঁরা।

অন্য দিকে, মালদহের দিনাজপুরের বেসরকারি হাসপাতাল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ কমাতে উদ্যোগী হচ্ছে কমিশন। মালদহের পর পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

স্বাস্থ্য পরিষেবার নিরিখে রাজ্যকে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ, এই দু’টি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সব স্বাস্থ্য আধিকারিকদের (সিএমওএইচ) নিয়ে বৈঠকে বসবেন কমিশনে কর্তারা। দক্ষিণবঙ্গের জন্য ঝাড়গ্রামে ২ এবং ৩ মার্চ বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে কমিশন।

Skip to content