টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে উত্তর পশ্চিম ভারতের একাংশ। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছেন বাসিন্দারা। যদিও সব থেকে খারাপ অবস্থা রাজধানী দিল্লির। শৈত্যপ্রবাহের নিরিখে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে রাজধানী। দিল্লিতে টানা ছ’দিন শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, দিল্লির শৈত্যপ্রবাহ ১০ বছরে দীর্ঘতম। এর আগে ২০১৩ সালে দিল্লিতে একটানা পাঁচ দিন শৈত্যপ্রবাহ দেখেছিলেন আমজনতা।
ঘন কুয়াশার জেরে রাজধানীর দৃশ্যমানতা কমে শূন্যে দাঁড়িয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় ২০ ঘণ্টা দিল্লিতে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য ছিল! এর ফলে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ২০০টিরও বেশি বিমান ঠিক সময়ে উড়েতে পারেনি। জয়পুরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাঁচটি দিল্লিগামী বিমানকে। এদিকে, ৭০টিরও বেশি ট্রেন ঘন কুয়াশার জেরে দেরিতে ছেড়েছিল।
আরও পড়ুন:
খাই খাই: একঘেয়ে কাতলা? স্বাদবদল করুন ‘কমলা কাতলা’ রেসিপিতে! রইল সহজ রেসিপি
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-২: অনন্তের সন্ধান আর সেই দরজার তালা ও চাবি তো তাঁর কাছেই রাখা আছে
মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির আকাশ আগামী বুধবার পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকবে। যদিও মঙ্গলবার রাত থেকে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমবে এমনটা জানিয়েছেন আবহবিদরা। সেই সঙ্গে ঠান্ডাও কিছুটা কমবে।
আরও পড়ুন:
জাঁকিয়ে শীত কি তবে শেষের পথে? পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে দুর্বল উত্তুরে হাওয়াও, ফের ঊর্ধ্বমুখী কলকাতায় পারদ
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১: ছুটি ও ছোটা ছুটি
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড ঠান্ডায় দেশের একাধিক রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। হাড়হিম করা ঠান্ডায় কাঁপছেন রাজ্যগুলির বাসিন্দারা। অসহ্য ঠান্ডায় প্রাণ গিয়েছে অনেকের। প্রবল ঠান্ডায় গত পাঁচ দিনে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকে শুধু উত্তরপ্রদেশের কানপুরেই ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।