শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


কেশরীনাথ ত্রিপাঠী প্রয়াত।

প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ শেষ তিনি নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত মাস থেকে কেশরীনাথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রাক্তন রাজ্যপালের হাত ভেঙে গিয়েছিল। সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল। তিনি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। প্রাক্তন রাজ্যপালকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। এর পরে তিনি তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। সেখানেই রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপালের।

কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করেছেন। রবিবার তিনি টুইট করে লি‌‌খেছেন, ‘‘কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজের কাজ এবং জ্ঞানের জন্য সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর যথেষ্ট পারদর্শিতা ছিল সাংবিধানিক বিষয়ে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সংগঠন গড়ে তোলার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের উন্নয়নেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার ও পরিজনকে আমার সমবেদনা জানাই।’’
আরও পড়ুন:

দিনের কোন সময়ে ওজন মাপবেন? সপ্তাহের কোন দিনে মাপলে ঠিকঠাক ওজন জানা যাবে?

হোমিওপ্যাথি: আঁচিল নিয়ে অস্বস্তি? চিন্তা নেই, হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে সহজ সমাধান

শৌচাগারে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। তাঁর হাত ভেঙেছিল। তারপর থেকে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছিল। সমস্যা হচ্ছিল প্রস্রাবের। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রয়াগরাজের সিভিল লাইনসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। একটানা অনেক দিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। কেশরীনাথ দু’বার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও দু’বারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন:

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার পর এ বার তাঁর মা শিখা শর্মাও ক্যানসার আক্রান্ত! চলছে চিকিৎসা

রোজ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খান? অতিরিক্ত পরিমাণে এই চা খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন?

কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১০ নভেম্বর, ইলাহাবাদে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত। রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছেন বিহার, মেঘালয় এবং মিজোরামের। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন।

Skip to content