শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

মাত্র ২৪ সপ্তাহের মাথায় জন্ম! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, সদ্যোজাতের ওজন ছিল ৪০০ গ্রাম। অর্থাৎ এক প্যাকেট দুধের থেকেও কম ওজন। এতটাই কম ওজন ছিল পুণের এক সদ্যোজাতের।
চিকিৎসকদের কথায়, শতাংশের হিসাবে যদি বলা হয়, তাহলে শিবন্যা-র বাঁচার আশা কমবেশি ০.৫ ভাগ। যদিও সেই শিশু চিকিৎসকদের সব হিসাবকে ভুল প্রমাণ করেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে শিবন্যা।
শিবন্যার জন্মায় ২০২২ সালের ২১ মে। পুণের সূর্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হসপিটালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সচিন শাহের দাবি, ওজনের দিক থেকে কথা বিবেচনা করলে ভারতের ইতিহাসে গর্ভাবস্থার সময় এবং জন্মের সময় শিবন্যাই ক্ষুদ্রতম নবজাতক। চিকিৎসকের কথায়, সার্বিক ভাবে শিবন্যার ঘটনা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থারই উন্নতির লক্ষণ।
আরও পড়ুন:

রেকর্ড পারদপতন কলকাতায়! শহরের পারদ এক ধাক্কায় নেমে ১০ ডিগ্রির ঘরে, বর্ধমান, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে কত?

আপনার ছোট্ট সোনামণির সঙ্গে কোন কোন আচরণগুলি কখনওই করবেন না?

সন্তান ভূমিষ্ঠ পর তাকে একটানা ৯৪ দিন আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। শিশুকন্যার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে গত অগস্টের ২৩ তারিখ আইসিইউ থেকে বার করে আনা হয়। সে সময় শিবন্যার ২১৩০ গ্রাম ওজন ছিল।
চিকিৎসকের বক্তব্য, ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের পর নবজাকের জন্ম হলে তখন তাদের স্বাভাবিক ওজন ২,৫০০ গ্রামের মতো ধরা হয়। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, শিবন্যাকে আইসিইউ থেকে বার করার সময় ওজন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।
আরও পড়ুন:

ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে শরীরে? কী কী লক্ষণ দেখলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে? জেনে নিন খুঁটিনাটি

চলো যাই ঘুরে আসি: মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তিশগড় নয়, আমাদের এই বাংলাতেই রয়েছেন ডোকরা শিল্পীরা

শিবন্যার বাবা জানান, শিবন্যার ওজন এখন প্রায় ৪.৫ কিলোগ্রাম। এই ওজনে পৌঁছতে শিবন্যার সময় লেগেছে জন্মের পর থেকে প্রায় ৭ মাস। এখন ও স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াদাওয়া করছে। শিবন্যার বাবা-মা এবং চিকিৎসক শিবন্যার লড়াইতে আশার আলো দেখছেন। বিশেষজ্ঞ ডাঃ সচিন শাহের দাবি, এত ছোট্ট নবজাতকের বাঁচার ঘটনা দেশে আগে নথিবদ্ধ করা হয়নি।

Skip to content