ছবি প্রতীকী
সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিমত ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যুর হার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাঁদেরই প্রশ্ন, তবে কি স্বাস্থ্য ভবনের জারি করা প্রোটোকল মেনে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে? সেই সংশয় থেকেই সরকারি স্তরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার অনলাইনে একটি বৈঠক করল স্বাস্থ্য দফতর।
অন্য দিকে, স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে প্রোটোকল মেনে আবার সংক্রামক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায় ও সৌমেন্দ্রনাথ হালদার, মেডিসিনের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল এবং শিশুরোগ চিকিৎসক মিহির সরকার প্রশিক্ষণ দেন। জানা যাচ্ছে, প্রশিক্ষণের আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। পরে অনলাইনে দু’ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ হয়। তীব্র জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে কী চিকিৎসা দিতে হবে, ডেঙ্গি ধরা পড়ার পরে কী ধরনের ওষুধ দিতে হবে, তা কতটা মজুত থাকছে, কী নিয়মে রোগীকে স্যালাইন দিতে হবে, আচমকা শ্বাসকষ্ট হলে কী করণীয়, সে সব প্রোটোকল ধরে ভালো ভাবে বোঝান যোগীরাজ।
আরও পড়ুন:
মিলছে রেলের সবুজ সঙ্কেত, জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে শীঘ্রই
শনিবার ভোর থেকেই সাঁতরাগাছি সেতুর এক দিক সম্পূর্ণ বন্ধ, রাতে বন্ধ থাকবে দু’দিকই, বিকল্প পথ কী কী?
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ দলের পর্যবেক্ষণ, অনেক হাসপাতালে রোগীকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বা স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। কয়েকটি মৃত্যুর নথি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, রোগী সুস্থ হতে শুরু করলেও তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এ দিনের প্রশিক্ষণে ফের বোঝানো হয়, দিনে দু’বার পিসিভি (রক্তে প্যাকড সেল মাত্রা) পরীক্ষা করে ফ্লুইডের ব্যবস্থা করতে হবে। কখন প্লেটলেট দিতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে স্যালাইনের মাত্রা বাড়াতে-কমাতে হবে, বলা হয় তা-ও।
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৪: শোকবিহ্বল মা, ক্ষোভে উত্তাল ভাই — তবুও কি বনবাস?
মা জয়া কিছুতেই তাঁর অভিনয় দেখতে চান না, কেন? জানালেন অভিষেক বচ্চন
বৃহস্পতিবার ম্যালেরিয়া-রোধী ওষুধের ব্যবহার থেকে ডেঙ্গি সংক্রমণের মাত্রা জরিপ করার বিষয়ে বিশদে বলেন সৌমেন্দ্রনাথ। প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা দিলে ডেঙ্গিতে কতটা সুফল পাওয়া সম্ভব, তা ব্যাখ্যা করেন জ্যোর্তিময়। একই ভাবে বড়দের মতো শিশুদের ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও চিকিৎসা কোন পথে চলবে, মিহিরবাবু তা যথাযথভাবে বুঝিয়ে বলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রোটোকল না মেনে চিকিৎসার নজির মিলেছে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে। অতিরিক্ত স্যালাইন দেওয়ার ফলে ফুসফুসে জল জমে শ্বাসকষ্ট, হার্ট ফেলিয়োর হতে পারে। অপ্রয়োজনে প্লেটলেট দিলে রক্ত জমাট বেঁধেও বিপত্তি ঘটছে বলে পর্যবেক্ষণ। আজ, শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেবে।