বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙের তাণ্ডব নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ। যদিও সিত্রাং মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। শক্তি বাড়িয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। এমনিতে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সোমবার বাংলাদেশের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাতেও। জানা গিয়েছে, সিত্রাং সে দেশের ১৩টি জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, সিত্রাঙের অগ্রভাগ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে উপকূলের দিকে আঘাত হানবে। এতে ১৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ১৩টি জেলা হল —পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, নোয়াখালি, খুলনা, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং কক্সবাজার। আশ্রয়কেন্দ্রগুলিকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংঙের মোকাবিলায় প্রায় ৭৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
আরও পড়ুন:

সাগরদ্বীপের আরও কাছাকাছি সিত্রাং! প্রবল শক্তি বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৩১ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে

সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৩: বাংলাদেশ শিশু একাডেমি— শিশুদের আনন্দ ভুবন

বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উপকূলবর্তী এলাকার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার সময় ঝড়ের বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি। তিন বিমানবন্দর বন্ধ অর্থাৎ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরে বিমান-ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরে সোমবার দুপুর ৩টে থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। সন্ধের চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালি, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালি, ফেনির নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরে পাঁচ থেকে আট ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের ছোটরা এখনও বই পড়ে

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৮: মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্বে ‘বসু পরিবার’ [১১/০৪/১৯৫২]

খুলনায় সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা এলাকার প্রায় ১৫ কিমি নদীর বাঁধ রয়েছে। প্রায় ১০ কিমি বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে কয়রা উপজেলায়। পটুয়াখালি নদীবন্দর নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে। হাতিয়া উপজেলার ২৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মকাবিলায় প্রায় ৩ হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত তৈরি রাখা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে পণ্য-ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ছবির নাম

ছবির নাম


Skip to content