শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

এখন তো আখছারই স্মার্টফোন চুরি হয়। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা উদ্ধার হয় না। অনেক ক্ষেত্রে তার অপব্যবহারও হয়। তাই স্মার্টফোন চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে সব থেকে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেটি কেউ খারাপ কাজে ব্যবহার করছেন কি না। গ্রাহকদের এই সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে।
স্মার্টফোনের অপব্যবহার রুখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে দেশের সব ফোনে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি বা আইএমইআই নম্বর তো বাধ্যতামূলক থাকতেই হবে, সেই সঙ্গে সেই নম্বর ‘ইন্ডিয়ান কাউন্টারফিটেড ডিভাইস রেস্ট্রিকশন’ পোর্টালেও নথিভুক্ত করতে হবে। এই নথিভুক্ত করার কাজটি সংশ্লিষ্ট মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাকেই করতে হবে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্টারফিটেড ডিভাইস রেস্ট্রিকশন’-এর পোর্টালটি হল— https://icdr.ceir.gov.in
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, ভারতে নতুন মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসার আগেই ‘ইন্ডিয়ান কাউন্টারফিটেড ডিভাইস রেস্ট্রিকশন’ পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে। তবে শুধু ভারতে প্রস্তত ফোন নয়, আইফোন, স্যামসাং-এর মতো সব স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
দেশে এমন লক্ষ লক্ষ মোবাইল ফোন মিলেছে, যেগুলিতে ভুয়ো আইএমইআই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। আরও চমকে যাওয়ার মতো তথ্য হল, ২০২০ সালের জুন মাসে উত্তরপ্রদেশের মিরাট পুলিশ অন্যতম চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো-র ১৩ হাজার ৫০০টি স্মার্টফোন উদ্ধার করেছিল। সেই ১৩ হাজার ৫০০টি স্মার্টফোনের আইএমইআই নম্বর এক ছিল! তবে শুধু যে ভিভো তা নয়, একধিক চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার ফোনেও এক আইএমইআই নম্বর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন:

হাত পা ঘাড়ে কালো দাগ? পূজোর আগে ঝকঝকে ত্বকের জন্য রইল ঘরোয়া টোটকা

নিয়ম মানুন, সুস্থ থাকুন—পুজোয় ভালো থাকার সহজ উপায় জানালেন ডাক্তারবাবু

আইএমইআই নম্বর থাকলে ফোনটিকে ‘ট্র্যাক’ করা সম্ভব। ফোন চুরি বা হারিয়ে গেলেও আইএমইআই নম্বর দিয়ে সহজে অপরাধীকে খুঁজে বার করা যায়। তাই পছন্দের ফোন কেনার নিশ্চিত হতে হবে যে ফোনটি কিনছেন তাতে আইএমইআই নম্বর আছে কি না। স্মার্টফোনে আইএমইআই নম্বর আছে কি না, তা জানা যাবে ‘*#06#’ ডায়াল করে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশে এও বলা হয়েছে, ভারতে বিক্রি হবে এমন সব স্মার্টফোনেরই বৈধ আইএমইআই নম্বর থাকতে হবে। এর ফলে গ্রাহকের ফোন চুরি হয়ে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে ওই আইএমইআই-এর নম্বরের সাহায্যে খুব সহজেই ফোনটিকে ‘ব্লক’ করে দেওয়া যাবে। অনেকটা এটিএম কার্ডের মতো। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই, চুরি বা বা হারিয়ে যাওয়া ফোন কারও হাতে থাকলেও তিনি তার অপব্যবহার করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বন্ধ হবে স্মার্টফোনের কালোবাজারিও।

Skip to content