আমির খান
বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান একজন সফল অভিনেতা। ‘দিল’, ‘রাখ’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘সরফরোশ’, ‘লগান’, ‘রং দে বাসন্তী’, ‘তারে জমিন পর’, থ্রি ইডিয়টস, পিকে, দাঙ্গাল-এর মতো বহু হিট ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু জানেন কি, স্কুলের গন্ডি পার হতে না হতেই তিনি পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিলেন! সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও অভাব-অনটনের সেই দিনগুলো এখনও ভুলতে পারেনি আমির।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফিরে দেখলেন তাঁর অতীত জীবন। বাবা-মা ঋণে জর্জরিত। চার ভাইবোনের মধ্যে বড় আমির। ছেলেবেলায় তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, স্কুলের মাইনে দেওয়ারও সামর্থ্য টুকু ছিল না। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন যখন, তখন মাইনে ছিল ৬টাকা। আর সপ্তম শ্রেণিতে ছিল ৭টাকা। সেটুকুও আমির ও তাঁর ভাইবোনেরা দিতে পারতেন না। প্রায়ই তাঁকে ও তাঁর ভাইবোনদের ক্লাসে দাঁড় করিয়ে অধ্যক্ষ সবার মাঝখানে নাম ধরে ডেকে বলতেন, কত মাসের স্কুল ফি বাকি মনে আছে তো! ‘‘আমরা সব সময় দেরিতে মাইনে দিতাম। সবার সামনে নাম ধরে ডাকা হতো আমাদের’’— বলতে বলতে চোখে জল আসে আমিরের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফিরে দেখলেন তাঁর অতীত জীবন। বাবা-মা ঋণে জর্জরিত। চার ভাইবোনের মধ্যে বড় আমির। ছেলেবেলায় তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, স্কুলের মাইনে দেওয়ারও সামর্থ্য টুকু ছিল না। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন যখন, তখন মাইনে ছিল ৬টাকা। আর সপ্তম শ্রেণিতে ছিল ৭টাকা। সেটুকুও আমির ও তাঁর ভাইবোনেরা দিতে পারতেন না। প্রায়ই তাঁকে ও তাঁর ভাইবোনদের ক্লাসে দাঁড় করিয়ে অধ্যক্ষ সবার মাঝখানে নাম ধরে ডেকে বলতেন, কত মাসের স্কুল ফি বাকি মনে আছে তো! ‘‘আমরা সব সময় দেরিতে মাইনে দিতাম। সবার সামনে নাম ধরে ডাকা হতো আমাদের’’— বলতে বলতে চোখে জল আসে আমিরের।
আমির খানের পুরো নাম মোহাম্মদ আমির হোসাইন খান। আটবছর বয়সেই আমির খানকে দেখা যায় তাঁর চাচা নাসির হোসাইনের ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’ ছবির একটি গানের দৃশ। এটিই ছিল তাঁর প্রথম ছবি। কিন্তু এরপর প্রায় দশবছর পর্যন্ত তাঁকে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি। পরে ১৯৮৮ সালে নায়ক হিসাবে জুহি চাওলার বিপরীতে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’-এ সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। এর পর আর তাঁকে ফিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে সফল ছবির বন্যা। তবুও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে আজও অতীত থেকে প্রতিনিয়ত শিক্ষা নেন আমির।