বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

বেশির ভাগ সময় জলের কাজ করার জন্য অনেক সময় মা-বোনেদের হাতের ত্বক শুকনো হয়ে যায়। কারও কারও ফেটে যায় এবং একটা সময় সেই ত্বক থেকে ছাল উঠতে থাকে। এর কারণ হিসেবে বলা যায় সারাক্ষণ জল ঘাঁটার ফলে ত্বকে এই সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা সাধারণত গৃহবধূদের মধ্যে দেখা যায়। একে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘হাউসওয়াইফস ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়। জলে হাত বেশিক্ষণ থাকার ফলে আমাদের হাতে যে তেলের আস্তরণ থাকে তা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি শুকনো হাতে কাচের গ্লাস ধরি তাহলে খেয়াল করে দেখবেন তার গায়ে আঙ্গুলের ছাপ পড়ে যায়। সেই ছাপ আসলে হাতে থাকা তেলের জন্যই গ্লাসের গায়ে পড়ে। হাতে থাকা এই তেলই আমাদের ত্বককে বাঁচায়।
কিন্তু আমাদের বাড়ির মা, বোনেদের কাপড় কাচা, বাসন মাজা, শাকসবজি ধোয়া, ঘর মোছা প্রভৃতি জলের কাজ করার জন্য সারাক্ষণ হাত ভিজে থাকায় ত্বকের ভিতরের স্তর নষ্ট হয় যায়। সারাক্ষণ জল লাগতে থাকলে প্রথমে হাতের ত্বক শুকনো হতে থাকে, তারপর চুলকয়। এর পর একটা সময় ত্বক ফেটে যায় এবং ত্বকের তলায় থাকা টিস্যুগুলি বেরিয়ে আসে।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি? সাধারণত ডাক্তারবাবু বা নার্সরা যে গ্লাভস পরেন সেগুলি পড়লে হয়তো এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। কিন্তু আমাদের বাড়ির মেয়েরা যে গ্লাভস ব্যবহার করেন সেগুলি সাধারণত ব্যবহারের পর আবার ধুয়ে রাখে দেন তাঁরা। অনেক সময় ভিজে হাতেই তাঁরা ড্রাভস পরে নেন। এতে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে। গ্লাভসের মধ্যে যদি সামান্য পরিমাণেও সাবান লেগে থাকে এবং সেই সাবান যদি ভিজে হাতে লাগে তাহলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই যে কাজগুলির জন্য হাত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যেমন সবজি কাটা, মাছ কাটা প্রভৃতি থেকে যতটা সম্ভব হাতকে সুরক্ষিত রাখুন। এছাড়া নিয়মিত মশ্চারাইজার লাগাতে পারবেন। যেকোনও ধরনের তেল ব্যবহার করলেও এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যাবে। তবে মশ্চারাইজার বা তেল লাগানোর আগে হাত ভালো করে মুছে নিতে হবে। আর মশ্চারাইজার বা তেল লাগানোর পর চেষ্টা করতে হবে হাতে যেন আর জল না লাগে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই সমস্যা সাধারণ ভাবে না মিটলে বাড়িতে থাকা কোনও পুরানো ওষুধ ব্যবহার যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই বাড়াবাড়ি কিছু হলেই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

যোগাযোগ: ৯৮৩১৫৮৫০৮০, ৯৮৩০৩৮২৪৯৮

Skip to content