শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


অবিবাহিত ‘মা’ এবং ধর্ষিতাদের সন্তানরা পরিচয় সংক্রান্ত শংসাপত্রে শুধু মায়ের নাম ব্যবহার করতে পারবেন। কেরল হাইকোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। একইসঙ্গে হাই কোর্টের বিচারপতি পি ভি কুহ্নিকৃষ্ণণ জানিয়েছেন, অবিবাহিত ‘মা’ এবং ধর্ষিতাদের সন্তানরা এই দেশেরই নাগরিক। সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের। কাজেই সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না।
সংবিধানই তাঁর মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকবে। অবিবাহিত মহিলা ও ধর্ষিতার সন্তানরা জন্মের পরিচরপত্র এবং অন্যান্য সার্টিফিকেটে শুধু মায়ের নাম ব্যবহার করতে পারবেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার অব বার্থস অ্যাান্ড ডেথস-কে নির্দেশ দিয়েছে বার্থ রেজিস্টার থেকে বাবার নাম মুছে ফেলতে। যাতে সিঙ্গল পেরেন্টের ক্ষেত্রে সন্তানরা শুধু মায়ের নাম লিখতে পারে।
প্রসঙ্গত, কেরল হাই কোর্ট যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় দিয়েছে, সেই পিটিশনকারী এক অবিবাহিত মায়ের সন্তান। তবে তাঁর তিনটি শংসাপত্রে, বাবার নাম তিন রকম রয়েছে। হাইকোর্ট জন্মের শংসাপত্র থেকে আবেদনকারী ব্যাক্তির বাবার নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে আদালত রেজিস্ট্রার অব বার্থস অ্যােন্ড ডেথস-কে নির্দেশ দিয়েছে আবেদনকারী ব্যরক্তি যদি তাঁর জন্মের নয়া শংসাপত্রে তাঁর মাকে ‘সিঙ্গল পেরেন্ট’ হিসাবে রাখতে চান তার ব্যবস্থাও করতে হবে। এই প্রসঙ্গে মহাভারতের অন্যতম চরিত্র কর্ণের উদাহরণ টেনে বিচারপতি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে প্রকৃত সাহসী কর্ণের মতো চরিত্র থাকবে। যিনি মহাভারতের আসল নায়ক ছিলেন।
আমাদের সাংবিধানিক আদালত সমস্ত কর্ণদের নিরাপত্তা দেবে। অবিবাহিত মহিলা ও ধর্ষিতার সন্তানরা যাতে মানসিক কষ্টে না ভোগে, দেশের অন্যাতন্যপ নাগরিকদের মতোই সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন তা দেখার দায়িত্ব সংবিধানের।

Skip to content